মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশের নির্বাচন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

এই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত যুক্তরাষ্ট্রে এই বছরের ৫ নভেম্বরে (মঙ্গলবার) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতোমধ্যে বৃহৎ দুটি দল (ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি হতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে যাচ্ছেন। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে গিয়েছেন বিধায় ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের দিকে সবার নজর পড়েছে। ট্রাম্প বয়স্ক, অপরদিকে কমলা হ্যারিস তুলনামূলক অল্প বয়সী। অবশ্য ডেমোক্রেটিক দল থেকে কমলা হ্যারিসকে মন্দের ভাল হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যাহোক, বর্তমানে এ বৃহৎ রাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও কলাম্বিয়ায় (সরকার কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত) চলছে জোর প্রচারণা। সারা বিশ্বের দৃষ্টি আজ ঐ দিকে।

এই নির্বাচন মাথায় রেখে কত যে বাকযুদ্ধ, কত যে কথা, কত যে রহস্যজনক গোপনীয় ঘটনা ফাঁস বা প্রকাশ হচ্ছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। একবার ট্রাম্প কথার তাল লয় হারিয়ে নানা কথা বলেন। আবার ওদিকে মিষ্টি আমেজে কমলা হ্যারিস মুচকি হেসে ধীর সুস্থে একই সারথি ধরে চলেন। বস্তুত বাকযুদ্ধে ট্রাম্প খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। যাহোক, এই বাক যুদ্ধের রেওয়াজ ১৮৫৮ সাল থেকে শুরু। তিন পর্বের এই খোলামেলা বিতর্ককে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। আর প্রথম ১৮৭৬ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান প্রার্থী বিতর্কে অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে তিন পর্বে বাকযুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, কমলা হ্যারিস উপরে অবস্থান নিয়ে থাকলেও মার্কিনিদের কালচার অনুযায়ী মেয়েদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান কি না সেটাই প্রশ্ন। তাছাড়া ইহুদিরা মার্কিন অর্থনীতি বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণ করে বলে তাদের কথা খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।

এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই বা নিরুপণে তিনটি বৈশিষ্ট্য মানতে হয় যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে; ৩৫ বছরের বেশী বয়স হতে হবে এবং ন্যূনতম ১৪ বছর ধরে স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। উল্লেখ্য যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো দল থেকে একসাথে কেউ দুবারের অধিক বার প্রার্থী হননি। কমলা হ্যারিস যতই প্লাস পয়েন্ট থাকুক না কেন, অতীত অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস থেকে জানা যায় যে এ নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে হওয়ার কথা। আবার ব্যতিক্রম হলেও হতে পারে। উল্লেখ্য যে, এইবার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মহিলা হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পরে দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পের বিপরীতে হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোটে জিতলেও ইলেকট্রলার ভোটে হেরে যান। সত্যি কথা বলতে কি, এত খোলামেলা দেশ হলেও ১৭৭৬ সালে পুরোপুরি স্বাধীন হওয়ার পর বিগত এই ২৫০ বছরের মাথায় হিলারি ক্লিনটনের পর দ্বিতীয় একজন নারী প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। আগে এ ধরনের সুযোগ পাইনি বা দেয়া হয়নি। আর এ কথা তো দূরে থাক, সে দেশে নারীদের ভোটাধিকার সময়কালও বেশি দিন আগের কথা নয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার পর শত বাধার মুখে মহিলাদের ভোটাধিকার মিলেছে মাত্র ১০০ বছর আগে।

মজার ব্যাপার হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান নির্বাচন অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো নয়। কেননা এখানে পপুলার তথা জনসাধারণের ভোটের সারথি ধরে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির আওতায় ভোট হয়ে থাকে। অনেক সময় এও দেখা গেছে যে জনসাধারণের ভোট (পপুলার ভোট) অধিক পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইলেকটোরাল ভোটের মারপ্যাঁচে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পূর্বেই নির্ধারিত থাকে ইলেকটোরাল ভোট (যা অন্যান্য প্যারামিটার সহ জনসংখ্যার ভিত্তিতে হয়ে থাকে)। বর্তমানে এখানে ৫৩৮ টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এক্ষেত্রে ২৭০টি ভোট পেলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকে। এদিকে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ১০০ সিনেট এবং ৪৩৮টি প্রতিনিধি (ওয়াশিংটন ডিসির ৩ জন ইলেক্টরসহ)। বাস্তবে দেখা যায় ৫০টির মধ্যে ৬টি অঙ্গরাজ্যের (ক্যালিফোর্নিয়-৫৫; টেক্সাস-৩৮; নিউইর্য়ক-২৯; ফ্লেরিডা-২৯; ইলিয়নস-২০ এবং পেনসিলভানিয়া- ২০) ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা ১৯১টি।

