ফয়সাল রহমান
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে যে কারণে প্রশাসন ক্যাডার থেকেই উপসচিব হওয়া উচিত

বাংলাদেশ সচিবালয়। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সচিবালয়। ছবি : সংগৃহীত

উপসচিব পদ ভাগাভাগি করে বিভিন্ন ক্যাডারকে দিলে জনগণের সেখান থেকে আলাদা করে কিছুই পাওয়ার নেই। এটার জন্য আন্দোলনরত পেশাজীবীরা বা প্রশাসন ক্যাডার জনগণের চিন্তা করছেন না, নিজেদের চিন্তা করছেন এবং পেশাজীবীদের পক্ষে এটা খুবই স্বাভাবিক।

সুতরাং জনপ্রশাসন সংস্কারের উপসচিব সংক্রান্ত ৫০%-৫০% পদক্ষেপ থেকে দেশ ও জাতির কিছুই পাওয়ার নেই, বরং সমতার নামে মন্ত্রণালয় তথা জনগণের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, উপসচিব পদের জন্য কে বেশি যোগ্য- প্রশাসন ক্যাডার, নাকি পেশাভিত্তিক ক্যাডার, বিষয়টি স্বল্প পরিসরে পর্যালোচনা করা হলো :

১. উপসচিব পদ প্রশাসন ক্যাডারের থাকা উচিত, কারণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আইন, বিধি, পরিপত্র, আদেশ, প্রজ্ঞাপন প্রভৃতি তৈরি করা। একমাত্র প্রশাসন ক্যাডারই চাকরিজীবনের প্রথম ১০ বছর দেশের সর্বাধিক সংখ্যক আইন বিধি পরিপত্রের ব্যবহারিক প্রয়োগ করে। সংগত কারণে তাদের সেগুলো খুঁটিনাটি পড়া লাগে। চাকরিজীবনের শুরুতে তারা কালেক্টরেটের ১৫/১৬টি শাখায় অন্তত ২৫০ আইন বিধি ও অগণিত পরিপত্রের কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তারমধ্যে আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও আছে ভূমি, অর্থ, শিক্ষা, নারী ও শিশু, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, বিচার, মৎস্য ও পশুসম্পদ, শিল্পকলা, ধর্ম, স্থানীয় সরকার প্রভৃতিসহ আরও অনেক সাধারণ বিষয়ের আইনকানুন। প্রথম ১০ বছর চাকরিতে সহকারী কমিশনার, এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিডিএলজি ইত্যাদি পদে থেকে উপরিউল্লিখিত বিষয়ক আইনকানুন চর্চা করে। আর কোনো পেশাজীবীর এই সুযোগ হয় না।

২. চাকরিজীবনের অধিকাংশ সময় প্রচণ্ড চাপ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে প্রশাসন ক্যাডার। এই ক্যাডারের বিভিন্ন পদের দাপ্তরিক কাউন্টারপার্ট রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যার সঙ্গে সমন্বয় করে অগ্রসর হতে হয়। যেমন- উপজেলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পারিষদ, জেলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পারিষদবর্গ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। অন্য কোনো পেশাজীবীর এ ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবিলা করে অভ্যস্ত প্রশাসন ক্যাডার। সংগত কারণেই প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা চৌকস হয়ে ওঠে। এই অভিজ্ঞতা থাকায় একসময় সচিব তার মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারপার্ট মন্ত্রীর সাথে সাবলীলভাবে কাজ করতে পারেন।

৩. পরিমিতিবোধ প্রশাসন ক্যাডারের আরেকটি গুণাবলি। এটা বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই গড়ে ওঠে। প্রথম ১০ বছরের চাকরিজীবনে চেয়ারের প্রয়োজনেই তাকে মেপে মেপে কথা বলতে হয়। আইন-কানুনের প্রয়োগিক চর্চার ফলেই তাকে সতর্ক থেকে কথা বলতে হয়। একটা বেফাঁস কথা বললেই বিপদে পড়তে হবে, এটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্যই বেশি প্রযোজ্য। এভাবে প্রয়োজনের তাগিদে পরিমিতিবোধ চর্চার ফলে ধীরে ধীরে প্রশাসন ক্যাডার বড় পদের যোগ্য হয়ে ওঠে।

৪. চাকরিজীবনের শুরুতেই একক অফিস চালানোর সুযোগ পায় প্রশাসন ক্যাডার। যে সুযোগ অন্য পেশাজীবীদের পেতে ৭/৮ বছর এমনকি আরও বেশি সময় লেগে যায়। প্রবেশন সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটা উপজেলার পুরো ভূমি ব্যবস্থার দায়িত্ব পায় সে। সেটা শেষ হওয়ার ক’দিন পরই পুরো একটা উপজেলার প্রধান নির্বাহী হন। চাকরিজীবনের শুরুতেই ৫/৬ বছর একক অফিস চালানোর ফলে প্রশাসন ক্যাডারের যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, সেটা অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরির ধরনের কারণেই হয়ে ওঠে না।

