সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানাবে বিএনপি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামীকাল শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে দলের অবস্থান তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভা ডাকে বিএনপি। সেখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলের হাইকমান্ড। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের ওই সভায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন মতামত দেন। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও তার মন্তব্য তুলে ধরেন। যদিও তিনি কোটাব্যবস্থা প্রসঙ্গে ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপি মনে করে, ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ভোট ডাকাতির অবৈধ নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল। এখন আবার আদালতকে ব্যবহার করে সেই কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে। এটি স্পষ্টই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা। সুতরাং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতারক বলেই বারবার জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না।
বিএনপির নীতিনির্ধারক দুজন নেতা কালবেলাকে জানান, সরকারি চাকরিতে কোটার ব্যাপারে ছাত্র-তরুণদের দাবি অবশ্যই ন্যায্য এবং যৌক্তিক। জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই ছাত্র-তরুণদের যে কোনো যৌক্তিক এবং ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধীদের রাষ্ট্র অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।
মন্তব্য করুন