জন্মিলে মরিতে হইবে ইহাই নিষ্ঠুরতম সত্য। ইহা জানিয়া, বুঝিয়া, দেখিয়া, শুনিয়াও কেহই মরিতে চাহে না। রবী বাবু ঠিকই মানবের পালস বুঝিয়াছিলেন। তাই লিখিয়াছেন, “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর এ ভুবনে। মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই”। কিন্তু শেষ বয়সে শারিরীক ভাবে দুর্বল হইয়া তিনি আরেক উপলব্ধি জানান দিয়া গিয়াছেন,“মরণ রে তুহু মম শ্যাম সম”। কঠিন বাস্তবকে স্বীকার করিয়া যেন স্থির মৃত্যুকে স্বান্তণা সঙ্গীত শুনাইতে চাহিয়াছেন।
মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণ করিবার ক্ষমতা মানবের, দানবের কাহারো হাতে নাই। থাকিলে কী হইত কে জানে? তবে মানুষ সহজে মরিতে চাহে না। সুন্দর এই পৃথিবীর রূপ, রস, গন্ধ, বর্ণ আস্বাদনে অনাদিকাল পরিতৃপ্ত হইতে চায়। জীবনানন্দ দাস ছিলেন ভাবের কবি, প্রকৃতিরও। জীবনের কোন কিছুতেই তিনি শেষতক মিমাংসায় উপনীত হইতে পারেন নাই। আর এজন্যই বোধহয় ভাবিতে ভাবিতেই ট্রামের নিচে দেহ দিয়াছেন। হয়ত তখন তাহার মগ্ন চৈতন্যে অন্য কোন শীষ বাজিতেছিল। তাই, অদ্ভুত শখে লাশ কাটা ঘরে শুইয়া অর্থ, কীর্তি, স্বচ্ছলতা লইয়া বিপন্ন বিস্ময় অনুভব করিবার কল্পনা করিয়াছেন। যাহারা গলায় দড়ি দেয়, ওড়না প্যাচায়, নিজেকে উত্তাল নদীতে বিসর্জন দেয় বা অন্য কোন প্রকারে হত করে তাহাদের মনস্তত্ত্ব পাটিগণিত বা এলজাবরার কোন ফর্মুলা মানিয়া উপসংহারে পৌছায় তাহা জানিবার উপায় নাই। নিজেকে হনন করিবার জন্য প্রয়োজন কঠিন মানসিক দৃঢ়তা। উহা অন্য আলোচনা। মূলে ফিরিয়া আসি।
শারিরীক-মানসিকভাবে সুস্থ কোন মানুষই মরিতে চাহে না। অথচ মৃত্যু অনিবার্য। এই উপলব্ধি হইতেই সে নিজেকে অমর করিয়া রাখিতে চায়। সুকর্ম তাহাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অমর করিয়া রাখে। তাই, উত্তর প্রজন্ম তাহার মঙ্গল কামনায় সম্মিলিত বা ব্যাক্তিগতভাবে প্রার্থনা করিয়া থাকে। এই প্রকারে তাহাকে স্মরণে রাখিয়া দেয়। এই প্রণোদনাই মানুষকে সৎ কর্মে প্রবৃত্ত করে। তাহার রচিত সুকৃতির মাঝেই সে মানবের মাঝে বাঁচিয়া থাকিবার বিকল্প পথ খুঁজিয়া লয়।
আবার কেউ কেউ মৃত্যুকে জয় করিতে চায়। ইহা আক্ষরিক অর্থে নয়, রূপক অর্থে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, জাতিসত্ত্বা আর সারা বিশ্বে অকুতোভয় বীরের সম্মান অভিলাষী এই সব মানব বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট হইবার ব্রত লইয়া তাহাদের সর্বস্ব উজাড় করিয়া দিয়া থাকে। মৃত্যু অবশ্যই তাহাদেরকেও গ্রাস করে, তবে ধরাধামে অমর করিয়াও রাখে।
গৌরচন্দ্রিকা হিসাবে এইটুকু যথেষ্টই হইয়াছে। এখন ঝারিয়া কাশিবার সময় হইয়াছে। ছেলেবেলায় পড়িয়াছিলাম যে, “নিজে যারে বড় বলে বড় সে নয়। লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়”। যুগে যুগে দেশ-বিদেশে খ্যাতিমানরা কখনোই নিজেদেরকে যাহির করিতে প্রয়াসী হন নাই। বড়ত্ব তাহাদের আচার-আচরণে প্রকাশ্য হয় নাই। তাহারা বাঁচিয়া রহিয়াছেন আমাদের হৃদয়ে, তাহাদের কর্মে, তাহাদের চিন্তাধারার খোরাকের মধ্যে। কেউ কেউ অন্যপথেও খ্যাতিমান হইয়াছেন। কিন্তু কালোত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই।
