মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
ড. মইনুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. মইনুল ইসলামের নিবন্ধ

স্বাধীনতার ৫২ বছর: আমরা কতটুকু এগোলাম?

ড. মইনুল ইসলাম। ছবি : সৌজন্য
ড. মইনুল ইসলাম। ছবি : সৌজন্য

২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা আমাদের ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করতে চলেছি। এখন প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিশ্বকে জানান দিয়ে চলেছে যে বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল এবং দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৪৭-৭১ পর্বে পূর্ব বাংলা/পূর্ব পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ হিসেবে শোষণ, বঞ্চনা, সীমাহীন বৈষম্য ও লুণ্ঠনের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল পাকিস্তানের শাসকরা, যার পরিণতিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করে আমরা পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম।

স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল বিশ্বের ‘রোল মডেলে’ পরিণত হয়েছে। যে দশটি গুরুত্বপূর্ণ ডাইমেনশন বাংলাদেশের অর্থনীতির এই ইতিবাচক পরিবর্তনকে ধারণ করছে সেগুলো নিম্নরূপ:

১। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২’ মোতাবেক ২০২২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার অনুপাত ১৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, অথচ ১৯৭২ সালে এদেশের ৮২ শতাংশ মানুষের অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল।

২। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে ১৯৮১-৮২ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত হিসেবে বৈদেশিক সাহায্য ১০ শতাংশের বেশি ছিল এবং ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে ওই অনুপাত ১৩.৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। নিচে উপস্থাপিত সারণি-১ এর তথ্য-উপাত্তে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের, প্রধানত জিয়া আমলের, অর্থনীতির বৈদেশিক সহায়তানির্ভরতার করুণ চালচিত্রটি ফুটে উঠেছে। জিয়া সরকার ১৯৭২-৭৫ পর্বের বঙ্গবন্ধু সরকারের চাইতে অনেক বেশি বৈদেশিক সহায়তা আকর্ষণে সক্ষম হয়েছিল দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রিয়ভাজন হওয়ার কারণে। ফলে ওই সময়েই বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈদেশিক অনুদান ও ঋণনির্ভরতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।

গত ৪১ বছরে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর এদেশের অর্থনীতির নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির এক শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের মাত্র ১ শতাংশের মতো ছিল খাদ্য সাহায্য, আর বাকি ৯৯ শতাংশই ছিল প্রকল্প ঋণ। এখন বাংলাদেশ আর পণ্য সাহায্য নেয় না। এর তাৎপর্য হলো, বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতির টিকে থাকা না থাকা এখন আর কোনোভাবেই নির্ভর করে না।

বিংশ শতাব্দীর সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশ যে বৈদেশিক সাহায্য পেত, গড়ে তার ২৯.৪ শতাংশ ছিল খাদ্য সাহায্য, ৪০.৮ শতাংশ ছিল পণ্য সাহায্য, আর ২৯.৮ শতাংশ থাকত প্রকল্প সাহায্য। সারণি-১ দেখাচ্ছে, ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর বাংলাদেশের আমদানি বিলের ৭১.১৭ শতাংশই পরিশোধ করতে হয়েছিল বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ দিয়ে। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের ১০৪.৮ শতাংশ এবং ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর উন্নয়ন বাজেটের ৯৭.৮৩ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। (তার মানে, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর সরকারের পৌনঃপুনিক ব্যয়ের অংশবিশেষও বৈদেশিক সহায়তার অর্থে মেটাতে হয়েছিল!) বৈদেশিক সাহায্যের অপরিহার্যতা সম্পর্কে একটা জুজুর ভয় দেখানো হতো, কারণ বৈদেশিক সাহায্য দুর্নীতির একটি সিস্টেমকে লালন করে থাকে। উপরন্তু, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে দ্রুত বিস্তার লাভ করা এনজিওগুলো বৈদেশিক সাহায্যের জন্যে লালায়িত। এখন যখন খাদ্য সাহায্য গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে এবং পণ্য সাহায্য আর নিতে হচ্ছেনা তাহলে বৈদেশিক সাহায্যকে বাংলাদেশের জনগণের জীবন-মরণের সমস্যা হিসেবে দেখানোর কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশ এখন আর খয়রাত-নির্ভর দেশ নয়; এটা এখন একটি বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে।

৩। বাংলাদেশ এখন তার আমদানি ব্যয় আর রপ্তানি আয়ের ব্যবধানটা প্রায় বছর মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে প্রেরিত রেমিট্যান্সের চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধির হার এবং বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বছরের পর বছর অব্যাহত চলমান প্রবৃদ্ধি দেশের লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাবের এই স্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

৪। জনসংখ্যার অত্যন্ত অধিক ঘনত্ব, জমি-জনঅনুপাতের অত্যল্পতা এবং চাষযোগ্য জমির ক্রম-সংকোচন সত্ত্বেও বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করে এখন ধান-উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ধান উৎপাদন ছিল মাত্র এক কোটি দশ লাখ টন, ২০২২ সালে তা সাড়ে তিনগুণেরও বেশি বেড়ে তিন কোটি নব্বই লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। ধান, গম ও ভুট্টা মিলে ২০২২ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল চার কোটি ষাট লাখ টন। সত্তর লাখ টন আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে ২০২২ সালে বাংলাদেশে এক কোটি পাঁচ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। (এখনো আমরা অবশ্য প্রায় ৫৫/৬০ লাখ টন গম আমদানি করি।) মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। তরিতরকারি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চতুর্থ। খাদ্যশস্য, মাছ, তরিতরকারি উৎপাদনের এই সাফল্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও পুষ্টিমান উন্নয়নে সহায়তা করেছে। এটাও খুবই গুরুত্ববহ যে, আকস্মিক খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য ২০ লাখ টন খাদ্যশস্যের বিশাল মজুতও গড়ে তোলা হয়েছে।

