ড. সাজ্জাদ জহির
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সাজ্জাদ জহিরের নিবন্ধ

নির্বাচনে প্রার্থীদের বিদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে খোলা চিঠি

ছবি : সৌজন্য
ছবি : সৌজন্য

পূর্বের বেশ কিছু লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে , বাংলাদেশে ‘দ্বৈত নাগরিক’ নামে একটি আইনি সত্ত্বার অনুমোদন ১৯৫১ সালের নাগরিকত্ব আইনের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। যদিও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা অন্য পাঁচজন বিদেশিদের তুলনায় সীমিত পরিসরে অধিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবি রাখেন, তাদের বাংলাদেশি নাগরিকদের (যাদের আনুগত্য শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি রয়েছে) সমপর্যায়ে দেখা সমীচীন নয়। বিশেষ করে, দেশের সংবিধানে বর্ণিত যোগ্যতার মানদণ্ড এবং দেশের আইন ও বিধিগুলোর বর্তমান ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি বোঝা যায়- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই বিদেশি নাগরিকরা (FCBO- ফরেন সিটিজেনস অফ বাংলাদেশ অরিজিন) দেশের সংসদে সদস্যপদপ্রার্থী হওয়ার জন্য নাগরিকত্ব-সম্পর্কিত পূর্বশর্ত পূরণ করেন না। এমনকি তারা কোনো কোনো সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না বলে জেনেছি। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানকে সমুন্নত রাখার এবং এর মৌলিক নীতিমালার কোনো লঙ্ঘন না হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

উপরে বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল, রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার আবেদন নির্বাচন কমিশনে (নিক) জমা দেওয়ার আগে, যাচাইবাছাই করে দেখবেন। সেটা করলে নিক-এর ওপর চাপ কম পড়ত। তবে অনস্বীকার্য, চূড়ান্ত যাচাইবাছাইয়ের দায়িত্ব নিক-এর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এককভাবে তারাই এ কাজটি করবে, এবং দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাচাইবাছাইয়ের দায়িত্বও নিক-এর।

এই কাজটি পোক্ত হয় যদি নিক প্রার্থী-পর্যায়ে এবং মনোনয়নকারী রাজনৈতিক দলগুলো (কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব) কর্তৃক হলফনামা দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়, যেখানে ‘বাইরের দেশের নাগরিক নই’ মর্মে স্বীকৃতি থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে অঙ্গীকার থাকবে, মনোনীত কোনো প্রার্থীই বাইরের দেশের নাগরিক নন। এ ছাড়াও, বাংলাদেশের বিদেশি মিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি), দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এবং নেট থেকে সংগৃহীত তথ্য, একজন প্রার্থীর ‘বিদেশি নাগরিকত্বের স্থিতি’ মূল্যায়নে সহায়ক হবে।

সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বিদেশি নাগরিকত্ব (সাধারণত দ্বৈত নাগরিকত্ব হিসেবে আখ্যায়িত) থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন কারও কারও প্রার্থিতা প্রত্যাখ্যান করেছে। অবহেলিত এই বিষয়টি নিক-এর নজরে এসেছে এবং তারা এ-সংক্রান্ত কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে জেনে আশা জাগে। সেসব খবরে জানা যায়- বরিশাল-৪ আসনের আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী (এবং আ.লীগ আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সচিব!) শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হওয়ার কারণে নিক তার প্রার্থিতার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রার্থী আপিল করেছেন কি না তা অজানা। তবে জানা যায়, এ-সংক্রান্ত সব আপিলের সুরাহা কিছুটা বিলম্বে করা হবে।

গণমাধ্যমে আসা আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো ফরিদপুর-৩ আসনে আ.লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ নিক-কে অনুরোধ করেছেন। শামীম হক বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বলে অভিযোগ করা সত্ত্বেও শামীম হকের প্রার্থিতা আবেদন নাকচ করা হয়নি। আজাদ আপিল করেছেন বলে জানা গেছে, যদিও সেই আবেদনের ফলাফল জানা যায়নি।