৫. একজন অফিসার হঠাৎ করে উপসচিব হলে মন্ত্রণালয়ে তিনি কাঙ্ক্ষিতভাবে ডেস্ক চালাতে পারবেন না। এটার জন্য প্রথম ১০ বছরে ছোট বড় অন্তত ৭০/৮০টি প্রশিক্ষণ পাওয়ার দরকার হয়। প্রশাসন ক্যাডারে অফিসারের সংখ্যা সীমিত হওয়ার ফলে এ লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়। পেশাজীবীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার ফলে এবং দেশে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নগণ্য সংখ্যা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকার ফলে সবাইকে ১০ বছর ধরে উপসচিব বানানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয় না।

৬. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরই প্রশাসন ক্যাডারের শৃঙ্খলা ও ঐক্য চোখে পড়ার মতো। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সচিবরা একটি সার্ভিস থেকে আসার ফলেই সমন্বয় সুন্দর হয়। নানাবিধ ব্যাকগ্রাউন্ডের সচিব হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ক্যাবিনেট বা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাগুলোতে সমন্বয়হীনতা ও ধীরগতি আসবে। দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ ফোরাম মন্ত্রিপরিষদে ধীরগতি বা সমন্বয়হীনতার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। It shall have to be a uniformed body. একই কথা মন্ত্রণালয়ের জন্যও প্রযোজ্য। একজন মন্ত্রী ও সচিবকে যে ডেস্কগুলো সহায়তা করে, সেই উপসচিবদের মধ্যেও একই রকম সমন্বয় প্রয়োজন। সেখানে নানা মুনির নানা মত হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, মন্ত্রণালয় কোনো একাডেমিক ক্লাস নয় যে, এখানে কাজের পরিবর্তে Scholarly Debate হবে। কোনো বিষয়ে সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগই নেই মন্ত্রণালয়ে। It's the highest body of a sector for the whole country. এখানে দ্রুততা ও Uniformity কাঙ্ক্ষিত।

৭. পেশাভিত্তিক ক্যাডারের জন্য উপসচিবের কোটা থাকলে সংগত কারণেই হাজার হাজার অফিসারের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক অফিসার উপসচিব হবেন। ফলে বেশ কয়েক বছর প্রস্তুতি নিয়ে চাকরি পাওয়া অফিসার চাকরি পাওয়ার পর মনে করবেন, ‘চাকরি তো আছেই, এটা বোনাস, এখন উপসচিব পদের পরীক্ষার জন্য ধুমসে ১০ বছর পড়ালেখা করা যাবে, অফিসে জনসাধারণের জন্য এত সময় দেওয়ার কিছু নেই, আগে উপসচিব হয়ে নিই।’ বিষয়টা এমন হলে দেশের জন্য ভয়ংকর হবে। সরকারি অর্থের সীমাহীন অপচয় হবে, জনসেবা যাবে তলানিতে।

৮. একটি মন্ত্রণালয়ের আইন, বিধি, পরিপত্র প্রণয়নের জন্য শুধু সে মন্ত্রণালয়ের কাজ জানলেই হবে না। যেমন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের নীতি ঠিক করার জন্য ভূমি বিষয়ক আইন, দেশের মানুষের এলাকাভিত্তিক বৈচিত্র্য, রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপট, দুর্যোগ বিষয়ক জ্ঞান, নারী ও শিশু বিষয়ক আইন-কানুন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি-বিধান, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত আইন-কানুন, সম্ভাব্য আইনি জটিলতাসহ আরও অনেক কিছু। এগুলোর প্রত্যেকটিরই কোনো না কোনো যোগ রয়েছে কৃষির সঙ্গে। অন্যান্য সব পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের নীতি প্রণয়নে একইভাবে বাকি অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সেটা না থাকলে প্রায়ই অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে Cross cutting ইস্যুতে সংঘাত দেখা দিবে। কোনো নীতি গেজেট হয়ে যাওয়ার পরে এরকম সংঘাত দেখা গেলে খুবই ভয়াবহ হবে। অর্থাৎ একটিমাত্র বিষয়ে বিশদ জ্ঞান থাকলেই ভালো নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়, প্রয়োজন আন্তঃমন্ত্রণালয় বিষয়ক জ্ঞান।