আজকাল খ্যাতি লইয়া বিভ্রান্তিতে পড়িতে হয়। খ্যাতির দুই পিঠ। সুখ্যাতি আর কুখ্যাতি। ইদানীং এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য করাও মুশকিল। প্রচার, প্রপাগান্ডার জোয়ারে এর ভেদাভেদ করা কঠিন হইয়া পড়ে। বহুকাল আগে হইতে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে গোবেচারা টাইপের লোকজন স্বীয় প্রতিভা গুণে বিশিষ্ট হইয়া উঠিতেন। লোকেরা তাহাদের কীর্তি গাঁথা পড়িত, শুনিত, দেখিত, উপভোগ করিত। আর নিজেদেরকে তাহাদের আলোকে আলোকিত করিবার চেষ্টা করিত। তাই মানুষের হৃদয়ে আর মুখে মুখে তাহারা প্রজন্ম হইতে প্রজন্মে আদর্শ স্থানীয় ও খ্যাতিমান হিসাবে স্থান করিয়া লইয়াছেন। তাহারা প্রতিষ্ঠা, পুরষ্কার, রাজভাগ কোন কিছুতেই মনস্ক ছিলেন না। এমনকি বিশাল এই প্রতিভার বিপরীতে তাহাদের স্বচ্ছলতা পর্যন্ত ছিল না। পুরষ্কার পাইলে ধন্য হইতেন বটে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাগ্যে তিরষ্কার জুটিত। কারণ, তাহারা কাহারো অনুগত দাস বা ক্রীতদাস ছিলেন না।
আগে দাতা শ্রেণীর উত্থান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। বিশাল বপু উন্মুক্ত করিয়া অকাতরে দান-খয়রাত করিয়া তাহারা তৃপ্ত হইতেন। কেহ তাহাকে মাথায় লইয়া নাচিবে, ধুপ-ধ্যান করিবে এই সমস্ত তাহাদের চিন্তার চৌহদ্দিতে স্থান পাইত না। তাহাদের কারণেই আমরা পাইয়াছি টোল, মক্তব, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিদ্যায়তন, খেলার মাঠ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন উদ্যোগ। নিজেকে যাহির করিবার জন্য তাহারা ইহা করেন নাই। মানবের সেবার মাধ্যমে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির পথ খুঁজিয়াছেন। আজকাল তেমনটি দেখা যায় না। পুঁজির অর্থনীতির আছর সর্বত্র পরিলক্ষিত হইতেছে। মুনাফা, কি আর্থিক কি জাগতিক প্রতিষ্ঠা, যে ঢংয়েই হউক মুখ্য হইয়া উঠিয়াছে। ইহার ফলে ঘাট আঘাট হইতেছে। অঘাট ঘাটের দ্যুতি ছড়াইতেছে। কায়াকে ছাপাইয়া ছায়া বহুগুণে বিস্তৃত হইতেছে।
মৃত্যুকে লইয়া মানুষের কৌতুহল আর চিন্তার শেষ নাই। মৃত্যু অনিবার্য ইহা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ইহার পরে কী? এই কঠিন প্রশ্নই মানবের কাছে সবচাইতে বহুল চর্চিত বিষয়। অথচ ইহার উত্তর আজ অবধি অবিদিত। বিজ্ঞানীরা ইহার উত্তর পাইতে তাহাদের তালাশ-অনুসন্ধান চালাইয়া যাইতেছে। এখন পর্যন্ত অগ্রগতি শূণ্য। বিভিন্ন ধর্ম ইহার ব্যাখ্যা বিভিন্ন ভাবে দিয়াছে। মোটা দাগে প্রায় সব ধর্মই বলিয়াছে মৃত্যুর পর অসীম সময় রহিয়াছে আর রহিয়াছে কঠিন হিসাব-কিতাবের বিষয়।
