ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ১০:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. মীর মাসুম আলী

বিশ্বনন্দিত এক নিভৃতচারী পরিসংখ্যানবিদ

বিশ্বনন্দিত এক নিভৃতচারী পরিসংখ্যানবিদ

আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিএ সম্মানের ছাত্র। ১৯৬৯ সাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিনগুলোতে আমরা সতীর্থরা প্রায়ই আমাদের বিভাগের সফল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা করতাম। আমাদের এই আলোচনায় সর্বাগ্রে ছিলেন মীর মাসুম আলী, যার সাফল্য আমাদের অভিভূত করত। এই সময়ের সবচেয়ে পরিচিত বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে তিনি একজন এবং বর্তমানে জর্জ অ্যান্ড ফ্র্যান্সিস বল ডিস্টিংগুইস্ট প্রফেসর ইমেরিটাস অব স্ট্যাটিস্টিক্স হিসেবে আমেরিকার বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ার সুবাদে এই প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানীর সম্পর্কে আরও জানার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।

মীর মাসুম আলী ১৯৩৭ সালে পটুয়াখালীর একটি আলোকিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পটুয়াখালীর একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। তার মাতা ছিলেন একজন সমাজকর্মী যিনি নারীদের শিক্ষা এবং বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। তার সব ভাইবোনও তাদের নিজেদের পেশায় স্বনামধন্য। মীর মাসুম আলীসহ তার অন্য তিন ভাই শিক্ষাজীবনের সর্বোচ্চ ডিগ্রি (পিএইচডি) অর্জন করেন উত্তর আমেরিকার প্রসিদ্ধ সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এর মধ্যে দুজন ছিল পরিসংখ্যান বিভাগে এবং অন্য দুজন প্রকৌশলে। তার তিনটি বোনও শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার এক ভগ্নীপতি কানাডার এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানের প্রাক্তন অধ্যাপক। ড. আলী তার অবদানের জন্য বাংলাদেশি পরিসংখ্যানবিদদের কাছে একজন সম্মানীয়, কিংবদন্তি হিসেবে বিবেচিত।

প্রফেসর আলী ১৯৫১ সালে পটুয়াখালীর জুবিলি হাই ইংলিশ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি) এবং ১৯৫৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি (এইচএসসি) পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৫৬ সালে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৫৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোসিও-ইকোনমিক বোর্ড-এ সাময়িকভাবে কাজ করার পর তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন বিভাগে পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে ঢাকা, করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে কাজ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও)ফেলোশিপ পেয়ে রোম এবং লন্ডনে কৃষিশুমারি এবং কৃষিশুমারি তথ্য প্রক্রিয়াকরণে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে ড. আলী টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যান এবং এক বছরে দ্বিতীয় এমএসসি আর মাত্র দুই বছরে গাণিতিক পরিসংখ্যানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিশ্বের অগ্রপ্রতিম পরিসংখ্যানবিদ, প্রফেসর ডোনাল্ড আলেক্সান্ডার স্টুয়ার্ট ফ্রেজার। ডক্টরেট শেষ করে তিনি যখন তৎকালীন পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই আমেরিকার ইন্ডিয়ানা স্টেটের বল স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তাকে ফ্যাকাল্টি পদ প্রস্তাব করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, তিনি এই পদের জন্য আবেদনই করেননি। তবে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকে তার জীবনে, কারণ এর মাধ্যমে তিনি প্রায়োগিক পরিসংখ্যানবিদ থেকে একাডেমিক পরিসংখ্যানবিদে পরিণত হন।

এক-দুই বছরের মধ্যে দেশে ফেরার জন্য ড. আলী চিন্তাভাবনা করছিলেন,কিন্তু ভাগ্য তার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্যভাবে। ১৯৭১ সালের শুরুর দিকে ড. আলী তৎকালীন ওয়াশিংটনস্থ পাকিস্তানি দূতাবাসে কূটনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের একটি ফোন পেলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এসএম হলের দিন থেকেই তারা একে অপরকে চিনতেন। জনাব মুহিতের পরামর্শে ড. আলী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে ফেরার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন যা তার জীবন ও কর্মজীবনকে চিরতরে বদলে দেয়।

