পুতিন এখনো রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন, কেননা তার কোনো বিকল্প নেই। এই বিকল্পহীনতা এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। রাশিয়ার মানুষের মনে দানাবাঁধা গৃহযুদ্ধ ও বিপর্যয়ের ভয়কে জাগিয়ে রেখে, পশ্চিমাদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে মুক্ত হওয়ার তাগিদকে পুঁজি করে পুতিন ক্ষমতায় টিকে থেকেছেন, টিকে আছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও পুতিন স্বমহিমায় দাপট নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন বিশ্বরাজনীতিতে।
ওয়াগনারের মস্কোযাত্রার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক বেরিয়ে এসেছে ঠিকই, কিন্তু এতে পুতিনের ক্ষমতায় আঁচ লাগেনি। বরং কিছুক্ষেত্রে তিনি লাভবান হয়েছেন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জটিল পরিস্থিতিতে ওয়াগনারের বিদ্রোহ লিটমাসের মতো কাজ করেছে পুতিনের জন্য।
বিনা রক্তপাতে শুধু আলোচনার মাধ্যমে যে সমাধান পুতিন করেছেন তা তাকে জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। একইভাবে এটি পশ্চিমা সমালোচকদেরও বিপদে ফেলেছে। পুতিন রক্তপাত ঘটিয়ে বিদ্রোহের সমাধান করলে কিংবা বিদ্রোহ নিয়ে একেবারেই চুপচাপ থাকলে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তেন।
বেড়েছে জনপ্রিয়তা:
আলজাজিরায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক লিওনিড রাগোজিন বলেছেন, প্রিগোজিনের বিদ্রোহ হয়তো পুতিনকে দুর্বল দেখিয়েছে, কিন্তু গৃহযুদ্ধের যে বাস্তব আশঙ্কা ছিল তা সরাসরিভাবে এড়ানো গেছে। এ পরিস্থিতিতে এমনটাও হতে পারত যেখানে পুতিন শাসনামলের মোহভঙ্গ না করে প্রেসিডেন্টের পেছনে পুরো দেশ এসে দাঁড়িয়েছে।
বিবিসি জানায়, পুতিন জনসম্মুখে এসে ওয়াগনার বিদ্রোহে নিহত রুশ পাইলটদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর তিনি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিদ্রোহ রুখে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এরপর পুতিন জনগণের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন। এমনটা সাধারণত হয় না। তিনি স্বদেশি পর্যটনকে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে জনগণের সাথে মিশে যান। রুশ টেলিভিশন রাশিয়া ওয়ান জানায়, রকস্টাররাও এমন অভিবাদন পান না। প্রিগোজিনের বিদ্রোহ পুতিনকে দুর্বল করেছে বলে পশ্চিমাদের যে ধারণা তা একেবারেই ভ্রান্ত প্রমাণ করেছে এই তুমুল জনস্রোত। এসময় একজন বালিকার মাথায় চুমু খান পুতিন
বিবিসি জানায়, বিদ্রোহের পর সম্প্রতি মস্কোতে একটি বাণিজ্য কনফারেন্সে যোগ দেন পুতিন। এটিতে তাকে রকস্টারের মতো মনে না হলেও তার চারিত্রিক পরিভাষায় তিনটি বিষয় পরিষ্কার ছিল। তিনিই সর্বেসর্বা, তিনি সম্পূর্ণ সচল এবং জনগণের পূর্ণ সমর্থন আছে তার। পুতিনকে এ সময় কার্টুন আঁকতে দেখা যায়। একটি লাল রঙের কলম দিয়ে তিনটি চুলের গোছাবিশিষ্ট একটি কার্টুন আঁকেন পুতিন। রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় পারদর্শী এই নেতা বিদ্রোহের পরের সপ্তাহজুড়ে খুবই সচল ছিলেন। তিনি এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তড়িৎগতিতে ছুটেছেন। ক্রেমলিনের নেতা এটাই প্রমাণ করতে চাইছেন যে, তিনি বহাল তবিয়তেই ক্ষমতায় আছেন। তার ভাবসাব এমন যে, খুব দ্রুতই পুনর্নিবাচন দিলেও খুব একটা অবাক হওয়ার সুযোগ নেই (আসন্ন বছরে তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে)।
নিরপেক্ষ মত প্রদানের প্রতিষ্ঠান লেভাডা সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২২-২৩ তারিখে ৩০ শতাংশ মানুষ ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে সমর্থন জানায়। ২৮ শতাংশ মানুষ তাকে আংশিক সমর্থন জানায়।
তবে জুন ২৫-২৮ তারিখের জরিপে উঠে আসে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ প্রিগোজিনকে সমর্থন জোগাচ্ছেন। ১৮ শতাংশ মানুষ দিয়েছেন আংশিক সমর্থন।
এদিকে লেভাডা সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের সমর্থনে ভাটা পড়েনি একটুও। বিদ্রোহের আগে এটি ছিল ৮২ শতাংশ। বিদ্রোহের দিনে এটি ৭৯ শতাংশে নেমে এলেও পুনরায় ৮২ শতাংশে ফেরত এসেছে তার জনসমর্থন।
বন্ধু চেনার সময়:
ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের পর প্রেসিডেন্ট পুতিনকে তার নেওয়া পদক্ষেপের জন্য তুরস্কের নেতা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ‘পূর্ণ সমর্থন জানান।’ ব্লুমবার্গ জানায়, পুতিন তাকে বিদ্রোহের ব্যাপারে জানালে এরদোয়ান ক্রেমলিনে ফোন করেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদলু এজেন্সি জানায়, এরদোয়ান বলেন, কেউ যেন এ পরিস্থিতি থেকে লাভবান না হতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে মিলিত হয়ে তুরস্ক শান্তিপূর্ণ সমাধানে কাজ করতে আগ্রহী।
এদিকে একই ধরনের বার্তা আসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকেও। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কোর নেওয়া পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থন আছে। এই বিদ্রোহ দেশকে অচল করে দিতে পারত। বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪ জুন রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ নেতৃত্বে দেশের আইন প্রতিষ্ঠায় এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে ভারত।
ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীকে কেন্দ্র করে রাশিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বেইজিংয়েরও। সম্প্রতি রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আনুষ্ঠানিক মন্তব্য চাইলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি দেয় চীন। সেখানে তারা বলে, এটা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও নতুন যুগের কৌশলগত সাথী হিসেবে চীনারা রাশিয়ার জাতীয় স্থিতি রক্ষা, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির সপক্ষে অবস্থান করে।
রোববারই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়ার সাথে চীনাদের কথা হয়েছে। এর ভেতর ওয়াগনারের বিদ্রোহের বিষয়টিও ছিল। মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলের এক বিবৃতি অনুযায়ী, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গাংয়ের সাথে চীন সফরে দেখা করেছেন।
রুশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জুনের ২৪ তারিখের ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশিয়ার ফেডারেশনের চেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীনারা। সেই সাথে তারা রাশিয়ার পূর্ণ সফলতা কামনা করে এবং বিদ্যমান সংহতি বজায় রাখতে চায়।
২০২২ সালে পুতিন যখন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করলেন তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছিল ভারত। সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন সামিটে পুতিন ও মোদির দেখা হয়। ভারতের বিমান বাহিনী বর্তমানে ৪১০টির বেশি রুশ জঙ্গি বিমান ব্যবহার করছে। রাশিয়ার তৈরি সামরিক যন্ত্রাংশের ভেতর ভারতীয়রা সাবমেরিন, ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার, ফ্রিগেট এবং মিসাইলও ব্যবহার করছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিশ্বে তেল কেনায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ব্যাপকহারে তেল আমদানি শুরু করে। মার্চের ৩১ তারিখে শেষ হওয়া অর্থনৈতিক বছরের হিসাব অনুযায়ী, সমুদ্রপথে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল আমদানি দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করেছে কীভাবে মস্কোর তেল বিক্রি থেকে মুনাফা কমানো যায়। ডিসেম্বরে ইইউ এবং জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলো একত্র হয়ে সমুদ্রপথে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের বেশি দামি রাশিয়ান তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তী সময়ে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠিন হয়। এ সময় প্রায় সবধরনের রাশিয়ান তেলজাত পণ্য এবং পেট্রোলিয়াম সামগ্রী রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এমন নিষেধাজ্ঞায় পড়ে মস্কো বেশিরভাগ তেল এশিয়ার দিকে রপ্তানি শুরু করে। এই দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারত অন্যতম। রাশিয়াকে পশ্চিমী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ডলার বাদে অন্যান্য মুদ্রার মাধ্যমে এসব লেনদেন হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার প্রতি তুরস্কের খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে বড় ধরনের ঢেউ তৈরি করেছে। রুশ ও তুর্কি নেতারা আগস্টে সোচিতে দেখা করেন। তারা সে সময় এই দুই দেশের ভেতরকার বাণিজ্য চুক্তি বৃদ্ধি করে। ২০২২ সালে তুরস্কের সাথে রাশিয়ার রপ্তানি ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৮ বিলিয়নে পৌঁছে। এ ছাড়া রুশ অলিগার্কদের তুরস্কে পর্যটনের ব্যাপারেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন রাশিয়ান ২০২২ সালে তুরস্ক ভ্রমণ করেন।
