সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে পদোন্নতি বৈষম্য, কর্তৃত্ব বৈষম্য, আর্থিক সুযোগ-সুবিধার দিকে দিয়ে বৈষম্য, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে, খবরদারি ও যৌক্তিক ও বৈধ প্রাপ্তিতে বৈষম্য এক ধরনের চাপা উত্তেজনা এবং মাঝে মাঝে ভয়ংকর রূপ ধারন করে। একই পরীক্ষায় একই দিন যোগদান করে, পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও কোনো কোনো ক্যাডার দ্রুত পদোন্নতিসহ সবককিছু পেয়ে যায় আবার কিছু কিছু ক্যাডার এগুলো থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচেছ। আর দেশের এই আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনায় আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে বিশেষায়িত পড়াশোনায় এর প্রভাব সংশ্লিষ্ট সেক্টরের যুগোপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরিতে একদিকে যেমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে সেক্টরগুলোতে হতাশা ও ক্ষোভের কারণে মানসম্মত সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। ক্যাডারের আন্তঃবৈষম্য দূর করা আশু প্রয়োজন।
একই গ্রেডের চাকরি হলেও জেলা প্রশাসকের তুলনায় নির্বাহী প্রকৌশলী, সিভিল সার্জন, কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা বেশ নগণ্য বলে বিবেচিত হয়। তাছাড়া একজন উপসচিব গাড়ি ক্রয়ের জন্য ৩০লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ এবং সেই গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পান। সমমানের অন্যান্য ক্যাডারে এসব সুবিধা নেই। তারা বঞ্চিত বলে জনগণের প্রতি তাদের সেবার মানও সেভাবে প্রতীয়মান হয়। এর সূদুরপ্রসারী ফল হচ্ছে মেধবীরা অন্যান্য ক্যাডারে ইতিমধ্যে আসা বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা একমাত্র ঠেকায় পড়ে আসছে। অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে সার্ভিস সেক্টর ও বিশেষায়িত ক্যাডারে যোগ্য ও উপযুক্ত কর্মকর্তা পাওয়া দুষ্কর হবে।
আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে ইতোমধ্যে জেনেছি, ৩৫-৪০তম বিসিএসএর প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত এক হাজার ৯৮০ কর্মকর্তার মধ্যে ৩৮৭ জন ছিলেন প্রকোশলী ও চিকিৎক। ৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৩২১ জনের মধ্যে ১২৯ জন প্রকৌশলী। প্রকৌশলীরা যদি এসব ক্যাডারে যান তাহলে দেশ গড়বনে কারা? চিকিৎসকগন যদি এসব ক্যাডারে যোগ দেন তাহলে চিকিৎসা করবেন কারা। নাকি আমরা ডাক্তার বানাবো এসব ক্যাডারে যাওয়ার জন্য আর চিকিৎসা করাতে যাবে ভারত, সিঙ্গাপুর আর থাইল্যান্ড? আমরা কি সেটাই চাচিছ?
শুধু বিস্এিস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নেওয়ার মধ্যেই বৈষম্য নিরসন সীমাবদ্ধ নয় বলে কেউ কেউ ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন। দু’একজন বলেছেন পুরো শিক্ষাব্যবস্থাই এখন আইসিইউতে রয়েছে। সরকারি মতে বেসরকারি শিক্ষকদেরও বদলিপ্রথা চালু করা উচিত বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। প্রশাসন, পররাষ্ট্র ও পুলিশের ন্যায় কতিপয় ক্যাডার পদ না থাকলেও প্রতি বছর পদোন্নতি হয় যা অন্যান্য ক্যাডারে নেই। এমনকি উচচ আদালতের নির্দেশেও প্রতিকার পাওয়া যাচেছ না। যেমন ২০১৯ সালের মে মাসে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট দুই মাসের মধ্যে গণপূর্ত ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীগণের পদোন্নতি প্রদানের নির্দেশ দেন, যা আপিল বিভাগ ও রিভিউ আবেদনও বহাল থাকে। কিন্তু সেটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমারারি তো দূরের কথা গ্রেড-২ পর্যন্ত উঠারও সুযোগ নেই। এর প্রভাব সর্বত্রই পড়তে শুরু করেছে।
