নতুন অর্থবছরের অর্থ বিলে বিত্তবানদের ছাড় ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নকে নতুন করে মদদ জোগাবে।
বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘবের কোনো বার্তা নেই দাবি করে তিনি বলেন, ১৫ শতাংশের বেশি কর দিলে করনথি নিরীক্ষা না করার বিধান আর্থিক অনিয়ম ও লুটপাটের আরও প্রসার ঘটাবে।
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রোববার (৩০ জুন) বিকেলে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাইফুল হক। এর আগে বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই জাতীয় সংসদে পাস হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট। নতুন অর্থবছরের শুরুর দিন অর্থাৎ আগামীকাল ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হচ্ছে।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, সরকার একদিকে যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলছেন, অন্যদিকে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ হালাল করার বিধান দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের আরও উৎসাহ প্রদান করবে; তাদের আরও বেপরোয়া হতে সাহায্য করবে।
তিনি সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের প্রস্তাব থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে সরকারের পশ্চাদাপসরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ধনীদের এই করছাড় সমাজে ধনীদের বাড়তি সুবিধা দেবে।
সাইফুল হক বলেন, জনগণের বিভিন্ন অংশের দাবি অনুযায়ী রাজস্বব্যয়সহ অনুৎপাদন খাতের বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়নি। শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক খাতগুলোতে বরাদ্দ বাড়েনি। উল্টো মুটোফোন ও ইন্টারনেটের মতো অতি আবশ্যকীয় সেবার ওপর কর আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতে সীমাহীন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, চুরি, দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধে বাজেটে কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের সময় জনগণের কোনো মতামতকেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
সাইফুল হক বলেন, ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া বাজেট দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়তে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির কোনো বার্তা দিতে পারেনি। এই বাজেট সরকারকে যেমন আরও ঋণগ্রস্ত করবে, তেমনি সাধারণ মানুষকে আরও ঋণগ্রস্ত করবে, অনিশ্চয়তায় ঘেরা জীবনকে আরও বিপদে নিক্ষেপ করবে। সে কারণে এই বাজেট গ্রহণযোগ্য হবে না।
মন্তব্য করুন