মর্ত্যলোকে আমরা ভালমন্দ যাহাই করিতেছি পরপারে তাহার অনুপুঙ্খ হিসাব কষা হইবে। সরল অংকের মত পাপ-পূন্য, আকাম-সুকাম, আমল-ইবাদত, ফেতনা-ফ্যাসাদ ইত্যাদির ফিরিস্তি বিবেচনা করিয়া বেহেশত আর দোযখের ফয়সালা প্রদান করা হইবে। বিচারে কোনরূপ বাছবিচার করা হইবে না। ইহাতে রাগ-অনুরাগ-বিরাগের প্রভাব থাকিবে না। তয়-তদবির করিবার কোন অপশন থাকিবে না। এই বিচার প্রক্রিয়ায় আপীলের কোন বিধান থাকিবে না। মানি না, মানবো না বলিবার ক্ষমতাও মিউট করিয়া দেওয়া হইবে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশি, নেতা-মাথা কাহারো কোন কানেকশন কাজে লাগিবে না। মর্ত্যলোকের সিন্ডিকেট হাওয়া হইয়া যাইবে। অবস্থা এমনই হইবে যে, যে যাহার মত এক মাত্র সার্বজনীন শ্লোগান “ ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি” যপিতে থাকিবে।
এইরূপ চিত্র প্রতিটি ধর্মেই কমবেশি বিশদ আকারে বলা হইয়াছে। শিশুকাল হইতে উহা শুনিয়া শুনিয়া মগজে স্থিত হইলেও গা করিতে মন চাহে না। করিলেও শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছি। অথবা প্রগতির খপ্পরে পড়িয়া বা অর্থ-বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি আর যেনতেন প্রকারে বিশিষ্ট হইবার বাসনায় অস্বীকার করিয়া চলিতেছি। যাহারা নাস্তিক তাহাদের কথা আলাদা। তাহাদের হিসাব আলাদা, যুক্তিও ভিন্ন। তাহারা মৃত্যু পরবর্তী জগতকে থোরাই কেয়ার করিয়া থাকে। আজকের এই নিবন্ধ ইহাদের জন্য নয়। যাহারা পরকালে বিশ্বাসী কেবলমাত্র তাহাদেরকে লইয়াই।
মানবের মন অতি সংবেদনশীল। হর্ষে ইহা ত্বরিত উৎফুল্ল হইয়া উঠে আর বিষাদে তাৎক্ষণিকভাবে নেতাইয়া পড়ে। সু আর কু প্রবৃত্তি ইহাকে ক্যাটালিস্টের মত উচ্চ আর নিম্নগামী করে। কামনা-বাসনা ইহাকে যাতনা দেয়। আশায় মন প্রহর গুণে। বিফলতায় অতীষ্ঠ-অসুস্থ হইয়া পড়ে। এইসব মনের স্বাভাবিক ব্যাকরণ। কিন্তু হাই আর লো প্রেসারের মত হইলেই বিপত্তি বাধে। প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হইলে আর প্রাপ্তি সমহারে না হইলে হতাশা পীড়িত করে। নার্ভ শক্ত না হইলে মানবের যে কোন প্রকার বিপর্যয় হইতে সময় লইবে না। আর আকাশচুম্বী প্রত্যাশা লইয়া নানা রূপ ছুন্দি-ফুন্দির আশ্রয় লইয়া যাহারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝাঁপাইয়া-কোপাইয়া বেড়ায় তাহাদের প্রাপ্তি আশানুরূপ হইলে প্রত্যাশার মাত্রা কেবলই গগনগামী হইতে থাকে। তখন প্রাপ্তিই মুখ্য, অন্যসব গৌণ বলিয়া মনে হয়। ইহারাই পারলৌকিক বিষয়াদিকে আড়াল করিবার প্রয়াস পায়। যেন বর্তমানই জরুরি। ইহাদের একটাই মন্ত্র, যে কোন প্রকারেই ‘ভবিষ্যত’ সুনিশ্চিত করিতে হইবে।
আমাদের অবস্থা এমন হইয়াছে যে, মূল্যবোধ আর নীতি-নৈতিকতাকে সিন্দুকে ডাবল লক করিয়া আমরা বেপোরোয়া হইয়া উঠিয়াছি। সমাজের প্রতি আমাদের যেন কোন দায়বদ্ধতা নাই। রাষ্ট্রের মঙ্গলামঙ্গলে যেন আমাদের কোন যায় আসে না। মানুষের প্রতি আমাদের ন্যুনতম উপচিকীর্ষা নাই। যাহা কিছু করিতেছি তাহা স্ত্রী-পুত্র-কন্যার নাম দিয়া করিতেছি। ইহার মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও দেশকে কালিমাযুক্ত করিতেছি। যাহাদের জন্য করিতেছি তাহারা ইহার সুফলভোগী হইলেও ঠিকই জানে এই সম্পদের উৎস কি আর প্রভাবের খুঁটি কোথায় প্রোথিত? সমাজও উহা জানে। তবে কেহই রা করিতেছে না। হিতে বিপরীত হইবার সম্ভাবনা শতকরা এক শত ভাগ, তাই।
