মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
মাছুম বিল্লাহ
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

দ্বৈত শাসন শিক্ষার নিম্নমুখী মান ও শিক্ষকদের করুণ দশার জন্য দায়ী

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষার জাতীয় দৈনিক ‘আমাদের বার্তা’ একটি প্রতিবেদন ছেপেছে দিন কয়েক আগে। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি কলেজগুলো দ্বৈত শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে শিক্ষার মান, শিক্ষা প্রশাসনে জটিলতা এবং এসব কলেজে শিক্ষাদানরত শিক্ষকদের করুণ দশার কথা তুলে ধরেছে। যুগ যুগ ধরে এসব কলেজে চলছে দ্বৈত শাসন। একটি হলো নিয়ন্ত্রণকারী ও বেতনভাতা দেয়ার ক্ষমতার অধিকারী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর। অপরদিকে রয়েছে শুধু তালিকা প্রকাশ আর নিয়োগ বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দেয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যুগ যুগ ধরে তারা এমপিওবিহীন, আদালতের বারান্দায় তাদের দৌড়াদৌড়ি ইত্যাদি চলছে আর মাঝখানে শিক্ষার মান নিম্নমুখী হচ্ছে।

কিছুদিন আগে আমরা আরও একটি প্রতিবেদন দেখেছিলাম, সেটি ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে। সেখানে দেখানো হয়েছে যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৪৮ শতাংশ বেকার থেকে যাচ্ছে। এ জন্য কি শুধুই শিক্ষার্থীরা কিংবা শুধুই শিক্ষকরা দায়ী? এ প্রশ্ন সহজেই চলে আসে কিন্তু এর ভেতরকার কারণসমূহ আমরা খুঁজে দেখি না। আমাদের বার্তা সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই করেছে।

ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের বেসরকারি কলেজগুলো পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলি রেগুলেশন মানতে হয়। আবার এসব কলেজে নিয়োগ ও পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা রয়েছে, যা মেনে চলার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি অধ্যক্ষ নিয়োগের নতুন একটি সার্কুলার জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি থাকবেন। পাঁচ সদস্যের এই নিয়োগ কমিটিতে শিক্ষা বোর্ড ও মাউশির একজন করে প্রতিনিধিও থাকতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে কমপক্ষে তিনজন প্রার্থী থাকতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী বেসরকারি কলেজসমূহে অনার্স কোর্স পরিচালনার জন্য প্রতিটি বিভাগে সাতজন শিক্ষক থাকতে হবে এবং মাস্টার্স কোর্সে অতিরিক্ত আরও পাঁচজন শিক্ষক অর্থাৎ মোট ১২ জন শিক্ষকের প্রয়োজন হবে। প্রতিটি বিভাগে একজন অধ্যাপক, দুজন সহযোগী অধ্যাপক, চারজন সহকারী অধ্যাপক ও পাঁচজন প্রভাষকসহ মোট ১২ জন থাকায় বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় অনার্স কলেজে প্রতি বিষয়ে শূন্য পদে মাত্র তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিধান আছে। অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। কোনো কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিলে তা গ্রহণ করছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বেতন-ভাতা দেয়া হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে তা অবৈধ। তার মানে হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেয় এমপিওসহ অন্যান্য ভাতা প্রাপ্তি থেকে। মন্ত্রণালয় যেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ডিল করে, তাদের দেয়া নিয়ম না মানলে সেই কলেজ ও শিক্ষকদের দুর্দশা ভোগ করতে হচেছ। অথচ একটি বিষয়ে তিনজন শিক্ষক দিয়ে অনার্স পড়ানো সম্ভব নয় যে কথা মন্ত্রণালয়ের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী চাকরিতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সহকারী অধ্যাপক অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা অনুযায়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হিসেবে তিন বছরের অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হিসেবে উচ্চমাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ/ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ/এমপিওতে তিন বছরের সহকারী অধ্যাপক পদে এবং মোট ১২ বছরের শিক্ষকতা অভিজ্ঞতা থাকার বিধান রয়েছে। ফলে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা লেগেই আছে। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কলেজে শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড গঠন করে গভর্নিং বডির মাধ্যমে সরাসারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবরের পর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির ক্ষমতা রহিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের বিধান বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। অনার্স মাস্টার্স কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষক প্রয়োজন হলে কীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে, তার বর্ণনা নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধিমালায়। কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্স অনুমতি নিতে গিয়ে তিনজন করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বেসরকারি ডিগ্রি কলেজগুলো। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। দুজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হলেও তৃতীয় জন দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। উচ্চ আদালতে গিয়ে বিষয়টির সমাধান করতে হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) কলেজের এই জনবলকাঠামোকে সমন্বয়হীনতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে দেশের অনার্স মাস্টার্স কোর্সের ৩৫০টি বেসরকারি কলেজের শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ ২৮ বছরেও জনবল কাঠামো তৈরি না করায় শুধু অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জনবল কাঠামো অনুযায়ী অনার্স-মাস্টার্স স্তরে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবিধানে এই সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগে আট শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বেগবান, গতিশীল, মানসম্পন্ন ও যুগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা জন্য দেশের সমস্ত বেসরকারি ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের কলেজগুলো সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত করা প্রয়োজন। তারা শুধু সার্টিফিকেট দেয়া আর নিয়োগ বোর্ডে প্রতিনিধি পাঠানোর প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকবে সেটি হলে এর মান বৃদ্ধি কিংবা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কার্যকরী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