এক্ষেত্রে জনৈক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপহাস করে বলেছিলেন “৫০টির মধ্যে ৬টি অঙ্গরাজ্যতে জিতলেই তো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম হয়। আর বাকিগুলো থেকে ছিটে-ফোটা পেলেই তো চলে”। যাহোক, সম্যক ধারণার জন্যে ৫৩৮টি ইলেক্টরাল ভোট কীভাবে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সংখ্যা ভিত্তিক বণ্টিত হয়েছে, তার সারণি নিম্নে তুলে ধরা হলো-

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কংগ্রেস। দুটি কক্ষের সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেস। প্রথম কক্ষের নাম হাউস অব রিপ্রেজিন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ (House of Representatives) এবং দ্বিতীয় কক্ষের নাম সিনেট (Senate)। সংবিধান মোতাবেক কংগ্রেস আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত সকল ক্ষমতা অধিকারী। এ সূত্র ধরে সংবিধানে বলা হয়েছে যে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইন সংক্রান্ত সকল ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে (All legislative powers here in granted shall be vested in the Congress of the United States)। প্রচলিত রেওয়াজ মতে ৪ বছর পরপর দুই কক্ষের সদস্যবৃন্দ জনসাধারণের ভোটের দ্বারা নভেম্বর মাসে প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবারে নির্বাচিত হন। সেহেতু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, এবার আগামী ০৫/১১/২০২৪ইং তারিখে (মঙ্গলবার) ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ৩ জানুয়ারি থেকে প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। কংগ্রেসে সকল সদস্যকে সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার ব্যাপারে এবং আপন কার্য বিশ্বস্তভাবে পরিচালনার জন্য শপথ গ্রহণ করতে হয়।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে দুই বছরের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচন হন। এক্ষেত্রে প্রতি সত্তর হাজার জনসংখ্যার জন্য একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। বিভিন্ন সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সার্বজনীন ভোটাধিকার স্বীকৃত। উল্লেখ্য যে, মার্কিন সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম প্রতিনিধি সভা ৬৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। ১৯২৯ সালের আইনে প্রতিনিধি সভার সদস্য সংখ্যা নির্ধারিত হয় ৪৩৫ জন (১০০ সিনেটর ব্যতিরেকে)। এ পরিষদের সদস্য হতে হলে প্রার্থীকে অন্যূন ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে। ১৯৭১ সালে গৃহীত সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী আইনে স্থির হয়েছে যে, ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রত্যেক নাগরিক ভোটাধিকার লাভ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ কক্ষের নাম সিনেট। সিনেটের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১০০ জন। এ সূত্র ধরে একই সাথে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্য থেকে দুজন করে সিনেটের জনসাধারণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন। সিনেটের সদস্যপদ লাভ করতে হলে প্রার্থীকে অন্যূন ৩০ বছর বয়স্ক হতে হবে এবং ৯ বছরকাল যুক্তরাষ্ট্র বসবাস করতে হবে এবং যে রাজ্য থেকে নির্বাচিত হবেন, তার নাগরিক অধিকার লাভ করতে হবে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনেটে সভাপতিত্ব করে থাকেন। মজার ব্যাপার হলো যে, ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতে নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে এবং আগাম ভোটের রেওয়াজ বিদ্যমান।

দ্বিতীয় অধ্যায় মার্কিন নির্বাচন বেশি দূরে নয়। কিন্তু দুঃখ লাগে তখনই, যখন দেখি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছেন। এমনকি তারা ব্যক্তিগত জীবনের রহস্য এবং গোপন জায়গায়ও আঘাত করতে দ্বিধাবোধ করেন না। কমলা হ্যারিসের কথা কিছুটা মার্জিত হলেও ট্রাম্পের কথা বেশ আক্রমণাত্মক। এছাড়াও প্রত্যহ যোগ হচ্ছে বড় বড় ব্যক্তিত্বসহ সাংবাদিকদের সুঁচালু নানা রকম কথা। এবার মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প এবং কমলাকে নিয়ে নানামুখী কথা শোনা যাচ্ছে। কোথায় ট্রাম্প ভাল অবস্থানে এবং কোথায় কমলা পিছিয়ে। আবার উল্টো কথারও কমতি নেই। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য হতাশাজনক ফলের আভাস দিচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের করা ১ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের জরিপে দেখা গেছে যে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটিতে কমলা পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে এসব অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এ তিনটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জিতলে তার জন্য ২৬২টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া সহজ হয়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ তাকে হোয়াইট হাউসে যেতে হলে তিনটি ডেমোক্র্যাট অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত মিশিগান, পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের মধ্যে যেকোনো একটি জিতলেই চলবে। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ৭১৩ জন ভোটারের মধ্যে করা জরিপে দেখা গেছে, এখানে ট্রাম্প সবচেয়ে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। গত আগস্ট মাসে এখানে ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিলেন কমলা। কিন্তু ট্রাম্প আবার কমলাকে পেছনে ফেলে ৫ পয়েন্টে এগিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৫০ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ।