অভিজাত রাশিয়ানরা উচ্চ মূল্যে তুরস্কের নাগরিকত্ব কিনছেন এবং জায়গা-জমি কিনছেন। তুরস্কের গণমাধ্যম টার্কস্ট্যাট জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১২ হাজার ৯৬০ জন রাশিয়ান তুরস্কে বাড়ি কিনেছেন। উল্লেখ্য, ৪ লাখ ডলারের ইনভেস্ট থাকলে দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। ২০২২ সালে তুরস্কে রেসিডেন্সি পার্মিটসহ জাতীয়তার দিক থেকে রাশিয়ানরা শীর্ষে বলে জানিয়েছে তুরস্ক সরকার।
২০২২ সালের জুলাইতে পুতিন ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পাঠান। দক্ষিণ আনাতোলিয়ার উপকূল অঞ্চলে আকুয়ু নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য ওই অর্থ দেওয়া হয়। পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণকারী রোসাটমের অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ যাওয়ার পর তুর্কি ব্যাংকগুলো বিদেশি ঋণ শোধ শুরু করে এবং তুরস্কের জনগণ মুদ্রাস্ফীতি থেকে রেহাই পায়।
রাশিয়ার সাথে বেইজিংয়েরও বন্ধুত্ব ক্রমে আরও জোরদার হয়েছে। এদিকে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একদিকে তারা রাশিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে অন্যদিকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। এর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থাকে চীন।
২০২৩ সালের মার্চে চীনা প্রেসিডেন্ট রাশিয়া ও চীনকে ‘কৌশলগত পার্টনার’ এবং ‘বড় প্রতিবেশী শক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেবারের দীর্ঘ আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চীনের দেওয়া ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এতে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে- চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে। তারা আরও দাবি করেছে, চীনারা ইতোমধ্যেই প্রাণঘাতী নয় এবং দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায় এমন প্রযুক্তি সরবরাহ শুরু করছে। এসব যন্ত্রপাতি বেসামরিক এবং সামরিক দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায়। যেমন- ড্রোন এবং সেমি-কন্ডাক্টর।
এদিকে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে চীন। ইইউ শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেপ বোরেলকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘আপনারা যখন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছেন তখন আমরা রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছি নাকি করছি না সেটা নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?’ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের এমন মন্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, তারা এখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য পশ্চিমকেই দায়ী করে।
সেনাবাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান:
ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহ থেকে সরে যাওয়ার পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানান, তিনি কোথায় আছেন সেটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বিষয়। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানায়, পেশকভের এমন মন্তব্য অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ছিল।
জেনারেল সুরোভিকিনের সাথে কী ঘটেছে তা নিয়ে কিছুই বলেনি রুশ প্রশাসন। রুশ কর্মকর্তারা একবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলেন তো আরেকবার ছেড়ে দেওয়ার। আইএসডব্লিউ মনে করে, ওয়াগনারের সশস্ত্র বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের কাছাকাছি থাকা জেনারেল হিসেবে সুরোভিকিনকে যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াগনারের বিদ্রোহ পুতিনকে তার সেনাবাহিনীর ভেতরকার নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি বের করতে সাহায্য করেছে। পুতিন তার সেনাবাহিনীতে নতুন কী পরিবর্তন আনতে পারেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
মন্তব্য করুন