নাগরিকত্ব যাচাই করর জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা না থাকায় হতাশ হতে হয়। শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আজাদের আপিলের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা পদ্ধতিটি পড়লে মনে প্রশ্ন জাগে। কেন, একজন প্রার্থী বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার কারণে যোগ্য নয়, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর ওপর বর্তাবে? জানা গেছে, আপিলটিতে শামীম হকের বিদেশি পাসপোর্টের ফটোকপি প্রমাণ হিসেবে দিতে হয়েছিল। যদি, অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে, বিদ্যুতের অর্থ প্রদান, অনাদায়ী ঋণসংক্রান্ত ব্যাংক ছাড়পত্র, আয়কর প্রদান, ইত্যাদি পূর্বশর্ত নিশ্চিত নিক-এর পক্ষে করা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে ভিনদেশের নাগরিকত্ব যাচাই কেন সম্ভব হবে না, তা বোধগম্য নয়। ন্যুনতম, প্রতিজন প্রার্থীর একটি হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা উচিত, যেখানে উল্লেখ থাকবে, তিনি অন্য কোনো দেশের নাগরিক নন এবং পরবর্তী যে কোনো সময়ে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে, তার প্রার্থিতা বা পদ খারিজ হবে।

এ জাতীয় কঠোর ব্যবস্থা না থাকলে জাতীয় সংসদে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ ঘটবে। সেই সম্ভাবনাকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। নাগরিকত্বের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে বা তথ্য গোপন করে, আরও অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিক-এর অনুমোদন পেয়ে থাকতে পারে। সে সবের অনেক ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না হতে পারে, যার ফলে, সেসব প্রার্থীর নাগরিকত্ব পরিচয় এবং অবৈধ অংশগ্রহণ জনসাধারণের দৃষ্টির অন্তরালে রয়ে যাবে। এটা জরুরি যে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে এবং সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য বর্তমান যাচাইবাছাই প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে।

বিদেশে নাগরিকত্ব নেওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তিকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার জন্য সংবিধানে যথেষ্ট কার্যকারণ রয়েছে। ভেবে দেখুন, একটি সার্বভৌম দেশের (বাংলাদেশ) আইন প্রণয়নকারী সংস্থাতে (জাতীয় সংসদ) এমন সব সদস্য রয়েছেন যারা অন্য দেশের নাগরিক এবং যাদের আইনানুগ বশ্যতা সেই দেশের সংবিধানের প্রতি! সেই দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার শপথে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের কথা উল্লেখ করুক বা না করুক, কার্য্যত, নতুন দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের ফলে সেই দেশের সরকারের (এবং রাষ্ট্রের) প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন ছাড়াও এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের সংসদে অন্তর্ভুক্তির ফলে ভিন্ন একটি বিপদের সম্ভাবনা জাগে। দেশের আইন প্রণয়ন বা পরিমার্জনের কেন্দ্র না হয়ে, সংসদ একটি ট্রেডিং হাউসে (বাণিজ্য কেন্দ্রে) পরিণত হবার সম্ভাবনা জাগে। যেখানে টেন্ডার ও সরকারি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের দর-কষাকষি ও বণ্টন নিকটত্বের কারণে সহজ হয়।

তথ্য ঘাঁটলেই জানা যাবে, সমস্ত প্রধান ঔপনিবেশিক শাসকদের (তথাকথিত উন্নত পশ্চিম) দেশে এইসকল ‘দ্বৈত নাগরিক’গণ ছড়িয়ে আছেন এবং সেসব দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে সংসদে অনুপ্রবেশকারীরা তৎপর হওয়াটাই স্বাভাবিক। স্পষ্টতই, এটি ওয়াশিংটন ডিসি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), লন্ডন (যুক্তরাজ্য), সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশেষ ভিসাধারী ব্যক্তিদের মধ্যে (যেমন : মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ভারত) কাউন্টারপার্ট ‘ট্রেডিং হাউস’গুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে!