জর্জিয়ায় ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ট্রাম্প। সেখানে তার সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৫ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনায় ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টের। সেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর কমলার ৪৭ শতাংশ। ট্রাম্পের পক্ষে মূলত ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের সমর্থন বেশি। এ সূত্র ধরে ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন ৫৮ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে তার সমর্থন ৫৩ শতাংশ। এ ছাড়া শ্বেতাঙ্গ ও স্কুলে পড়াশোনা করেননি এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও ট্রাম্পের সমর্থন বেশি। এ গ্রুপের ৬৩ শতাংশই ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। তবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বেশি সমর্থন রয়েছে অ্যারিজোনার পশ্চিমাঞ্চলে, সেখানে তার সমর্থন প্রায় ৭৪ শতাংশ। তবে প্রভাবশালীদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পাল্লা ভারী হচ্ছে। গত ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন ৪ শতাধিক অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উচ্চপদস্থ মার্কিন নীতিনির্ধারক। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে কমলার যে পরিকল্পনা রয়েছে, কার্যত সেটি সঠিক বলেই তারা মনে করেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে অর্থনীতির বিষয়টি ভোটারদের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আসতে পারে। যারা কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বামধারার অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারক।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের পক্ষ থেকে এসএসআরএসের চালানো জরিপে দেখা যায়, ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের মধ্যে কমলা ৫২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্পের ৪০ শতাংশের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে এটি এ পর্যন্ত ২০২০ সালের তুলনায় ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভালো অবস্থা নয়। আর ৩৫ বছরের কম বয়সী নারী ভোটাররা ট্রাম্পের চেয়ে কমলাকে পছন্দ করেন। এ হার যথাক্রমে ৫৩ শতাংশ ও ৩৯ শতাংশ। নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে তরুণদের তুলনায় তরুণীরা কমলা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে ১৫ শতাংশ বেশি পছন্দ করেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, সম্প্রতি ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের উত্থানের পেছনে তরুণ ভোটারদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু একই বয়সের তরুণ ভোটারদের পছন্দের মূল্যায়ন তেমন কাজে আসে না। কেননা বাস্তবে দেখা গেছে যে, সে ক্ষেত্রে ফলও হয় ভিন্ন।

দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ১৮ থেকে ৩৪ বছরের ভোটারদের ক্ষেত্রে কমলা (কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির জরিপে) ৩ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন। হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অব পলিটিকসের ২৯ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে চালানো জরিপে কমলাকে ট্রাম্পের চেয়ে ৩২ পয়েন্টে এগিয়ে দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অন্যতম দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় নিজের অর্থনৈতিক দর্শনের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। তাতে হয়ত কিছুটা ভাল ফল হলেও হতে পারে। আর পিটসবার্গে দেওয়া এক ভাষণে কমলা বলেন, ট্রাম্পের জন্য অর্থনীতি তখনই সফল, যখন তা উচ্চবিত্তদের জন্য লাভজনক হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, তারা জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় দেশে প্রায় দুই লাখ কলকারখানার চাকরি বিদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এতে মার্কিন উৎপাদন খাতের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কমলা হ্যারিস আরও সতর্ক করেন, ট্রাম্প পুনরায় বিদেশি পণ্যের ওপর বড় শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন, যা সরাসরি মধ্যবিত্তের পকেটে টান ফেলবে। তার মতে, ট্রাম্পের এমন নীতি সাধারণ আমেরিকানদের জন্য আরও সংকট তৈরি করবে।

সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচন নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উভয় প্রার্থীই এখনও সিদ্ধান্ত না নিতে পারা ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন। এই ভোটারদের মন জয় করতে, অর্থনীতি নিয়ে দুই প্রার্থীর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা বলেন, ট্রাম্পের শুল্কারোপ নীতি অযৌক্তিক ও ক্ষতিকর। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিদেশি পণ্যের ওপর হঠাৎ করে শুল্ক বসানোর মাধ্যমে দেশীয় বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ জনগণ। এতদ্ব্যতীত কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকদের বিবেচনায়ও কমলা হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন। শেতাঙ্গের মধ্যে কিছুটা অপ্রিয় হলেও কৃষ্ণাঙ্গ সমর্থন অনেকটাই জোরালো। কমলার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে। শতকরা ৮৫ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদেরই সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।

কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্পের প্রতি ইস্পানিক ভোটারদের হার যথাক্রমে ৫০ ও ২৬ শতাংশ। (এখানে উল্লেখ্য যে, ইস্পানিক ভোটার বলতে, স্প্যানিশ ভাষা-ভাষী বুঝায়) এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নূতন ভোটের ক্ষেত্রে এদের বিয়ষটিও প্রণিধানযোগ্য। মজার ব্যাপার হলো যে, কমলার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি মঞ্চে উঠে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পকে জেতাতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন টেসলার সিইও এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। সত্যি কথা বলতে কি, আগামী ০৫ নভেম্বর (২০২৪) নির্বাচনে যে প্যারামিটারগুলো অধিক বিবেচনায় এসেছে; তা হলো: মার্কিন অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন, ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন, ইরান বিষয়ক ইত্যাদি। এক্ষেত্রে যে প্রার্থী অধিক ইতিবাচক কার্যক্রমের আওতায় বস্তুনিষ্ঠভাবে নিয়ামক তুলে ধরতে পারবেন, হয়ত বিজয়মাল্য তার গলায় পড়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি বলে প্রতীয়মান হয়।

তৃতীয় অধ্যায় আমরা যত কথাই বলি না কেন, কে হবেন আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট? তা নিয়ে সংশয় তো থাকবেই। কেননা অনুমান তথা চিন্তা-ভাবনা তো আর বাস্তব নয়। তবে আমরা বাস্তবে দেখবো ০৫/১১/২০২৪ইং তারিখে, প্রেসিডেন্টের জয়মাল্য কার গলায় পড়ে। এই তিনটি পর্বে ৯০ মিনিট করে মুখোমুখি কথা লড়াইয়ের বিতর্কে কমলা হ্যারিস তার স্বভাব বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার প্রতিভার বারিধি। অথচ ট্রাম্পকে দেখা গিয়েছে, চঞ্চল ও ক্ষিপ্রতার আদল এবং তার কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে বিরক্তি ভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্য নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্প হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে সেই কথাটি উঠে আসে, তাহলো দিন ভরে কি হবে সকাল বেলায় বুঝা যায় ÒMorning Shows The Day” এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের সময় থেকে দেখা যায় যে, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে পালাভিত্তিক ভাগাভাগি।

এক্ষেত্রে একটি কথা না বললে কমতি থেকে যাবে। তা হল, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের চেয়ে তিনগুণ বেশি খরচ করেছেন কমলা হ্যারিস। গত আগস্ট মাসে কমলা ১৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। অথচ ট্রাম্পের সেখানে খরচ ৬ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এসব খরচ মূলত বিপণন, সমাবেশ, যাতায়াত ও কর্মী সমর্থকদের জন্য করা হয়। আর এ প্রেক্ষাপটে গত মাসে কমলার প্রচার শিবির সারে ২৬ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করে। সেখানে ট্রাম্পের সংগ্রহের পরিমান মাত্র সারে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য যে, ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে কতগুলো অঙ্গরাজ্য পৃথক পৃথকভাবে ডেমোক্রাটিক ও রিপাবলিকের জন্য বলতে গেলে রিজার্ভ। সাধারণত এদের ভোট হাতছাড়া হয় না। সমস্যা বাধে কেবল দোদুল্যমান রাজ্য (Swing states) এর ক্ষেত্রে, যা ব্যাটেল গ্রাউন্ড বা টপআপ বা বেগুনি স্টেট নামেও পরিচিত। আর এ অঙ্গরাজ্যগুলো হলো (১) অ্যারিজোনা; (২) কলোরাডো; (৩) ফ্লোরিডা; (৪) জর্জিয়া; (৫) আইওয়া; (৬) মিশিগান; (৭) মিনেসোটা; (৮) নেভাদা; (৯) নিউ হ্যাম্পশায়ার; (১০) উত্তর ক্যারোলিনা; (১১) ওহিও; (১২) পেনসিলভানিয়া; (১৩) ভার্জিনিয়া এবং (১৪) উইসকনসিন। বস্তুত এই ১৪টি রাজ্যগুলোর ভোট যিনি বেশি পান তারই রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথ সুগম হয়ে থাকে। আমরা বাংলাদেশিদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কোন পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হতে পারে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ প্রায় শত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, রিপাবলিকের চেয়ে ডেমোক্রাটিক আমাদের জন্য তুলনামূলকভাবে হিতকর।