ড. আলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গেলেন এবং নতুন জীবন শুরু করেন। তিনি তার নতুন শিক্ষকতা পেশা পছন্দ করছিলেন এবং পাশাপাশি গবেষণা, প্রকাশনা এবং ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করতে শুরু করলেন। তার অনবদ্য সাফল্য, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যায়। তার অবদানের জন্য তিনি অসংখ্য বিশ্বনন্দিত পুরস্কার অর্জন করেন, কিন্তু এই প্রবন্ধে স্থানসংকুলানের জন্য আমি তার মাত্র কয়েকটিই উল্লেখ করব। ইন্ডিয়ানার বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক বিজ্ঞান বিভাগে তিনি গ্রাজুয়েট এবং আন্ডারগ্রাজুয়েট পরিসংখ্যান প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৮ সালে একজন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি গবেষণা এবং প্রকাশনার জন্য আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড পান এবং ১৯৯৩ সালে শিক্ষা, গবেষণা আর পেশাদারি শিক্ষকতার জন্য আউটস্ট্যান্ডিং ফ্যাকাল্টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন, যা বল স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রদত্ত সর্বোচ্চ সম্মান। ১৯৯০ সালে, ড. আলী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত কাজী মোতাহার হোসেন স্বর্ণপদক লাভ করেন। বলাবাহুল্য, তিনি এই পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী। ২০০৫ সালে তিনি ইসলামিক সোসাইটি অব স্ট্যাটিস্টিক্যাল সায়েন্সেস (আইএসওএসএস) স্বর্ণপদক অর্জন করেন। ২০০০ সালে ড. আলী, জর্জ এবং ফ্র্যান্সেস বল ডিস্টিংগুইস্ট অধ্যাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে নিযুক্ত হন। এই পদবির নামকরণ করা হয় বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন জর্জ বল এবং তার স্ত্রী ফ্র্যান্সেসের নামানুসারে। এই বিশিষ্ট প্রাধ্যাপকতা শুধু কয়েকজন প্রফেসরকে দেওয়া হয় তাদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অবদানের জন্য। এ ছাড়াও, ২০০২ সালে ইন্ডিয়ানার তৎকালীন গভর্নর ফ্র্যাঙ্ক ও'ব্যানন ড. আলীকে বিখ্যাত স্যাগামোর অব দ্য ওয়াবাশ পুরস্কার প্রদান করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের সর্বোচ্চ পুরস্কার।

তদুপরি তার পেশাগত জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ছিল ২০১৭ সালে যখন তিনি বিশ্বনন্দিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যশস্বী ৩৯৯ পরিসংখ্যানবিদদের মধ্যে ২৫তম নির্বাচিত হন। ড. আলী স্থান করে নেন বিশ্ববিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ রোনাল্ড ফিশার, জন কেন্ডাল, ডিএএস ফ্রেজার, সিআর রাও এবং পি সি মহলানবিসের মতো লোকের নামের কাতারে। প্রফেসর আলী আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, রয়েল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটি, ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিশিয়ান-ইউনাইটেড কিংডমের ফেলো এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রবাসী ফেলো। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনেরও (ডিইউএসডিএএ) একজন সম্মানিত ফেলো।

বিশ্বের বিখ্যাত পাঁচটি আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান জার্নাল তার সম্মানে বিশেষ ভলিউম প্রকাশ করেছে। তিনি কমপক্ষে ২৫০টি পেপার এবং ২২৫টি রিভিউ আর্টিকেল এবং বই সম্পাদনা করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কী-নোট, প্লেনারি এবং আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ ছাড়াও ড. আলী উত্তর-আমেরিকা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