এভাবেই অযোগ্য যোগ্য হিসাবে আদরণীয় ও বরণীয় হইতেছে। গোয়েবলসীয় প্রপাগান্ডায় সাদা কালো হইতেছে আর কালো অ্যাপেল হোয়াইট রঙ ধারণ করিতেছে। ভীতি ছড়াইয়া, বহুরূপী বেশ ধরিয়া, লোভনীয় প্রস্তাব সাজাইয়া, ফেস ভ্যালু কাজে লাগাইয়া একদল যাহা করিতেছে তাহা দেখিয়া যেন মনে করাই যাইতে পারে ইহারা মৃত্যুঞ্জয়ী। দৈব যোগে অমরত্ব লাভ করিয়াছে। ইহাদের মৃত্যু নাই। ইহারা অমর।
মহাবীর আলেকজান্ডার মৃত্যু-পূর্ব অসিহত করিয়া গিয়াছিলেন তাহার দুই হাত মৃত্যুর পর যেন কফিনের বাহিরে রাখা হয়। যাহাতে দুনিয়াবাসী দেখিতে পারে যে, মহাবীর রিক্ত হস্তে সমাহিত হইতেছে। তাহার দ্বিতীয় অসিহত ছিল তাহার শব শকটের যাত্রাপথে যেন তাহার সমুদ্রসম মনি-মুক্তা-হীরা জহরত স্তুপ করিয়া রাখা হয়। যাহাতে বিশ্ববাসী চাক্ষুষ করিতে পারে যে মৃত্যুকালে তাহার এই প্রভূত ধন-সম্পদ কোনই কাজে লাগে নাই। আর তৃতীয় অসিহত হইলো তাহার শব শকটের সম্মুখভাগে যেন ডাক্তারগণ থাকে। যাহাতে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করে যে দুনিয়ার তাবত বাঘা বাঘা ডাক্তারও তাহাকে মৃত্যরু কবল হইতে বাঁচাইতে পারে নাই। আমরা ইতিহাস হইতে এই শিক্ষাটুকু লইতেও ভুলিয়া গিয়াছি। তাই, অনেকেই হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হইয়া বিত্তবাসনার প্রতি আসক্ত হইয়া যাচ্ছেতাই করিয়া বেড়াইতেছে।
অন্যের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করিতেছে, নিজের পথের কাঁটা জ্ঞানে মানুষকে বধ করিতেছে। ক্রোধ -হিংসায় উন্মত্ত হইতেছে। বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতা লকারে লক করিয়া রাখিতেছে। কাহার কি ক্ষতি হইলো, কে মরিলো, কে সর্বস্বান্ত হইলো ইহাও দেখিবার কোন চিন্তা নাই। দেশের-দশের টাকা মারিয়া বিদেশে পাচার করিয়া মৌজ-মাস্তি আর ভোগে বিভোর হইতেছে। অথচ মৃত্যু-পরবর্তী ঠিকানার খোঁজ লইতেছে না। ইহাদের পক্ষে অসম্ভব বলিয়া কিছুই নাই।
মানুষ বাঁচিতে চায়। ইহাই সহজাত। ইহা তাহার মননে-মস্তিষ্কে গাঁথিয়া থাকে। অন্যদিকে ইহাও তাহার মননে-মগজে গভীরভাবে প্রোথিত থাকে যে মৃত্যু অনিবার্য আর বিচার-ফয়সালা বড় কঠিন। তাই সে মানবের মাঝে সুকৃতি দ্বারা বাঁচিতে চায়। সেবা দিয়া পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করিতে চায়। আমলের মাধ্যমে পুত:পবিত্র হইতে চায়। যাহাতে পরকালের হিসাব সহজ হয়। আর যাহারা কেবলই পার্থিব সম্পদ ও নাম-যশ সংগ্রাহক তাহারা যদি বিশ্বাসীও হয় তাহা হইলেও পরকালের ফয়সালাকেও হয়ত সুনিশ্চিত করিবার বাসনা রাখে।
এই ধরাধামে ইহাদের রুধিবার কেহ নাই। ইহাদের কলিজা আছে, তবে তাহা প্লাটিনাম পাত দিয়া মোড়ানো। উহার ভিতরে পাথরের আধিক্য। ইহাদের হৃদয় আছে, তবে প্লাস্টিকের আবরণ যুক্ত। হাই ফ্রি কোয়েন্সি ছাড়া ইহা সংবেদনশীল হয় না। কেবল অনিবার্য মৃত্যুই ইহাদের পথচলাকে থামাইয়া দিতে পারে।
আনোয়ার হাকিম : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
মন্তব্য করুন