ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ব খাদ্য দিবস

টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে পানিই বাধা হতে চলেছে

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা তরলের নাম পানি। প্রতিটি প্রাণের বেঁচে থাকা, সালোকসংশ্লেনে খাদ্য উৎপাদন তথা খাদ্য নিরাপত্তায় পানি অপরিহার্য সম্পদ। জীবকোষের আয়তনের শতকরা ৬৫ ভাগ এবং ওজনে ৭০ ভাগ পানি। তা ছাড়া জীবের দেহাভ্যান্তরের এজাইমেটিক বিক্রিয়ার সময় পানি উৎপন্ন হয়, ব্যবহৃত হয়, পরিবর্তিত হয় বা সাময়িক ব্যবহৃত হয়। দেখা গেছে, দেহের ৩৫-৫০ ভাগ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয় বা অংশগ্রহণ করে। আমিষ সংশ্লেষণ ও অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন নামক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণ বিক্রেতার প্রধান ঘটক। পানি জীববিজ্ঞানের রসায়নকে সংজ্ঞায়িত করে এবং কোষের জীবন্ত অবস্থা বজায় রাখে এমন সংযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রভাবশালী রাসায়নিক কাজের প্রধান হিসেবে কাজ করে। পানি ইকোসিস্টেমকে সচল রাখে। খাদ্য ব্যবস্থা এবং পানিসম্পদ অত্যন্ত সম্পর্কিত। খাদ্য ব্যবস্থার কার্যক্রম (যেমন : কৃষি উৎপাদন, মৎস্যচাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য ব্যবহার) এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য পানিসম্পদ একটি অপরিহার্য উপকরণ হিসেবে পানি কাজ করে, তবে তা অবশ্য সুপেয় বা ফ্রেশ ওয়াটার। পৃথিবীতে সুপেয় পানির পরিমাণ মোট পানিসম্পদের ২-৩ ভাগ, যার শুধু একটি নগণ্য অংশই তরল আকারে বৃষ্টিপাত, জলাশয় ও নদীতে এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে পাওয়া যায় এবং খাদ্য ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।

সুপেয় পানি তিন রকম হয় যেমন- সবুজ পানি বা গ্রনি ওয়াটার (বৃষ্টির পানি বা বৃষ্টিনির্ভর সেচ ব্যবস্থা), নীল পানি বা ব্লু ওয়াটার (ভু-উপরিস্থ ও ভূ নিম্নস্থ পানি), ধূসর পানি বা গ্রে-ওয়াটার (সুপেয় পানির সাথে দূষকসমূহের নৃতাত্ত্বিক লোড একীভূত করার জন্য প্রয়োজনীয় পানি)। এ সুপেয় পানির ব্যবহারজনিত মূল চাহিদা হলো, কৃষি, শিল্প, গৃহস্থালির কাজে এবং যথাক্রমে শতকরা ৭০, ২২ ও ৮ ভাগ। পৃথিবীতে সবুজ পানি ব্যবহার করে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ ফসল উৎপাদন হয়, অন্যদিকে নীল পানিতে ৩০ ও ধূসর পানিতে ১০ ভাগ। বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি-৬ পূরণের মাধ্যমে একটি উন্নত খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। পানি একদিকে যেমন খাদ্য অন্যদিকে খাদ্য ব্যবস্থার অন্যতম মূল উপকরণ এবং পানির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফলে শূন্য ক্ষুধা এসডিজি-২ ও এসডিজি-৬ কে উপযুক্তভাবে মূল্যায়িত করতে এ বছর বিশ্বখাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, পানি জীবন, পানি খাদ্য : কাউকে পেছনে ফেলে নয়।