একটা সময় ছিল শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন এবং কেউ কেউ মাস্টার্স ভালোভাবে সম্পন্ন করে বিসিএস পরীক্ষায় মনোযোগ দিত, এখন যেটি হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর পরই বিসিএস গাইড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হয় শুধু সার্টিফিকেটটির জন্য। ভর্তি হয়ে তাদের পুরো সময়, আসল আকর্ষণ ও যত প্রস্তুতি সব চলে বিসিএস নিয়ে। এটি তো তাদের দোষও নয়। সমাজ ও রাষ্ট্র যেভাবে বিষয়গুলো নির্ধারণ করেছে তারা সে ব্যবস্থার শিকার। মাস্টার্সে ভর্তি হয় শুধু হলে থাকার জন্য। এর ফলে কিন্তু প্রতিবছর চার লাখের মতো বেকার তৈরি হচ্ছে দেশে। কারণ গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্সের পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা প্রায় সব শিক্ষার্থীই উৎপাদনমূলক কিংবা অর্থ উপার্জনমূলক কোনো কাজে ঢুকে না বা ঢুকলেও মনোযোগ দেয় না। সবাই বিসিএস পরীক্ষা দেয় একজন অফিসার হওয়ার জন্য, শক্তিশালী কেরানি হওয়ার জন্য। তারা কিন্তু কোনো ধরনের উৎপাদনের সহায়তা করে না, শুধু মেকি একটি ব্রিটিশ সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নিজেদের প্রটোকল আর সুবিধা ধরে রাখাসহ একটি আলাদা ও বিচিছন্ন গ্রুপ হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করার জন্য ক্যাডারে ক্যাডারে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। জনসেবা বা দেশসেবার মনোভাবে সেই অর্থে অনেকের মধ্যেই নেই।
দেশ ও জনসেবার কথা তাদের স্মরণে থাকলে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও জনগণকে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে গেলে ব্রিটিশ আর পাকিস্তান আমলের চেয়েও বহুগুণ বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় কেন? আট হাজারের মতো শিক্ষার্থী যদি এই চাকরিতে ঢুকতে পারে ভাল, বাকি প্রায় চারলাখই কিন্তু সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের ওপর বেকার ঘুরে বেড়ায়। এক অতৃপ্তি নিয়ে জীবনে বেঁচে থাকে, মনে করে জীবনে বিসিএস অফিসার হতে পারলাম না। এটির পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু কে করবেন, কিভাবে করবেন?
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অনেক শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্প এবং ইতিহাস দেখতে পাই। বর্তমানে অনেক যুবক ফ্রি-ল্যান্সিং করে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা অর্থ উপার্জন করছেন এবং বহু বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করছেন। সমাজের উচিত তাদের স্যালুট করা। অনেক ছেলেমেয়ে জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে উদ্যোক্তা, সফল উদ্যেক্তা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। দেশে সৃষ্টি করেছেন এবং করে চলেছেন বহু কাজের সুযোগ ও ক্ষেত্র। এভাবে যারা মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন তাদের কোনো কথাই আমরা বলি না। শুধু কে বিসিএস অফিসার হয়েছে তাকে নিয়ে ব্যস্থ থাকছি। ঐ উদ্যেক্তা ছেলে বা মেয়েটির ক্লাসমেট বিসিএস পুলিশ কিংবা কাস্টমসে চাকরি করে উদ্যোক্তার শিল্প কারখানায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের থ্রেট দেওয়া, আইনের দোহাই দিয়ে অনেককে অনেক হয়রানি করেন, উৎপাদনে অসহযোগিতা করেন। সমাজকে এগুলোও দেখতে হবে। সমাজ ও সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে যারা দেশ, মানুষ ও মানবতার সেবা করেন, করার ক্ষেত্রে ও সুযোগ তৈরি করেন, করে যাচ্ছেন তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই, বর্তমানে প্রচলিত মেকি বিষয় ও ধারনাগুলো ধীরে ধীরে দূর হবে।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনও বাস্তবায়ন হয় না। শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে শিক্ষা ক্যাডারের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন। প্রাথমিক থেকে শিক্ষা ক্যাডারকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগঠনের নেতারা সব সময় আমাদের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবকে বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেছেন। জনপ্রশাসন, অর্থসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়। দেখা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজটি সম্পন্ন হলেও অন্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিষয়টি আটকে যায়। যে কোনো ক্যাডার সার্ভিসেরই নিজস্বতা রয়েছে। সে অনুযায়ী সার্ভিসগুলো তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ পদে শিক্ষা ক্যাডারের বাইরের কেউ থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কাঙিক্ষত দক্ষতা অর্জন করে মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারছে না। একই পরিস্থিতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরেও। প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের উপরের পদগুলো প্রশাসনিক ক্যাডার দিয়ে দখল করে রাখার কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। শিক্ষা ক্যাডারের নেতৃবৃন্দকেও এ বিষয়ে খুব একটা উচচবাচ্য করতে আগে শুনিনি, তবে এবার তারা একটু সোচ্চার হয়েছেন। তবে, শিক্ষা ক্যাডারের নেতৃবৃন্দ যা বলেছেন অন্য ক্যাডার প্রাথমিক শিক্ষার দেখভাল করেন বলে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করতে পারছেনা সেটিতে একটু কথা আছে। কারন মাধ্যমিক, উচচ মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা দেখভাল করেন, সেখানেও কিন্তু মানের বিশাল সমস্যা রয়ে গেছে। তার মানে হচ্ছে পরিবর্তন প্রয়োজন সর্বত্র। কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে কোথাও।
একটি জেলায় বোধ করি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হচেছন কৃষি কর্মকর্তা। আমাদের দেশে কৃষিতে অনেকটা বিপ্লব ঘটে গেছে। এদেশে যখন সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল তখন প্রায় এক চতুর্থাংশ নাগরিকেকে না খেয়ে ঘুমোতে যেতে হতো, এখন সতের কোটি মানুষ কিন্তু আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কাছাকাছি। ১২ মাস ফল হচ্ছে, শাকসবজি হচ্ছে। নীরবে বিপ্লব ঘটিয়েছেন আমাদের কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি গবেষক এবং কৃষির সাথে যারা জড়িত তারা সবাই। তাদের অবদান বোধ করি সবচেয়ে বেশি। তারা নীরবে কাজ করছেন। তাদের আমরা কোনোভাবেই লাইমলাইটে নিয়ে আসি না, আসার চিন্তাও করি না।
একটি জেলায় কৃষির সাথে যারা জড়িত তারা একবছরে কী কী করলেন, কী আবিষ্কার করলেন, নতুনভাবে কী করেছেন সেই বিষয়গুলো, সেই গল্পগুলো সবার শোনা উচিত। তাহলে কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি কর্মকর্তাসহ সবাই উৎসাহিত হবেন। দেশও মারাত্মকভাবে উপকৃত হবে।
জেলায় আর একজন কর্মকর্তা হচেছন সিভিল সার্জন। তার কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপক, কতটা করতে পারছেন আর পারছেন না সেটি পরের কথা কিন্তু তার গুরুত্ব বিশাল। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা। বাঁচা-মরা নিয়ে কথা। একটি জেলার যত হাসপাতাল ও ডাক্তার, চিকিৎসা সেবা সবই কিন্তু তার দিকনির্দেশনায় ঘটে থাকে। অথচ তারও কোনো নাম নিশানা কখনও আমরা শুনি না। বছর আগে দুনিয়াজোড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতি গেল, সমস্ত মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখল এই কোভিড, বর্তমানে ডেঙ্গু আতঙ্ক কাঁপছে পুরো দেশ অথচ সিভিল সার্জনদের নিয়ে কোনো কথা আমরা শুনি না। হাসপাতালের দুরবস্থার কথা আমরা শুধু পত্রিকায় দেখি কিন্তু এগুলোর সাথে সিভিল সার্জনের সাথে কী সম্পর্ক সে নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না।
মূলত একটি জেলায়, উপজেলায় কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হওয়ার কথা যদি সত্যিকার অর্থে আমরা দেশের ও দেশের মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করি। একটি জেলার প্রকৌশলী থাকেন সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারই হোক কিংবা অন্য যে কোনো বিভাগেরই হোক, তার গুরুত্বও কিন্তু অনেক। জেলার রাস্তাঘাট, বিল্ডিং সবই তার আয়ত্বাধীন। তার কথাও আমরা শুনি না। একটি জেলায় যে শিক্ষা অফিসার থাকেন মাধ্যমিক একজন ( ডিইও) এবং প্রাথমিকে একজন (ডিপিইও) তাদের তো নামই নেই। তারা একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় চলেন যিনি প্রশাসন ক্যাডারেরর কর্মকর্তা। উপরোক্ত কর্মকর্তারা সবাই কিন্তু সৃজনশীল, সবাই উৎপাদন করছেন। সবাই পত্যক্ষভাবে মানব উন্নয়নে অবদান রাখছেন। কিন্তু আমরা জেলার এসব কর্মকর্তাদের নাম কখনও উচচারণই করি না, তাদের কোনোভাবে গণনাই করি না। তার মানে তাদের অবদান অমরা কখনই স্বীকার করতে চাচ্ছি না?
আমরা সর্বাদাই নাম শুনি, সর্বোচ্চ পরিমাণ গুরুত্ব দিয়ে থাকি ডিসি ও এসপিকে। কারণ এখানে ক্ষমতার কথা, ক্ষমতার বিষয়। সবকিছু ক্ষমতার সাথে জড়িত। স্বাধীনদেশে কি এই কালচার চলতেই থাকবে?
মাছুম বিল্লাহ : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)
মন্তব্য করুন