তাই বেসরকারি কলেজগুলোর সব ধরনের নিয়োগ, শিক্ষকদের বেতনভাতা প্রদান, পদোন্নতি ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির যাবতীয় কাজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা প্রয়োজন এবং জাতীয় বাজেটে সেই ধরনের বরাদ্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়ার দরকার। মাউশিকে শুধু উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত দায়িত্ব ন্যস্ত করা প্রয়োজন। অযথা মাথাভারি প্রশাসন এবং তথাকথিত উচচশিক্ষা মাউশির অধীনে থাকায় কোনভাবে এর মানও বাড়ছেন আর মাউশিতে কাজের গতি আসছে না। এত বিশাল বহরের কলেজগুলোর সার্বিক দায়িত্ব এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বৈত দায়িত্ব পালন করার ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয় একটি অকার্যকরী কিংবা মানহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে মাউশি হাজার হাজার সরকারি বেসরকারি স্কুল ও কলেজ নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজও দ্রুত এবং চাহিদামাফিক সম্পন্ন করা হয়ে উঠছে না। সরকারি যেসব কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয় সেগুলোক স্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে ন্যস্ত করা প্রয়োজন। আমাদের নতুন শিক্ষামন্ত্রী এই ধরনের একটি ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে সম্ভবত কাজও শুরু হয়ে গেছে। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে কলেজগুলোর স্ট্যাটাস যেমন বাড়বে তেমনি শিক্ষার মানেরও উন্নতি ঘটবে। এসব কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারবেন এবং ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকগরা মন্ত্রণালয় থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই কলেজগুলোতে ডেপুটেশনে যাবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। তাতে, তারা একটু জবাবাদিহিতার মধ্যে থাকবেন, ফলে পড়াশোনাসহ সার্বিক ক্ষেত্রে অনেকটাই পরিবর্তন ঘটবে।

সর্বশেষ বেসরকারি কলেজ পরিচালনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুটি বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। একটি অপরটির সঙ্গে সাংঘর্ষিকও। ফলে দুই বিধিমালার আলোকে কলেজ পরিচালনা করতে গিয়ে নানামুখী ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষকরা। আমাদের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এবং শিক্ষা প্রশাসনকে অধিকতর কার্যকরী ও স্মার্ট করার নিমিত্তে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। উপরোক্ত বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত শুধু মন্ত্রণালয় কিংবা শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না। এ জন্য প্রয়োজন হবে আমাদের জাতীয় সংসদে বিষয়গুলো উত্থাপন করা। জাতীয় স্বার্থে সেটি আমাদের শীঘ্রই করা উচিত।

মাছুম বিল্লাহ: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর-ভাব বাংলাদেশ

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্যারিস অলিম্পিকে স্প্রিন্টার ইমরানুর

আত্মঘাতী গোলে ইউরো থেকে বিদায় বেলজিয়ামের

সিগন্যাল ত্রুটি, লাকসামে দাঁড়িয়ে গেল বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস

সিলেটে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

কারাগারে উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রতিবাদে সড়কে অগ্নিসংযোগ ও হরতাল ঘোষণা

আংশিক দায়মুক্তি পেলেন ট্রাম্প

মঙ্গলবার বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন

ডিসেম্বরেই বিপিএল, সূচি চূড়ান্ত

বালুবোঝাই ট্রাক কেড়ে নিল খালা-ভাগ্নির প্রাণ 

ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আহত ৬

১০

কোটা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১১

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি

১২

শিশুসহ নারীকে থানায় আটক / পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল মানবাধিকার কমিশন

১৩

চবির আবাসিক হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

১৪

সাভার থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

১৫

মুক্তিযুদ্ধে চালু থাকা ঢাবি মেডিকেল সেবা আজ কেন বন্ধ?

১৬

কোটা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

১৭

সংযুক্তির আদেশ বাতিল, সবাইকে মাঠপর্যায়ে পাঠানোর নির্দেশ পলকের

১৮

সিলেটে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

১৯

‘অসীম সাহা কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন’

২০
X