মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গত পহেলা এপ্রিল তিনি সংসদে শপথ গ্রহণ করেন। মিসরের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে সর্বমোট ৬৮ ভাগ ভোট পড়েছে, যার মধ্যে সিসি ৮৯.৬ ভাগ ভোট পেয়ে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। মিসরের সংবিধান অনুযায়ী তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিসি আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকবেন, অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
কিন্তু এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। একই সঙ্গে আগামী ছয় বছর প্রেসিডেন্ট সিসির জন্য সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলোই বা কি হতে পারে, তা নিয়েই আজকের আলোচনা। চলুন জেনে নিই!
সিসির ক্ষমতায় পদার্পণ:
২০১১ সালের আরব বসন্তে মিসরের স্বৈরশাসক হোসনী মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের পতন ঘটে। মিসরে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক ভোটে নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসি। মুরসি তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন সিসিকে। নয়া সরকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মিলিটারি ক্যু’ এর মাধ্যমে মিসরের ক্ষমতা দখল করেন আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট (ফিল্ড মার্শাল) পদ গ্রহণ করেন যাতে জাতীয় নির্বাচন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
সিসির বিরোধীদল ও জনমত দমন:
ক্যু’র পর, দ্রতই সেনাবাহিনীর সহায়তায় মোহাম্মদ মুরসিকে গ্রেপ্তার করেন প্রেসিডেন্ট সিসি। এর পূর্বে, মিলিটারি ক্যু’ এর বিরোধিতা করে ১৪ আগস্ট (২০১৩) সিসির বিরুদ্ধে রাবা স্কয়ারে একটি র্যালিতে গুলিবর্ষণে নিহত হন ৮১৭ জন বেসামরিক নাগরিক।
মুরসিকে গ্রেপ্তারের পর, মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করেন তিনি। ফলে দেশে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জোরদার করতে ষড়যন্ত্র মামলা, গুজব সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী আইনে মামলাসহ নানা দমনমূলক আইন তৈরি করেন এবং এর ভুক্তভোগী শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই নন, বরং এনজিও/সোশ্যাল একটিভিস্ট, ব্লগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এমনকি করোনাকালে ভ্যাকসিন ইস্যুতে বেশকিছু ডাক্তারও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বর্তমানে মিসরের রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা ৬০ হাজারেরও বেশি এবং স্বাধীন কোনো মিডিয়া নেই।
বিতর্কিত নির্বাচন:
২০১৩ সালের পর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধকরণ, রাজনৈতিক কারাবন্দি ও দমন-পীড়নের নীতির ফলে সিসির রাজনৈতিক শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনেও তাই ৯৭ ভাগ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালে মুরসির ও ২০২০ সালে হোসনী মোবারকের মৃত্যুর পর মিসরের রাজনৈতিক মাঠ ফাঁকা থাকায় নিজের ইচ্ছামতো স্বতন্ত্র প্রার্থী বাছাই করে মনমতো নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন সিসি। অন্যদিকে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংকট যেমন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকেও নির্বাচনী কাজে লাগিয়েছেন বেশ সূক্ষ্মভাবে। তাই ৮৯.৬ শতাংশ ভোটের অংক অনেকটাই বিতর্কিত।
নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সিসির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল করা। গত পয়লা এপ্রিল প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তিনি শপথ গ্রহণকালে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা, আইএমএফ কর্তৃক লোন নেওয়া, ফিলিস্তিনি ইস্যুসহ নানা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দেন। আগামীর দিনে সিসির সম্ভাবনা:
উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য আবারও উত্তাল সময় পার করছে। লিবিয়ায় চলছে গত এক যুগ ধরে গৃহযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী দৈন্যদশা। ওদিকে মিসরের আরেক প্রতিবেশী দেশ সুদানে দুই সামরিক জেনারেলের মধ্যকার ক্ষমতার আধিপত্য রূপ নিয়েছে জাতীয় সংঘাতে। এরই মধ্যে গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। যার প্রভাব পড়েছে মিসরেও।
এখানে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর একটা সহজ স্বার্থ কাজ করে, তা হচ্ছে একটি অস্থিতিশীল অঞ্চলে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে বাকি অন্য দেশগুলোর সংঘাতে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়া। একই কৌশল অবলম্বন করে মিসরকে পাশে রেখে পশ্চিমা বিশ্ব ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, লিবিয়ায় পশ্চিমা স্বার্থ উদ্ধার ও সুদানের রাজনৈতিক সংঘাতকে আরও উস্কে দিতে চায়।