তবে আপনারা অন্যভাবে নেবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ডেমোক্রেটিকদের কাছে তুলনামূলক বেশি হলেও রিপাবলিকানদের কাছেও কম নয়। বাংলাদেশের কথা বাদই দিলাম, আমরা যদি অতীতের দিকে তাকাই। তাহলে দেখি, যখনই রিপাবলিকান পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। তখন এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকাকে নানা রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এছাড়াও ইহুদীদের সুনজরে দেখাসহ ইউরোপবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণে অগ্রাধিকারে বদ্ধপরিকর। পক্ষান্তরে ডেমোক্রেটিক পার্টি ততটা নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাজ করেছে।

পরিশেষে এই কথা বলে শেষ করছি যে, ট্রাম্পের তুলনায় কমলা হ্যারিস ভাল অবস্থানে থাকলেও তার কতগুলো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে সবার মনে সংশয় আছে; যেমন তিনি মহিলা ও কৃষ্ণাঙ্গ। তাছাড়া ডেমোক্রাটদের মধ্যেও অনেকে কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি; যা বলতে গেলে তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে বড় অন্তরায় বলে প্রতীয়মান হয়। আগামী নভেম্বরে যে পার্টি ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমাদের জন্যে হিতকর হবে কি, হবে না? সেই বিষয়টি আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম। এদিকে বেশি দিন তো দূরে নয়? নভেম্বরের ৫ তারিখেই বলে দিবে ট্রাম্প না কমলা হ্যারিস।

সহায়ক সূত্রাদিঃ

১। প্রফেসর’স বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়বালী-প্রফেসর’স প্রকাশন। ২। দৈনিক বনিকবার্তা- ২০/০৮/২০১৬ইং। ৩। দৈনিক কালেরকণ্ঠ- ২২/০৯/২০১৬ইং, ২৭/০৯/২০১৬ইং এবং ০১/১০/২০১৬ইং ৪। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন- ২৬/১০/২০১৬ইং, ২৫/০৯/২০২৪ইং এবং ২৭/০৯/২০২৪ইং ৫। প্রথম আলো ২২/০৯/২০২৪ইং এবং ২৫/০৯/২০২৪ইং ৬। দৈনিক সমকাল ২৬/০৯/২০২৪ইং, ২৮/০৯/২০২৪ইং এবং ১২/১০/২০২৪ইং ৭। দৈনিক আমার বার্তা- ২১/০১/২০২১ইং ৮। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। ৯। সুধীজনের সাথে আলোচনা। ১০। লেখকের বাস্তবভিত্তিক দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞতা।

মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব: বিশিষ্ট গবেষক, অর্থনীতিবিদ এবং লেখক

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারীসহ সিলেটের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর লায়েক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম গ্রেপ্তার

কেন্দুয়ায় মামার হাতে ভাগ্নে খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত

এবার ম্যানসিটি ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের কাছে বিধ্বস্ত

বিগত সরকার দেশের স্টেডিয়ামগুলোকে চরণভুমিতে পরিণত করেছে: বকুল

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশাবিষয়ক সেমিনার 

আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া মাহিন

বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলে নীল দলের নিরঙ্কুশ বিজয়

১০

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২

১১

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ ড. ইউনূসের

১২

মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন

১৩

২৪ চেতনায় সবাইকে জাগ্রত হতে হবে : শামীম

১৪

পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া, ভাতিজাকে খুন করে গ্রেপ্তার চাচা

১৫

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

১৬

মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা

১৭

আজিজুল হক কলেজে কনসার্ট চলাকালে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

১৮

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা

১৯

কিছু মানুষের ব্রেইন সিটিস্ক্যান করে দেখার ইচ্ছা, কীভাবে এত ক্রিমিনাল হতে পারে?

২০
X