সাইফুল ইসলাম
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২৮ অক্টোবরের সংঘাত নিয়ে নিক্কেই এশিয়ার নিবন্ধ

২৮ অক্টোবরের সংঘাত। ছবি : নিক্কেই এশিয়া
২৮ অক্টোবরের সংঘাত। ছবি : নিক্কেই এশিয়া

শনিবার ঢাকার রাস্তায় সমাবেশ ডেকেছিল বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। পৃথকভাবে তিনটি দলের ডাকা এই সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক লাখ মানুষ। সেই সমাবেশকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং নির্বাচনের আগে তা উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে।

মহাসমাবেশ ডেকেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তার সাবেক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তাদের প্রধান দাবি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে বদ্ধপরিকর।

কিন্তু ইতিমধ্যেই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিএনপি এবং জামায়াতের মহাসমাবেশস্থলের পাশেই একই দিনে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশ ডাকে তারা। পরস্পরবিরোধী দুই পক্ষের পাশাপাশি সমাবেশকে ঘিরে উদ্বেগের জন্ম দেয়। প্রকৃতপক্ষে কিছু বিএনপি কর্মী ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাকর্মী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২৮ অক্টোবর তারিখের একটি তাৎপর্য রয়েছে। ২০০৬ সালের এই দিনে দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। গত শনিবার সেই একই ধরনের ঘটনার প্রতিধ্বনিত হলো। আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন একটি ফাটল সৃষ্টি হলো।

২০০৮ সালে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১০ সালে সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ নিজেদের অধীনে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের কৌশলের সমালোচনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচন ঘিরে চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে বাংলাদেশের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরাশক্তিশালী এই দেশটি। ভিসা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের এবং তাদের পরিবারকে আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ করেছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছিল শান্তিপূর্ণভাবেই রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো চলতে থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরিস্থিতি সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

রাজনীতি বিশ্লেষক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে কিছু উদ্বেগ দেখতে পাচ্ছি। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা একটি যুদ্ধাংদেহী ভঙ্গিতে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা আশা করছেন এটি তাদের দলের সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে এবং বিরোধীদের ভয় দেখাবে। অন্যদিকে বিরোধীরা তাদের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান সমর্থনে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থানে মনে করছে। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিবেশ নেই প্রশ্নে সব বিরোধীদের মধ্যে এক ধরনের মতৈক্য দেখা দিয়েছে।

শনিবারের সমাবেশের আগের দিন পুলিশ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে তাদের পছন্দের জায়গাতেই সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি বলছে, সমাবেশ চলাকালে তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ প্রথমে তাদের সমাবেশের জন্য অন্য জায়গা প্রস্তাব করলেও বিএনপির জোরালো অবস্থানের মুখে পরে তাদের পছন্দের জায়গাতেই সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। গত ডিসেম্বরে পুলিশ দলটিকে অন্যত্র সমাবেশ করতে বাধ্য করেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েক দিন ধরে দলটির দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিল এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছিল। তবে পুলিশ এখন অনেকটা নমনীয়। কিন্তু শনিবারের সমাবেশের আগে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং নজরদারি করতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে ক্যামেরা স্থাপন করে পুলিশ।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, গত কয়েকদিনে তাদের দলের কয়েকশ নেতাকর্মী এবং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি'র সমাবেশকে ঘিরে কিছু গণপরিবহন পরিষেবাও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বিএনপি বলছে, গ্রেপ্তার করে এবং গণপরিবহন বন্ধ করে তাদের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সমাবেশের আগের দিন শুক্রবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত চার দিনে পুলিশ প্রায় ১৭০০ জন বিএনপি নেতাকর্মী ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।’ অন্যদিকে পুলিশ বলছে, শনিবার ভোর রাতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে একটি ভবন থেকে ২০০ বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন-অর রশিদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল এবং তাদের কাছ থেকে ছোট বোমাসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’

শনিবার দুপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সমাবেশস্থলের আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে প্রচারিত লাইভ ফুটেজে দেখা গেছে, বিএনপি কর্মীরা তাদের সমাবেশ এলাকার কাছে বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় এবং মূল ফটকের ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করার জন্য রাস্তায় আধাসামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড নামানো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অন্তত একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিএনপি সমর্থক। কয়েকজন সংবাদকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। সমাবেশ বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নিক্কেই এশিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করছেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপস নয় বরং সরকারের কৌশলের পরিবর্তন। কারণ সরকার বুঝতে পেরেছে, বিশ্ব তার দিকে নজর রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা সিভিল সার্ভিস এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা ও অস্বস্তির তৈরি করেছে। আর এই সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’

শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপির সাবেক জোটসঙ্গী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে পুলিশ তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। তবে সমাবেশের আগের দিন জামায়াত ঘোষণা করে- তারা যেভাবেই হোক রাজধানীর মতিঝিলে তাদের সমাবেশ করবে। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য শনিবারের মহাসমাবেশে সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত তাদের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের জড়ো করে সমাবেশ করে। প্রশাসন তাদের তেমন কোনো বাধা দেয়নি। জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

২৮ অক্টোবর তারিখের একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। ২০০৬ সালের এই দিনে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে বিচারপতি কেএম হাসানকে রাখার বিরোধিতা করে। সেদিন ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় এবং এর আশপাশে বিএনপি, জামায়াতের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আসে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের অনেক নেতাকে জেলে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অসংখ্য আইনি মামলা করা হয়।

২০০৬ সালে গঠিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয় এবং তখন থেকেই দলটি ক্ষমতায় রয়েছে। জনমত জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বিরোধীদল এবং ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে সংলাপ জরুরি। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান বের করে আনতে হবে। সমাধান না হলে এই সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য শুভ কোনো পরিণতি বয়ে আনবে না।

সাইফুল ইসলাম : সাংবাদিক। ভাষান্তর - মুজাহিদুল ইসলাম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে লাখ টাকা জরিমানা

ক্রেতা সেজে মাদক কারবারিকে ধরল ডিবি পুলিশ

যোগদান করলেন বাকৃবির নবনিযুক্ত উপাচার্য

ডর্‌পের কর্মশালায় ‘স্মোকিং জোন’ বিলুপ্তির প্রস্তাব

হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলী গ্রেপ্তার

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইবিতে মিছিল

সিলেটে পাথরবোঝাই ট্রলিচাপায় কিশোর নিহত

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ববিতে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ

হাতিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদককে শোকজ

১০

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চবিতে মশাল মিছিল

১১

শহীদদের স্মরণে ববিতে দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যা

১২

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

১৩

দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে : ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ

১৪

বনানীতে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ

১৫

দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

১৬

জাবিতে কোনো কমিটিই নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে : ছাত্রদল

১৭

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল গৃহবধূর

১৮

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

১৯

দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা

২০
X