এখানে, এই অঞ্চলে মিসর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক খেলোয়াড়। সিসির কূটনৈতিক তৎপরতাই ঠিক করে দেবে মিসরের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, বিদেশি মিত্রতা ও এই অঞ্চলের আগামীর স্থিতিশীলতা। সিসি নিজেও কপ-২৭ কনফারেন্স আয়োজন করে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ নজর কেড়েছেন। অন্যদিকে, অক্টোবরে ৩০টি দেশ নিয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিন বিষয়ে পিস সামিটের আয়োজন করেছেন। আগামীর দিনে বহুপাক্ষিক এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা, ও ভারসাম্য রক্ষা করে চলা সিসির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে। অন্যদিকে, হুথি বিদ্রোহীদের হামলা সৌদি ও পশ্চিমাদের মিত্রতা বাড়িয়েছে মিসরের সাথে।
এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্ট অনুযায়ী আরও কিছু সম্ভাবনা হচ্ছে:
● ১১৪,০০০ কিলোমিটার লম্বা কৃত্রিম নদী খনন যার ফলে মিসরের খরা, মরুভূমি ও শুষ্ক অঞ্চলের পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে। একইসাথে নীলনদের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে আসবে।
● প্রজেক্ট “Tohska El-Khair” ও দ্বিতীয় সুয়েজ ক্যানাল। যার মাধ্যমে নদীপথ ও নদীতীরে মিসরের কৃষিজ জমি বৃদ্ধি করা হবে। সরকারি তথ্যানুসারে এই জমিতে প্রায় বার্ষিক ৫০০,০০০ টন ভুট্টা ও গম উৎপাদন করা হবে। যা দেশের গম আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে আনবে।
সিসির জন্যে আগামীর চ্যালেঞ্জ:
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: মিসর বিগত এক দশক যাবত চরম অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে সামরিক ও স্বৈরশাসনের অধীনে থাকায়, দেশটির প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি খুব বেশি একটা সফল হতে পারেনি। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন যাবত বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণের নীতিও মিসরের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
ইদানীংকালে, মিসরের সবচেয়ে বড় সমস্যা অতিরিক্ত ব্যয়। আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মিসর গত দশ বছরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ নানা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ঋণ করেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই অস্থিতিশীল যে, মিসর ২০১৬ সালে আইএমএফের থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঋণ নিয়েও মিশরীয় পাউন্ডের মান ডলার রেটে ৮.৮ থেকে ১৭.৬ এ নেমে দাঁড়ায়। আর বর্তমানে অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫% এ। অন্যদিকে, আইএমএফের কারণে মিসর বাধ্য হয় ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে। যার ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম উলটো দ্বিগুন বেড়ে যায়। আদতে ১৬ সালের ঋণ কোনো কাজেই আসেনি দেশটির।
অন্যদিকে পরের বছরই বিভিন্ন এনজিও হিউম্যান রাইটস নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সিসি নতুন আইন জারি করেনঃ যে কোনো এনজিও ৫৫০$ এর বেশি ডোনেশন করার জন্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে৷ যার ফলে এনজিওর কার্যক্রমও বন্ধের মুখে।
২০২২ সালে তাই আবারও ৩ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ ঋণ নেয় দেশটি, তবুও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ায় এবং সবশেষ সিসি বিগত ৬ই মার্চ আবারও ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণ করেন। দেশটি বর্তমানে ১৬০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে হাঁটছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতে, মিসর আদৌ এই ঋণ শোধ করতে পারবে কি না সেই সন্দেহ থেকেই যায়।
এই সমস্যাগুলোর বেশকিছু কারণ হচ্ছে:
● সেনাবাহিনীকে অন্যায় সুযোগ-সুবিধা ও ট্যাক্স ফ্রি ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়া। ● করোনা মহামারি ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিতে নেতিবাচক প্রভাব। ● ঋণ নিয়ে মহাপ্রকল্প গ্রহণ, নতুন রাজধানী তৈরি করা হলেও এই প্রকল্পগুলো থেকে পর্যাপ্ত আয় না আসা। ● নতুন রাজধানী তৈরিতে ২০১৫ সালে ৪৫ বিলিয়ন ব্যয় ধরা হলেও বর্তমানে এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে। যার ফলে চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও আর ঋণ দিতে কিংবা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী না।
এক্ষেত্রে আগামীতে সিসির জন্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কি কি?
● ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে সুয়েজ খালে ব্যবসা বাণিজ্যে অস্বাভাবিক হারে কমেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মিসরের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। ● ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধে, ইসরায়েল কর্তৃক তামার ওয়েলফিল্ড বন্ধ করে দেওয়া, যার ফলে তেল ও গ্যাসের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। ● দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। গত এক বছরে মিসরে খাবারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ ভাগে । দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনতে না পারলে এবং সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও সমানাধিকার তৈরি করতে না পারলে সিসি সরকারের টিকে থাকাটাই হয়ে পড়বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ:
আগামী ছয় বছরে প্রেসিডেন্ট সিসির রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ হবে “রাজনৈতিক বন্দি” নিয়ন্ত্রণ করা। ইতিমধ্যেই সিসি ৬০ হাজারেরও অধিক নাগরিককে রাজনৈতিক কারণে বন্দি করেছেন৷ বন্দির পরিমাণ এত বেশি হওয়ায় নির্মাণ করেছেন নতুন বেশকিছু জেলখানা৷ শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায়, সোশ্যাল একটিভিস্ট ও মানবাধিকার কর্মীরাই সবচেয়ে বড় ভিকটিম হচ্ছেন। তাঁদের একজন হচ্ছেন আলা আব্দেল ফাত্তাহ, যিনি বিগত ৯ বছর ধরে জেল খাটছেন এবং মিসরীয় ও ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় ব্রিটিশ সরকার থেকেও চাপ আসছে সিসি সরকারের প্রতি। কপ-২৭ অনুষ্ঠানে, ফাত্তাহর বোন আন্তজার্তিক বিভিন্ন নেতাদের সামনে জানান এই ফাত্তাহর কারাবাস, নির্যাতন ও কারাগারে অবশনের কথা। এভাবে রাজনৈতিক বন্দি চলতে থাকলে মিসর অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বে সবদিক থেকেই চাপে পড়বে।
আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারসাম্য:
আঞ্চলিক রাজনীতিতে মিসর একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। একপাশে উত্তর আফ্রিকা, অন্যদিকে ইসরায়েল ও আরব বিশ্বের দেশগুলো। দুইয়ের মাঝে থাকায় মিসরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিংও বটে। যেমন:
● লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ পরবর্তী বর্তমান রাজনৈতিক সংকটসহ অন্যান্য ইস্যু মিসরের রাজনীতি ও দেশের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য মিসরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আগামী দিনে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ● ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংকট একটি বহুমাত্রিক সংকট। যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিকসহ নানাভাবে মিসরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে মিসরের শরণার্থী সংকটে পড়ার আশংকাও রয়েছে। ● মিসর-ইথিওপিয়ার দ্বন্দ্বঃ নীলনদে আফ্রিকার সর্ববৃহৎ ড্যাম-গ্র্যান্ড রেনেসাঁস ড্যাম নির্মাণ নিয়ে ইথিওপিয়া ও মিসরের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন যাবতই। ঘটেছে গুপ্তহত্যা কিংবা মার্সেনারি আক্রমণের মতো ঘটনাও। আগামীতে ইথিওপিয়া ও মিসরের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন কীভাবে হবে তাই এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ● সিনাই উপত্যকায় আইএসের প্রভাব ও সিসির ব্যর্থতা। সিনাই উপত্যকায় আইএস প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসলেও প্রেসিডেন্ট সিসি অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। ● মিসরের দক্ষিণের দেশ সুদানেও চলছে চরম সংঘাতময় পরিস্থিতি। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ায়, এটি মিসরের অভ্যন্তরেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
মুহাম্মদ ইরফান সাদিক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন