বাংলাদেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে। রেমিট্যান্সের নিম্নগতি, টাকার অবমূল্যায়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রপ্তানি আয় কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া, অর্থপাচার, হুন্ডি ব্যবসা বৃদ্ধি, বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ছাড়ে ধীরগতি ইত্যাদির কথা উল্লেখ করছেন অনেকে।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কি সত্যিই খুব খারাপ? আত্মসমালোচনা ভালো, যদি এর মাধ্যমে আমাদের সমস্যা ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হই। আমাদের সিদ্ধান্তগুলো পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে জনকল্যাণমুখী হলে তাতে সুফল মেলে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পরিবর্তন এবং বর্তমান অবস্থায় উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ ক’বছর আগেই শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং তা প্রায় দু'বছর স্থায়ী হওয়া, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু এবং তা এখনো চলমান থাকায় সারাবিশ্ব এক অস্থির সময় কাটাচ্ছে। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে বিপর্যয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনীতিতে মন্দাভাব প্রভৃতির প্রভাব অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পড়েছে। তবে আমাদের সমস্যা যে শুধু বৈশ্বিক কারণেই হয়েছে তা নয়। অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, অনিয়ম, অনৈতিক ব্যবসা, দুর্নীতি প্রভৃতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে সংকট দেখা দিয়েছে। উচ্চমূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ক্ষয়, টাকার অবমূল্যায়ন, খেলাপি ঋণ, বিদেশে অর্থপাচার, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, উৎপাদন ও সরবরাহে বিপর্যয় প্রভৃতি যে সব সমস্যা ও সংকট অর্থনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে এগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কিত, সহজ কথায় একটি দ্বারা অন্যটি সৃষ্ট।
ব্যাংকিং সেক্টরের খেলাপি ঋণ, পুঁজি পাচার, প্রভাবশালীদের ঋণ পুনঃতপশিলিকরণের নামে সুদ মওকুফ ও অনৈতিক সুযোগ প্রদান, ভুয়া জামানতের বিপরীতে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ইত্যাদি দুর্নীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পুঁজি স্থানান্তরের কারণে নামিদামি ব্যাংকও দুর্বল, সমস্যা জর্জরিত ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংকের তথাকথিত মালিক, পরিচালক অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে এ বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ কোটি টাকা অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণের ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিগত কয়েক বছরে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলিকরণের জন্য অনেক সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু খেলাপি ঋণ আদায় তো হয়নি বরং দিন দিন বাড়ছে।
খেলাপি ঋণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হচ্ছে অর্থপাচার। এ বিষয় দুটিতে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলামের প্রচুর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আমিও কয়েকটি লেখায় দেশি-বিদেশি উৎস থেকে তথ্যাদি নিয়ে অর্থপাচারের ব্যাপকতা তুলে ধরেছি। হুন্ডি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থাৎ ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার, রপ্তানি আয় বিদেশে রেখে দেওয়া ইত্যাদির কারণে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক হিসাব মতে বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে। গত বছর বিপুল জনশক্তি রপ্তানির পরও গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৩৪ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স কম আসার প্রধান কারণ হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার। অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ দশমিক ৭৫ কোটি ডলার। তা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (আইএমএফ এর হিসাব মতে) ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে নেমে গেছে।
বলতে দ্বিধা নেই, বিদেশে অর্থপাচার তথা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাপাচারের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসার কথা তার অর্ধেকই হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়। সে হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে আমরা যে ২০০ কোটি ডলার বা ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাই সে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি ব্যবসার কারণে হারাচ্ছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রপ্তানি আয়। রপ্তানি খাত থেকে আসে মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৭০ শতাংশ, আর রেমিট্যান্স থেকে আসে ২৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুনে রপ্তানি আয় ছিল ৫০০ কোটি ডলারের ওপরে। জুলাই এ ৪৫৯ কোটি, আগস্টে ৪৭৮ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩১ কোটি ডলার; অর্থাৎ রপ্তানি আয় গত জুনের তুলনায় কমতির দিকে। অন্যদিকে দেশের মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি থাকায় তা মেটানোর জন্য প্রায় প্রতিমাসেই বাংলাদেশ ব্যাংক ১ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছাড়ছে। এ ছাড়া রয়েছে আমদানি ব্যয় মিটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অর্থ পাচারের ব্যাপকতা বুঝাতে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দুবাইয়ে ১৩ হাজার বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি রয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি খুলতে গড়ে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা খরচ হলে শুধু কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্যই খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। পর্তুগালে গত দুই বছরে আড়াই হাজার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের প্রত্যেকে কমপক্ষে ৫ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করেছেন। সে হিসেবে ওই দেশে পাচার হয়েছে কমপক্ষে ১২৫০ মিলিয়ন ইউরো। যেহেতু এখনো প্রতিমাসে যে হারে রিজার্ভ কমছে সেই হারে পুনর্ভরণ হচ্ছে না, সেহেতু রিজার্ভ তলানিতে পৌঁছাতে আরও সময় বাকি রয়েছে বলে মনে হয়। দুর্নীতি, পুঁজি লুণ্ঠন ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচার বন্ধ করতে না পারলে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব হবে না। বিদেশে যেসব বাংলাদেশি বাড়ি ক্রয় করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে কিংবা বিনিয়োগের বিনিময়ে পর্তুগাল, মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তাদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ নয়। এদের মধ্যে কারা বৈধ উপায়ে এবং কারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গেছে তা বের করা প্রয়োজন। জনস্বার্থে এসব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঋণখেলাপিদের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়া হবে না মর্মে গভর্নর বলেছেন। এদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করে সংবাদপত্রে প্রকাশে বাধা কোথায়? এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলামের একটি মন্তব্য এখানে উদ্ধৃত করা যায়। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অনেকগুলো বড় গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজি পাচারের অভিযোগ আছে। কিন্তু সেগুলোর কখনোই যথাযথ তদন্ত হয়নি। হাজার হাজার ব্যাংকঋণ লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আমলা, প্রকৌশলী, গার্মেন্টস মালিক ও রাজনীতিবিদ এখনো দেশ থেকে পুঁজি পাচার করছে। এসব পুঁজি পাচারকারী জাতির এক নম্বর দুশমন। তারা যদি ব্যাপক হারে বিদেশে পুঁজি পাচার না করত তাহলে অর্থনীতি বর্তমান সংকটে পড়ত না।’
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার জন্য সরকার নির্ধারিত ৯-৬ সুদের হার তুলে দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদদের চিৎকার শোনা এবং কার্যকর করায় বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক বিলম্ব করেছে। আর্থিক হিসাবের ঘাটতির কারণে সরকারি ব্যয় চালু রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক টাকা ছাপানো হয়েছে। এতেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পরে এর সাথে যুক্ত হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। ফলে কতিপয় চিহ্নিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এ তিন মাস ধরেই খাদ্যমূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে। বিশ্ববাজারে যখন অধিকাংশ খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী, সেসময় আমাদের দেশের অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম কেন ঊর্ধ্বমুখী এ প্রশ্ন করার অধিকার জনগণের রয়েছে। সম্প্রতি বাজারে চালের দামও কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে বলে খবরে প্রকাশ। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, মাছ ব্রয়লার মুরগি এসবের দাম আগে থেকেই চড়া। নিম্ন আয়ের মানুষেরাই মূল্যস্ফীতির বড় ভুক্তভোগী। তাদের স্বস্তি দিতে হলে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে, বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে, অবৈধ চাঁদাবাজিসহ অতি মুনাফাখোরি শক্ত হাতে দমন করতে হবে। ডলার সংকট এবং টাকার মানের অবমূল্যায়ন মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। সেজন্য সরকারকে অবশ্যই মুদ্রানীতি, রাজস্ব নীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমাদের দেশীয় মুদ্রা ইতোমধ্যে ২৭ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। টাকার মান ধরে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কিন্তু এতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ডলারের দাম বাড়ছে, টাকার মান কমছে। বৈদেশিক মুদ্রামান নির্ধারণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) কাছে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে একশ্রেণির ব্যাংক ও মুদ্রা ব্যবসায়ী কার্ব মার্কেটের সাথে যোগসাজশ করে মুদ্রা মান ওঠানামা করিয়ে ব্যবসা করছে বলে শোনা যায়। শ্রীলংকার ইনস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ দুশনি বীরাকুন সম্প্রতি ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মুদ্রার মান ধরে রাখতে রিজার্ভ থেকে খরচের কোনো মানে হয় না।’ বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কিংবা চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সামঞ্জস্য করতে হবে। একবার সেটি করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কারচুপি বন্ধ হবে, রেমিট্যান্স আগমন বাড়বে এবং রপ্তানি আয়ও বাড়বে। ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য এ উপায়ে রিজার্ভ সঞ্চিতির কোনো বিকল্প নেই।
দক্ষিণ এশিয়ারই দেশ শ্রীলংকা ২০১০ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। তাদের মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল, কিন্তু রাজস্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে সে দেশের অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। পরে সঠিক অর্থনৈতিক নীতিপদ্ধতি অবলম্বনের ফলে শ্রীলংকার বিপর্যয় অনেকটা কাটিয়ে ওঠার পথে। বৈদেশিক মুদ্রার জন্য হাহাকার কমে গেছে এবং মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। শ্রীলংকার তুলনায় আমাদের দেশ এখনো অনেক ভালো। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, আমরা বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগীসংস্থা এবং দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নসহযোগী দেশসমূহের আস্থা হারাইনি। উৎপাদন, রপ্তানি, কর্মসংস্থান, দ্রব্যের প্রাপ্যতা প্রভৃতি সামান্য কমলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। অর্থনীতির মৌলভিত্তি এখনো ভেঙে পড়েনি। এমতাবস্থায় সঠিক অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি, অর্থপাচার, খেলাপি ঋণ, মূল্যস্ফীতি প্রভৃতির কমিয়ে আনা হলে অর্থনীতি বর্তমান সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া : সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন