জুলিয়া আলম
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জুলিয়া আলমের নিবন্ধ

ভূ-অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতির ব্রিকস সমীকরণ এবং বাংলাদেশ

ব্রিকস ম্যাপ। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিকস ম্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

উনিশ শতকে জোহানেসবার্গের গোড়াপত্তন হয়েছিল স্বর্ণ উত্তোলন এলাকার এক ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে। এখন এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম শহরে পরিণত হয়েছে। এই শহরটিই আবার সারাবিশ্বের আকর্ষণ হয়ে ওঠে সদ্যসমাপ্ত ব্রিকস ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের হোস্ট সিটি হয়ে। স্বর্ণের শহর জোহানেসবার্গেই আরেক স্বর্ণালি অধ্যায়ে উত্তরণও পেয়েছে নতুন বিশ্বজোট ব্রিকস।

এবার সশরীরে জোহানেসবার্গে গিয়ে সম্মেলনটি কভার করে আমারও মনে হয়েছে ব্রিকসে ভর করেই বিশ্বের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক অর্থনীতির বাঁক পরিবর্তন এখন অনেকটা অবধারিত। ইতিহাস নতুন পথে বাঁক নেওয়াও অবধারিত। আর এই পরিবর্তন পর্বটি জোটবদ্ধভাবে পরিচালনা করতেই বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে ব্রিকস।

ব্রিকস কী ইতিহাসের মোড় ঘোরাবে?

ইতিহাসের নানা সন্ধিক্ষণে বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠান, জোট ও সংঘের জন্ম হয়েছে। সময়ের দাবি মেটাতে ভূরাজনীতির এবং ভূঅর্থনীতির পরিবর্তনের বিশেষ এবং উদ্দেশ্যমূলক অংশীদার হয়ে প্রভাব খাটানো এবং স্বার্থ নিশ্চিত করাই এসব সংঘ বা জোটের জন্মের কারণ। ব্রিকসও তাই।

বলা হয় ব্রিকস এর জন্ম হয়েছে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় জোট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। কারণ বিশ্বের জনসংখ্যা, শিল্পোৎপাদন, কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের অংশীদারত্ব বিবেচনায় ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও এবং যেসব দেশ ইতিমধ্যেই সদস্য হতে চাইছে তাদের সম্মিলিত অংশীদারত্ব হিসেব করলে চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় যে ব্রিকসই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট। ব্রিকস আঞ্চলিক জোট নয়, এটি আন্তঃমহাদেশীয় কিংবা এক বিশ্বজোট।

ব্রিকসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এবারই জোটটির শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সবচেয়ে বড় পরিসরে। এটি সারাবিশ্বে ব্রিকস নিয়ে আলোচনার পরিসরই বাড়িয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অতিথি হয়ে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ায় বাংলাদেশেও ব্রিকস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। আর স্বাগতিক দেশ আতিথেয়তায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কোনো কার্পণ্য করেনি। বিমানবন্দরের রিসিভ করার ধরনও বলে দেয় একটি দেশ অন্য দেশকে ডিপ্লোমেটিকভাবে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্টকে রিসিভ করতে স্বয়ং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার নিউজ-পোর্টাল ডেইলি ম্যাভেরিক খবর দিয়েছিল ব্রিকস সম্মেলনে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন জোহানেসবার্গ বিমান থেকে নামেননি কারণ তাকে রিসিভ করতে পাঠানো হয়েছিল একজন মন্ত্রী। যদিও ভারত সরকার থেকে এই খবরকে ভিত্তিহীন বলেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যথাযথভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে রিসিভ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পল শিপোক্সা মাশাতিলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সমবায় শাসন ও ঐতিহ্যবিষয়কমন্ত্রী পার্ক টাউ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে এমন গুঞ্জন চলছিল আগে থেকেই। শেখ হাসিনা সম্মেলনে সরাসরি উপস্থিত থাকায় এই আলোচনাটা একটু বেশিই ডালপালা মেলেছিল। কিন্তু ছয়টি দেশ সদস্য হলেও বাংলাদেশ না হওয়ায় হতাশা ছড়িয়েছে। তিন বছর আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাচু‍র্য়াল সামিটে মোদিই তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘ব্রিকস ব্যাংকে’ যোগ দিক এবং তাদের নানা প্রকল্পের সুযোগ গ্রহণ করুক। কিন্তু এমন কথা উঠেছে যে ভারত চায়নি বলেই ব্রিকসের সদস্য হয়নি বাংলাদেশ।

ইথিওপিয়ার মতো দেশ সদস্য হলো তবু কেন চীন, রাশিয়া বাংলাদেশকে সদস্য করতে জোর দিল না। আমন্ত্রণ দিয়ে ডেকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই কেন বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করল না? এসব আলোচনা সমালোচনা এখনো চলছে প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে। হয়তো তা চলবেও অনেক দিন।

তবে ব্রিকস এর নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ এই সম্মেলনের সময়েও যে নতুন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তা ছোট করে দেখা ঠিক হবে না। জোহানেসবার্গে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাও ছোট করে দেখা ঠিক হবে না।

জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ৭০টি দেশের নেতা ও সরকারি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ব্রিকস সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রিকস ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে শেখ হাসিনার ভাষণটিও বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

এবার আফ্রিকা থেকে দুই দেশ- মিশর এবং ইথিওপিয়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিনটি- ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আজেন্টিনা সদস্য হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ ইথিওপিয়ার অন্তর্ভুক্তি খানিকটা প্রশ্নের উদ্রেক করলেও অনেক বিশ্লেষক বলছেন এটি ব্রিকস-আফ্রিকা পার্টনারশিপের অনুপ্রেরণাতেই হয়েছে। অপরদিকে আর্জেন্টিনা ছাড়া অপর নতুন দেশগুলো তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে নতুন ভূরাজনীতির ভূকৌশলের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা।

আমার মনে হয় ব্রিকস জোটের পাবলিক পরিচিতি মূলত অর্থনৈতিক, তবে এর একটি রাজনৈতিক চরিত্র রয়েছে। যদিও ব্রিকসের সম্প্রসারণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক ও বহুমাত্রিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে। বাস্তবতা হলো, বিক্রস সদস্যদের মধ্যে মার্কিন বিরোধী কয়েকটি রাষ্ট্র থাকায় এর রাজনৈতিক দিকটি উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই। তাই কোন গ্রুপের ‘ক্যান্ডিডেট হয়ে বাংলাদেশ ব্রিকসে ঢুকবে সেটিও একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় । বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অবশ্য চাইবে চীন ও ভারত উভয়েরই সমর্থন নিয়ে ব্রিকসের অংশ হতে, কিন্তু বেইজিং ও দিল্লির সম্পর্কের টানাপোড়েনে তা আসলেই বাস্তব প্রত্যাশা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই জোহানেসবার্গেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন এর সাথে আমার কথা হয় দীর্ঘক্ষণ । অবধারিতভাবেই তার কাছে আমার প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য পদ না পাওয়া নিয়ে? তিনি প্রথম জোর দিয়ে আমার কাছে জানান বাংলাদেশ সদস্য পদের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদনই করেনি। বাংলাদেশ এখনো স্টাডি করছে ব্রিকসে যোগ দিলে বাংলাদেশের লাভ নাকি লোকসান হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন গত জুনে জেনেভায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিকসে সদস্য হতে সম্মতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন আমাকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সারা আফ্রিকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরও জোরদার করছে। জোহানেসবার্গ সফরের অভিজ্ঞতায় আমিও তার সঙ্গে দ্বিমত হতে পারছি না। বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় সাড়ে আটগুণ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের প্রায় এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি। বিশ্বের ২৪তম জনবহুল দেশে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অপার।

গত ২০ বছর ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ পরিসংখ্যানও বলছে দেশটি আামাদের রেমিট্যান্স আসার তালিকায় ১২তম। দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন ২৫-৩০ বছর ধরে এমন কয়েকজনের সঙ্গেও কথা হয়েছে আমার। ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন চয়ন ২৫ বছর ধরে আছেন জোহানেসবার্গে। পার্টটাইম চাকরি আর পার্টটাইম হকারি করে এক সময় অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে চয়ন এখন তিনি সেখানে সবচেয়ে ধনী প্রবাসী বাঙালিদের একজন। তার মতে ব্যবসার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ জায়গা। ভেবে বিনিয়োগ করতে পারলে এখানে ব্যবসায় লাভ ও উন্নতি হয় খুব দ্রুত । প্রবাসী বাংলাদেশিরা সাধারণত কনভেনিয়েন্ট স্টোর থেকে শুরু করে সুপারস্টোর, ইলেকট্রনিকস এবং টেকনোলজি এবং একসেসরিজের ব্যবসা করেন। তবে কৃষি খাতে এখানে বিনিয়োগের সম্ভবনা বিশাল। চয়ন কৃষিতে বিনিয়োগ করেছেন আবার তার প্রোপার্টি বিজনেসও বড়।

দারুণ বিষয হলো মধ্যপ্রাচ্যের মতো শ্রমিক নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় আড়াই থেকে তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বেশির ভাগই ছোট বড় ব্যবসায়ী। দোকানে চাকরি করেন অনেকে। প্রবাসীরা আমাকে বললেন আফ্রিকা এক সমৃদ্ধ মহাদেশ। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মূল সমস্যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে হামলা এবং লুটতরাজ এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা। নিরাপত্তাহীনতায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি এখন ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু করতে পারে কি না সেই দাবিও জানিয়েছেন প্রবাসীরা। আমিও মনে করি, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ১২তম গন্তব্যে বাস করা রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের প্রতি সরকারের অনেক দায় আছে।

জুলিয়া আলম: সাংবাদিক

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনালসে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

১০

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

১১

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

১২

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

১৩

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

১৪

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

১৫

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

১৬

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

১৭

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১৮

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১৯

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

২০
X