দেশের সম্পদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং রাষ্ট্র ‘ব্যর্থ’ হিসেবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত একটি অনুন্নত দেশে এই ধরনের ব্যবসা চলতে পারে! সেই ক্রান্তিকাল সৃষ্ট হলে এফসিবিওরা গণহারে বিদায় নেবে, যা সংসদে শূন্যতা সৃষ্টি করে অরাজকতার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। একটি ভূখণ্ডের সবদিকে বেড়ার বেষ্টনী হয়তো ন্যায্যতা খুঁজে পায় এমনই একটি আশঙ্কায়! এসব শঙ্কা জাগার কারণে বিষয়টির প্রতি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশা করছি , তারা প্রমাণ করবেন যে নির্বাচন না হওয়ার চাইতে একটি সুষ্ঠু ও সংবিধান-মোতাবেক নির্বাচন হওয়া ভাল। প্রার্থিতা যাচাইবাছাইয়ের বর্তমান পর্যায়ে, সংসদে অনুপ্রবেশের প্রথম ধাপ হিসেবে অনাকাঙ্ক্ষিত (ও সাংবিধানিকভাবে অবৈধ) ব্যক্তিদের নির্বাচলে অংশগ্রহণ বন্দ করার জন্য সব সম্ভাব্য উপকরণ প্রয়োগ করার জন্য নিক-কে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, নন-এফসিবিওর ঘোষণাসহ একটি হলফনামা হলো প্রথম আইনি পদক্ষেপ, যা আরোপ করা জরুরি।

আরও কিছু সাদামাটা পদ্ধতি রয়েছে যা নিক পরবর্তী ধাপে বিবেচনা করতে পারেন। ভিনদেশে নাগরিকত্ব নেওয়া ব্যক্তিদের ওপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেসব দেশের আয়কর আইনজীবীরা সরবরাহ করতে পারেন, কিন্তু তারা তাদের মক্কেলদের হয়তো হারাতে চাইবেন না। বিকল্প পন্থা হিসেবে, প্রতিটি প্রার্থীকে পূর্ব-নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি) থেকে আগমন বা সেখানে গমনের (ভ্রমণের) শেষ তারিখ ঘোষণা করতে বলা যেতে পারে।

একজন অনুমোদিত কর্মকর্তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে ভ্রমণটি বিদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে করা হয়েছিল কি না। যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভ্রমণ করা হয়, সেই পাসপোর্টে বিশেষ ভিসা (যেমন : পিআর বা গ্রিন কার্ড) ছিল কি না। এসব উপাত্ত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট দপ্তরের তথ্যাভাণ্ডারে পাওয়ার কথা। এসবের বাইরে, প্রার্থীর বাংলাদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় পরিপূরক তথ্য সংগ্রহ সম্ভব। এসকল উদ্যোগ নৈর্ব্যক্তিকভাবে কার্যকর করা হলে প্রার্থীর ভিনদেশের নাগরিকত্ব যাচাই করতে সহায়ক হবে।

সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগে উপরোক্ত বিষয়ে কার্যকর যাচাইবাছাই বাস্তবায়ন জরুরি। আমরা এমন ব্যক্তিতে ভরা নতুন সংসদ দেখতে চাই না যারা সহজেই রঙ পরিবর্তন করতে পারবে এবং রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করবে।

ড. সাজ্জাদ জহির : অর্থনীতিবিদ; নির্বাহী পরিচালক, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ

সাভারের তরুণীর টানে ঢাকায় কোরিয়ান যুবক

‘আ.লীগের মতো চোর পৃথিবীতে আর নেই’

‘উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ’

সেন্টমার্টিন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন পর্যটন উপদেষ্টা

যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

টেনিসে বাংলাদেশের আরেকটি জয়

ইসরায়েলের মৃত্যু দেখছে ইরান

‘বাংলাদেশের সব জায়গায় নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে’

১০

শিরোপা দিয়ে কিংসের মৌসুম শুরু

১১

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে ইতালি

১২

জামায়াত রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেয় না : সেলিম উদ্দিন

১৩

২৩ রানের জন্য ফেরারি মিস আর্যবীরের

১৪

বড় যুদ্ধ বাধলে যেসব দেশকে পাশে পাবে রাশিয়া

১৫

মেসির কণ্ঠে বার্সেলোনার প্রশংসা

১৬

‘জনগণের বিরুদ্ধে গেলে সরকারকে এক সেকেন্ডও দেওয়া হবে না’

১৭

আইসিসির চুক্তিতে সই করা ১২৪ দেশে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু

১৮

বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে জনগণ উদগ্রীব : আমান

১৯

নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যাব : ধর্ম উপদেষ্টা

২০
X