সক্রিয় অনুশীলন এবং একাডেমিক জীবনের অর্ধ শতাব্দীর পর ড. আলী ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তার এই সাফল্যমণ্ডিত অবসর উদযাপন করার জন্য বল স্টেট্ ইউনিভার্সিটি দুই দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সম্মেলন আয়োজন করে। তারা ফেস্টস্ক্রিফট নামের একটি প্রকাশনা প্রকাশ করে তার সম্মানে।

ড. আলীর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান হলো বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান প্রোগ্রাম গঠন। তার দীর্ঘ ৫০ বছরের প্রায়োগিক আর শিক্ষকতা পরিসংখ্যানে অবদানের জীবনে আন্তর্জাতিক, আমেরিকান এবং বিশেষত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণায় এবং শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করেন। এর সাথে সাথে তিনি কিছু বাংলাদেশি প্রফেসরদের বল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিসিটিং প্রফেসর হিসেবে স্থান করে দিয়েছেন, যা তার দূরদৃষ্টি ও মহানুভবতা এবং দেশের প্রতি মমত্ববোধের পরিচায়ক।

ড. আলী বর্তমানে তার স্ত্রী লিনা আলী- যিনি ইন্ডিয়ানার একজন স্বনামধন্য বিহেভিওরাল কনসালটেন্টের সাথে ইন্ডিয়ানার রাজধানী ইন্ডিয়ানাপোলসে বসবাস করেন। তাদের রয়েছে চার সন্তান ও আট পৌত্র-পৌত্রী আর তিন মহা-পৌত্র-পৌত্রী।

আমরা আশা করি, প্রফেসর মীর মাসুম আলী বিশ্বের পরিসংখ্যান শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়নে তার অনবদ্য উন্নয়নকর্ম নিরলসভাবে আমৃত্যু পরিচালনা করতে থাকবেন। প্রায় ৬২ বছর ধরে দেশের বাইরে থেকেও কিন্তু কখনো তার প্রিয় বাংলাদেশকে তিনি ভুলেননি। তিনি সবসময় বলেন, তার শরীর আমেরিকায় থাকলেও তার আত্মা সর্বদা বাংলাদেশে। জয়তু মীর মাসুম আলী!

ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকারী ডিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জনসংখ্যা এবং পরিবার স্বাস্থ্যবিষয়ক অধ্যাপক

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ঘুষের রেট নির্ধারণ’ নিয়ে সভা

বিচারকের জুতা চুরি করা সেই চোর কারাগারে

অফিসে আগে আসতে বাধ্য করায় বসের বিরুদ্ধে মামলা, অতঃপর...

‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া হবে’

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান : প্রধান উপদেষ্টা

জবিসাসের ইফতারে এক ছাতার নিচে সব ছাত্র সংগঠন

বামদের মিথ্যাচার নিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের বিবৃতি

ঐক্য ধরে রেখে আগামী নির্বাচনে জনগণকে নিয়ে কাজ করতে হবে : নীরব

শিশু ধর্ষণের ঘটনা টাকায় মেটানোর অভিযোগ কৃষক দল নেতার বিরুদ্ধে

এবি পার্টির গণ ইফতারে বক্তারা / অবিলম্বে আছিয়ার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে

১০

উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ না পেলে ঈদের নামাজ পড়বেন না সিরাজ

১১

বাজেট বরাদ্দে জবি পূর্বের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

১২

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নৌ মহড়া অনুষ্ঠিত

১৩

জয়পুরহাটে জিয়া পরিষদের সভাপতি হলেন ‘আ.লীগের সক্রিয় কর্মী’

১৪

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

১৫

ঢাবির জাতীয়তাবাদী চারুশিল্পীদের ইফতার মাহফিল

১৬

গাজায় নৃশংসতার প্রতিবাদে ইসরায়েলি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানি স্থপতির

১৭

থামেনি শিশু আছিয়ার বাড়ির শোকের মাতম, পুড়েছে ধর্ষকের ভিটা

১৮

ট্রেন অপহরণের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

১৯

নির্বাচন দ্রুত ও দেরিতে হবে কেন, জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানালেন ড. ইউনূস

২০
X