এখন দেখা যাক, বাংলাদেশে সুপেয় পানির ব্যবহার ও তার মাত্রিকতা অবস্থাটা কেমন। বেশিরভাগ ফসল তথা খাদ্য মাটির আর্দ্রতা থেকে উৎপাদিত হয়, এ আর্দ্রতা একচেটিয়াভাবে বৃষ্টিপাত থেকে আসে। বাংলাদেশের পানির প্রধান উৎস হলো বার্ষিক বৃষ্টিপাত, যা বছরের কয়েক মাসে (এপ্রিল থেকে অক্টোবর প্রায় ৮০ ভাগ) সারা দেশের হ্রদ ও নদীগুলোকে ভরাট করে এবং ভূগর্ভস্থ পানিকে রিচার্জ বা পূর্ণভরণ করে, সোজাসুজিভাবে তা সবুজ পানি। দেশের ৮০০ শতাধিক নদী, তথা তিনটি বড় নদী গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা (যাদের একত্রে জিবিএম বলে) এর ছোট ছোট উপনদী, শাখা নদীর সমাহার এবং এ তিনটি নদীর পানিপ্রবাহ পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, যে কারণে বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ আবার পানির দেশ বলা হয়। দেখা গেছে, জিবিএম অববাহিকার মোট ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকাটির মধ্যে মাত্র ৭ ভাগ অববাহিকা এলাকা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। উজানের দেশসমূহের প্রবাহ শাসন করার কারণে বৃষ্টিপাতের পানির প্রাকৃতিক ধারাটি বিরাট হুমকির মুখে। ফলে দেশের ছোট ছোট নদীর নাব্য ও পলি পড়ে নদীসমূহের পানি ধারণক্ষমতা কমেছে। দেশের সমগ্র ভূ-ভাগকে ৬টি হাইড্রোলজিক্যাল হটস্পটে ( উপকূলীয় অঞ্চল; বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ এলাকা; হাওর এবং আকস্মিক বন্যা এলাকা; পার্বত্য চট্টগ্রাম; নদী প্রণালি এবং মোহনা; এবং শহুরে এলাকা) ভাগ করা হয়েছে, পানি অবস্থাকেন্দ্রিক এ বিভাজনকে মূল্যায়ন করলে বোঝা যায়, উজানের পানির শাসনের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা, বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা, হাওরের আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ে ভূমিধস এবং শহুরে পানি-স্বল্পতার মাত্রা বেড়েছে বহুগুণে।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি আরও বেগতিকের দিকে নিয়ে যাছে। দেশে সবুজ পানির উৎস হলো বৃষ্টিপাত সুপেয় পানির উৎসও বটে। হাইড্রলজি অধিদপ্তরের সূত্রমতে, দেশে বছরে আনুমানিক ৩২ কিউবিক কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পানি প্রত্যাহার করার প্রয়োজন হয়, যার ৯০ ভাগ সেচের জন্য এবং বাকিগুলো গার্হস্থ্য ও শিল্প উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। সব উৎস থেকে বাংলাদেশের বার্ষিক নবায়নযোগ্য পানি ১২১১ কিউবিক কিলোমিটার এবং এর মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে প্রায় ২১ ঘন কিলোমিটার। বার্ষিক সেচের পানি দেশে প্রয়োজন প্রায় ১৯ ঘন কিলোমিটার। হারে ভূগর্ভস্থ সেচের পানির ব্যবহার বাড়ছে অচিরেই, তা মাত্রা অতিক্রম করবে। যে দেশের অভ্যন্তরে সুপেয় পানির পরিমাণ ও গুণগত ব্যবস্থাপনাও ইতিবাচক নয় । দেশের নীল পানির ব্যবহার মূলত সেচ, শিল্প ও গৃহস্থালির কাজে। বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে সফলতা মূল চাবিকাটি হলো শুষ্ক মৌসুমে সেচনির্ভর ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির নিবিড়তায় ভূগর্ভস্থ পানির অযাচিত ব্যবহার করা। এদিকে শিল্পের ব্যবহৃত পানির উৎসও এই নীল পানি, বর্তমানে দেশে গার্মেন্টস শিল্পে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহার হচ্ছে। দেখা গেছে, ১ মিটার কাপড় প্রক্রিয়া করতে ৩০০ লিটার পানি ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারী শিল্পের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশে পুরোনো জাহাজ ভাঙায় সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের পানি দূষিত হচ্ছে। দ্রুত বিকাশমান স্টিল শিল্পের গরম পানি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পানি দূষিত করে গোটা ইকোসিস্টেমকে ধ্বংস করে চলেছে।

দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের সুপেয় উৎসও নীল পানি এবং ব্যবহারের দিক থেকে এ পানির ব্যবহারই সর্বাধিক। ভূগর্ভস্থ নীল পানি অতিরিক্ত উত্তোলনে পানিস্তর নিচে নেমে যাচ্ছে । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে পানিস্তর প্রতিবছর ১ মিটারও বেশি নেমে যাচ্ছে। এতে দেশে খাবার পানিতে আর্সেনিক দূষণ বাড়ছে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ধুয়ে-মুছে নীল পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে যা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতি স্বাস্থ্য বিনষ্ট করছে, যা পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণায় প্রমাণ মেলে। ধূসর পানির দূষণকারী ঘনত্ব বেড়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হচ্ছে। বর্তমান ধারায় নিরাপদ পানির স্বল্পতা দ্বিমাত্রিকভাবে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যার অত্যধিক বৃদ্ধি, শিল্পায়ন, দ্রুত নগরায়ণ, অনুপযুক্ত স্যানিটেশন এবং কৃষি রাসায়নিকের ব্যবহার বাংলাদেশে পানির নিম্নমানের জন্য দায়ী। আবার পানিসম্পদে প্রভাবশালীদের আধিপত্য পানিতে সাধারণ সুবিধাভোগীদের প্রবেশাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘটু গ্রামের কৃষক রবি মারানডি সেচের পানি না পেয়েই বিষপানে আত্মহত্যা, এ ছাড়া সেচের পানির পাওয়া নিয়ে প্রতিবছর খুন-খারাবিও কম হয় না। দেশে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ লবণজলে চিংড়ি চাষ, উপকূলীয় অঞ্চলে পোল্ডার নির্মাণ করা হয়েছে। লবণাক্ততা প্রশমনের জন্য অথচ প্রভাবশালীদের চিংড়ি চাষের জন্য ভরা ফসল মৌসুমে লবণ পানি অনুপ্রবেশ করানোর জন্য সব কৃষিজমি লবণাক্ত হচ্ছে। আবার জমিতে সুপেয় পানি দিয়ে সেচ দেওয়ার জন্য পানি স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সাথে সাথে মাটি লবণাক্ত হচ্ছে।

হাওরে পানির অভাব হওয়ার কথা নয়, প্রভাবশালীদের বিল ইজারায় মাছ ধরে রাখার কৌশল হিসেবে চারপাশে বাঁধ দেওয়ায় ছোট খালে পানি ঢুকতে পারে না এবং খালগুলো দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। পাশাপাশি গৃহস্থালি ও উঁচু জমিগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করায় পানি স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাহলে বর্তমান ব্যবস্থায় জাতিসংঘ ঘোষিত শূন্য ক্ষুধা (এসডিজি-২ বা এসডিজি-৬ ট্র্যাকে নেই এটা হলপ করে বলা যায়। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য পানি জীবন এবং পানি খাদ্য: কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, বাস্তবায়ন করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে- জাতিসংঘের প্রতিপাদ্যে ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ বলতে শুধু মানুষকে বোঝানো হয়নি। এখানে জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ পরিবেশও অন্তর্ভুক্ত। সব ধরনের বৈষম্যকে, বৈষম্যের কারণ ও প্রতিকার চিহ্নিতকরণকে সমভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রতিকারের আয়োজন বাদ না দিয়ে। সেটা শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত না রেখে ভৌগোলিক সীমারেখা পার হয়ে বৈশ্বিক হওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে, কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাস্তবায়তা বৈশ্বিক বা আন্তর্জাতিকীকরণ অনেকটাই অলীক। তবে দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশমান দেশ হিসেবে একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন, তা বাস্তবায়নে নীতি কৌশল আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অবাস্তব নয়। পরিকল্পনায় পানিসম্পদের একটি সঠিক তথ্যভাণ্ডার থাকা দরকার। যার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

শিল্পোন্নয়ন , কৃষি উন্নয়ন, নগরায়ণ বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু সুস্থ ব্যবস্থাপনায় বর্তমান অবস্থায়ও নিরাপদ সুপেয় পানির বর্ধমান চাহিদা টেকসই জোগান দেওয়া সম্ভব, বিশেষ করে সবুজ, নীল ও ধূসর পানিকে। যেমন- দক্ষিণাঞ্চলের পোল্ডারগেট নিয়ন্ত্রণে গ্রাসরুট সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে একটি কর্মকৌশল নেওয়া দরকার। পাশাপাশি চিংড়িচাষিদের মিঠাপানির বা সুপেয় পানির চিংড়ি চাষে উৎসাহিত করা যেতে পারে, আর স্থানীয় নদীনালার ড্রেজিং করলে সুপেয় পানির সংরক্ষণ বাড়িয়ে একদিকে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা প্রশমন করা যায়, পাশাপাশি পানি স্তর নেমে যাওয়া কমে যাবে। সারা দেশে শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহার হয়। খরা বা লবণাক্ততা সহিষ্ঞু ধানের সাথে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি পাকা ড্রেন, ফিতা পাইপ, বারিড পাইপ প্রযুক্তি প্রচলন জোরদার করা । এ ছাড়া বৃষ্টিনির্ভর ফসলের চাষ নিবিড় করা যেতে পারে। পানির গুণগত মান ঠিক রাখতে পরিবেশগত চাষবাসও বালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে জোর দিতে হবে। বর্তমানে ফসলি জমিতে খুব বেশি নাইট্রোজেন সার দেওয়া হচ্ছে, যা সেচের পানির সাথে মিশে খাবার পানি দূষিত করছে, ইউরিয়া সার ব্যবহারের একটি সুস্পষ্ট কৌশলপত্র থাকা দরকার। শিল্প হবে কিন্তু শিল্পের উপজাত পানিসম্পদকে দূষিত করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থাই কাজ করছে না। জীবনমান যত উন্নত হবে গৃহস্থালিতে পানির ব্যবহার আরও বাড়বে, তবে গৃহস্থালিতে বা শহরে যেভাবে পানির অপচয় হয় তা অস্বাভাবিক না মানসিক রোগের লক্ষণ। সবার সাশ্রয়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়। দেশে যে বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার হয় তা পুনর্ব্যবহারের কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান সাফল্য তৈরি করা যায় না। তবে তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। এটা খুবই আশার কথা যে, পানির সুষ্টু ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন হয়েছে, কিন্তু তাকে বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ খুবই স্লথ। পানি জীবন ও পানি খাদ্য- এটি বাস্তবায়নে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন যা স্থানীয় গ্রাসরুট সংগঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি।

ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X