৯. নীতি প্রণয়নে সহায়তার জন্য একজন উপসচিবের দেশের সব শ্রেণির মানুষ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা আবশ্যক। কারণ যে মন্ত্রণালয়েরই আইন-কানুন হোক না কেন, সেটার অংশীজন কোনো না কোনোভাবে সব জনগণ। প্রশাসন ক্যাডার তার প্রথম ১০ বছরের চাকরিতে প্রতিদিনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, নারী, শিশু সবাইকেই পায়। পক্ষান্তরে, একজন শিক্ষক পান শুধু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের, একজন কৃষিবিদ ও লাইভস্টক অফিসার পান কৃষকদের, একজন ডাক্তার পান রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনকে। এভাবে অন্যান্য প্রায় সব পেশাজীবীই চাকরির বৈশিষ্ট্যের কারণেই শুধু একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে। সুতরাং পেশাভিত্তিক ক্যাডারের চেয়ে প্রশাসন ক্যাডারই যে কোনো মন্ত্রণালয়ের জন্য অধিকতর যোগ্য।

১০. বিশ্বের সব দেশেই মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তার সহকর্মীরা General ব্যাকগ্রাউন্ডের। অনুসরণযোগ্য যে কোনো দেশের সচিবদের ব্যাকগ্রাউন্ড পাওয়ার জন্য Google-এ ‘Permanent Secretaries of...... (দেশের নাম)’ লিখে সার্চ করে আন্দোলনরত বিভিন্ন পেশাজীবী ভাইবোনেরা দেখতে পারেন। উন্নত দেশে কৃষিবিদ কৃষক হন, চিকিৎসক শুধু চিকিৎসাই করেন, শিক্ষাবিদ পড়ানো, গবেষণা, লেখালেখি ইত্যাদি নিয়ে থাকেন। সেখানে সচিবদের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পলিসি লেভেলে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সাধারণত জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বা আন্তর্জাতিক এনজিও বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা আছে, এমন ব্যক্তি সিভিল সার্ভিসে ঢুকতে পারেন। এশীয় দেশগুলোতে প্রায় সব মন্ত্রণালয়েই General ব্যাকগ্রাউন্ডের সচিব থাকেন। হাতের স্মার্ট মুঠোফোনের সাহায্যে যে কেউ তথ্য ঘেঁটে দেখতে পারেন। সারা বিশ্ব একদিকে হাঁটে, আর আমরা অন্যদিকে হাঁটা শুরু করলে তো হবে না।

পরিশেষে, জনপ্রশাসন সংস্কার হতে হবে দেশের মানুষের জন্য, প্রশাসন ক্যাডার বা যে কোনো পেশাভিত্তিক ক্যাডারের পরিতৃপ্তির জন্য নয়। যে যেখানে অধিকতর যোগ্য, তাকে সেখানেই দিতে হবে। চাকরি সন্তুষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যেক ক্যাডারের পদসোপান সৃষ্টিসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে সব গ্রেডের কর্মচারীদের চাকরি সন্তুষ্টি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। চাকরি সন্তুষ্টি ও জনপ্রশাসন সংস্কার ভিন্ন জিনিস। চাকরি সন্তুষ্টির জন্য আলাদা পদক্ষেপ নিতে হবে। জনসাধারণের সর্বাধিক সেবা নিশ্চিতকল্পে ‘যথাস্থানে যথাব্যক্তি’ই হোক সংস্কারের মূল লক্ষ্য, অন্য কিছু নয়।

লেখক ও চিন্তাবিদ

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানালেন চিকিৎসক

বিএআরএফের ইজিএম ও ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত

‘নির্বাচিত হয়ে পুরো দেশের দায়িত্ব নেবেন তারেক রহমান’

শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষায় কেশবপুরে কারাতে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে

‘সরকার রাজনৈতিক দলের আস্থার মর্যাদা রাখতে পারছে না’

গোপালগঞ্জে বিএনপি-আ.লীগের সংঘর্ষ চলছে

‘টোপ দিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে টিপুকে’

‘ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত সুস্থ জাতি তৈরি করতে চাই’ 

১০

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে? 

১১

স্মরণে সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান

১২

ফারুক হাসানকে দেখতে হাসপাতালে আমীর খসরু

১৩

শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি পলাশ, সম্পাদক মামুন

১৪

দেশে শনাক্ত রিওভাইরাস : কতটা ভয়াবহ

১৫

ল্যানসেটের গবেষণা / গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি

১৬

১৬ বছর পর দেশে ফিরছেন যুবদল নেতা আবু সাইদ

১৭

বিভেদের রাজনীতি নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

১৮

আ.লীগ ক্রীড়াঙ্গনকেও দলীয়করণ করেছিল : মির্জা ফখরুল

১৯

পিসিবির হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হলেন পাকিস্তানের চার কিংবদন্তি

২০
X