৫। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রায় প্রতি বছর বেড়েই চলেছে এবং গত এক দশক গড়ে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশের মতো। নিচে উপস্থাপিত সারণি-২ এর তথ্য-উপাত্তে অর্থনীতির এই ক্রমবর্ধমান গতিশীলতা ও রূপান্তরের চিত্রটি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক ও সূচকের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। করোনা ভাইরাস মহামারি আঘাত হানার আগের বছর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছিল ৮.১৩ শতাংশ। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম গতিশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষত লক্ষণীয়, সারণি-২ এর ৪ নম্বর আইটেমে জিডিপির খাতওয়ারি হিস্যার পরিবর্তন অর্থনীতির রূপান্তরের সাক্ষ্যবহন করছে, যেখানে শিল্পখাতের অবদান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে। সারণির ৫ নম্বর আইটেমে বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১.৫৭ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারটিও খুবই আশাপ্রদ। বিশেষত, সরকারি বিনিয়োগ ২০০৭-৮ অর্থবছরের জিডিপির মাত্র ৪.৫০ শতাংশের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.০৩ শতাংশে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি প্রশংসার্হ।

৬। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার (৫,৫৫৬ কোটি ডলার), অথচ ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৭৫২ মিলিয়ন ডলার, মানে ৭৫.২ কোটি ডলার। শিল্পজাত পণ্য রপ্তানি থেকেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয়ে থাকে। রফতানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসছে বুনন ও বয়নকৃত তৈরি পোশাক খাত থেকে। চীনের পর বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। সস্তা শ্রমশক্তির কারণে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশের সুবিধাজনক অবস্থান অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে আবারো সঞ্জীবিত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিক পণ্য, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষিভিত্তিক খাদ্যপণ্য রপ্তানি বাজারে ভালোই সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

৭। বাংলাদেশের এক কোটি পঞ্চান্ন লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশে কাজ করছেন ও বসবাস করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের অভিবাসীদের সিংহভাগ অবস্থান করছেন। কিন্তু, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বড় বড় গন্তব্যস্থল। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যদিও কম দক্ষ শ্রমজীবী তবুও গত চার দশক ধরে প্রতি বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েই চলেছে, এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ২১.৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হুন্ডির মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণও ২০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বা আরো বেশি।

৮। ড. ইউনূস উদ্ভাবিত ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের সাফল্য গ্রামের ভূমিহীন নারীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পৌঁছে দেওয়ার একটা অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের জীবন ও জীবিকাকে এই ক্ষুদ্রঋণ বেশ খানিকটা সহজ করে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ২৮ শতাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করেছেন। অবশ্য, ক্ষুদ্রতর সংখ্যক ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতা সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে পেরেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শুধু ক্ষুদ্রঋণকে এদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিস্টেম কর্তৃক লালিত দারিদ্র্য সৃষ্টি ও পুনঃসৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলার যথার্থ প্রতিষেধক বিবেচনা করা সমীচীন নয়। কিন্তু দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীগুলোর কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পৌঁছে দেওয়ার এই সফল উদ্ভাবনটিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক দিক উন্মোচনের কৃতিত্ব দিতেই হবে।

৯। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মোতাবেক দেশের দ্রুত বিকাশমান পোশাকশিল্পে ৩৩ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, আর এই শ্রমিকদের ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী। সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক অবস্থানের এসব নারীর প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতে কাজের ব্যবস্থা করাটা তাদের বঞ্চনা ও চরম দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে একটি তাৎপর্যপূর্ণ নিরোধক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে বলতেই হবে, তৈরি পোশাকশিল্প খাত বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের একটি অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

১০। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতিসংঘ মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্য (এম ডি জি) ও টার্গেট অর্জনে ২০১৫ সালের বহু আগেই বাংলাদেশ নিশ্চিত সাফল্য অর্জন করেছিল। এগুলো হলো দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার অনুপাত অর্ধেকে নামিয়ে আনা, প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ ভর্তির লক্ষ্য অর্জন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের লিঙ্গ-সমতা অর্জন, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যকর সেনিটেশন ব্যবস্থায় ব্যাপক অভিগম্যতা, শিশুমৃত্যু ও ছোট বালক-বালিকাদের মৃত্যুহার হ্রাস সম্পর্কিত লক্ষ্য ও টার্গেটসমূহ। ২০১৫-৩০ সালের ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের’ প্রায় সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টার্গেটগুলো পূরণে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করে চলেছে।

ড. মইনুল ইসলাম : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির আটক

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১০

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১১

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১২

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৪

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৫

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৬

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৭

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

১৮

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

১৯

আমার কষ্ট নেই, আজ আমরা স্বৈরাচারমুক্ত : আহত তানভীরের পিতা

২০
X