ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না কি ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতি?

ডক্টর এ বি এম রেজাউল করিম ফকির। ছবি : সৌজন্য
ডক্টর এ বি এম রেজাউল করিম ফকির। ছবি : সৌজন্য

ছাত্র রাজনীতি থাকবে কি না, থাকলে তার ধরন কী হবে—তা নিয়ে একটি বাহাস চলছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার শুরুতে প্রথমেই জানা যাক যে ছাত্র ও রাজনীতি— এই শব্দ দু’টি দ্বারা কী বুঝায়। ছাত্র বলতে বুঝায় সে সমস্ত ব্যক্তিদের যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন জ্ঞানীয় বিষয় অধ্যয়ন করেন। আর রাজনীতি হলো কোনো বিষয়ে দলগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ড বিশেষ। কাজেই ছাত্ররাজনীতি হলো ছাত্রদের জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, আপ্যায়ন ও সমাজসেবা ইত্যাদি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বা শিক্ষা বহির্ভূত কার্যক্রমকে পরিচালনা করতে সহায়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রাধান্য বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ড। ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের সহজাত গুণাবলি থাকে। কারণ তাদের মধ্যে থাকে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার মতো সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব।

স্বাভাবিকভাবে ছাত্র রাজনীতিতে এসব সহজাত উত্তম গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্রনেতাদের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দান করার কথা। কিন্তু বাস্তবে এরূপটি ঘটে না। এর প্রধান কারণ রাজনীতি এমন একটি কর্মকাণ্ড যেখানে নানা রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত উপাদান কার্যকর থাকে। কারণ বাস্তবে ছাত্রনেতাগণ ছাত্রদের দলগত যে কোনো কার্যক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে নানান কূটকৌশল ও বল প্রয়োগ করে থাকে।

কূটকৌশলের মধ্যে রয়েছে কূটতর্ক, প্রতিপক্ষের চরিত্র হনন ও অনুসারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান। বল প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে ভীতি প্রদর্শন ও মারপিট। রাজনীতি বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী রাজনীতিবিদগণ নিজের প্রাধান্য দৃঢ় করতে সর্বদাই এই কূটকৌশল ও বল প্রয়োগের মতো হাতিয়ার ব্যবহার করে থাকে। কুশলী ছাত্রনেতাগণ সে সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শক্তির নিকট থেকে এই সহায়তা গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশে ছাত্রনেতাগণ সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এই প্রয়োজনীয় শক্তি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নিকট থেকে লাভ করে থাকে। এভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ছাত্ররাজনীতি এখন রাজনৈতিক দলীয় রাজনীতির অঙ্গীভূত হয়ে পড়েছে।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাহী আদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন কথা হলো যে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব কি না? উত্তর হলো সম্ভব নয়। কারণ রাজনীতি শূন্য কোনো সমাজ হয় না। যেখানে সমাজ আছে, সেখানেই রাজনীতি আছে। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও, কার্যত একপ্রকার ছাত্ররাজনীতি। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা বলা হলেও, নিবন্ধের শুরুতে প্রদত্ত রাজনীতির সংজ্ঞা থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা থেকেই ছাত্রনেতাগণ দলগত কর্মকাণ্ডে তাদের প্রাধান্য দৃঢ় করতে নানান কূটকৌশল ও বল প্রয়োগ করা বন্ধ করবে না।

ইতোমধ্যে একমাত্র ছাত্রলীগ ব্যতীত অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলভুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রীগণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রাবাসগুলোতে প্রবেশ করেছে এবং তারা তাদের সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীসমূহে অংশগ্রহণ করে চলেছে। বাংলাদেশের এমন এক রাজনৈতিক বাস্তবতায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে, কীভাবে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতি চালু করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার। নিম্নের দু’টি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলভুক্ত ছাত্রসংগঠনের প্রভাব কমিয়ে এনে ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতি চালু যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রথমত: বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রাবাসগুলোতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ সীমিত করতে, অপেক্ষাকৃত নবীন শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলের কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম চালু করা প্রয়োজন। বর্তমানে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রাবাসগুলোতে কক্ষ বরাদ্দের অযৌক্তিক নিয়ম প্রচলিত আছে, যেখানে একজন কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাসে কক্ষ পেতে লাগে কয়েক বছর। অথচ যারা বয়সে প্রবীণ, বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত তারা কক্ষ ধরে রাখতে পারে কয়েক বছর। সে জন্য বর্তমান ব্যবস্থায় একজন নবীন অপরিণত বয়সের শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বুঝতে না বুঝতেই কতকগুলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নিরপত্তাগত ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয়। আর অন্যদিকে এই ব্যবস্থায় ছাত্রাবাসে প্রবীণদের থাকে সুখস্বাচ্ছন্দ্যের সুযোগ এবং নবীনদের উপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ। কাজেই একজন নবীন কোমলমতি শিক্ষার্থী যে সদ্য উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (কলেজ) পাস করে আসে, তাকে আবাসিক কক্ষ বরাদ্দ পেতে একবার ছাত্রাবাস প্রশাসনে দৌড়াতে হয় তো, আরেকবার প্রবীণ ছাত্রনেতাদের কাছে ধরনা দিতে হয়।

ছাত্রাবাসে বাসকক্ষ পেতে এই যে গন্ডগোল, তাই ছাত্র-রাজনীতির নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। কাজেই ছাত্রাবাসে কক্ষ বরাদ্দের এই নিয়মটি ভেঙ্গে ছাত্রাবাসগুলোতে বাসকক্ষ বরাদ্দের যৌক্তিক নিয়ম চালু করা প্রয়োজন, যেন কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসকক্ষ বরাদ্দ পায়। প্রস্তাবিত এই পদ্ধতিতে ছাত্রাবাসগুলোতে শূন্য বাসকক্ষের সংখ্যানুসারে যথাক্রমে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসকক্ষ বরাদ্দ পাবে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত কক্ষবরাদ্দের নিয়মটি মেধা ভিত্তিক হবে না বরং শিক্ষাবর্ষ ভিত্তিক হবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কক্ষ বরাদ্দ দানের পর, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কক্ষ শূন্য থাকলে, সেগুলোতে মেধার ভিত্তিতে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।

বাসকক্ষের সংখ্যা স্বল্পতার কারণে তৃতীয় শিক্ষাবর্ষ বা তদূর্ধ্ব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কক্ষ পরিত্যাগ করবে। কারণ তখন তারা ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে নিজের পছন্দমতো আবাসিক ব্যবস্থা করার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হবে। কাজেই এই প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ায় প্রবীণদের ছাত্রাবাসে বাসকক্ষ ধরে রেখে, ছাত্র-রাজনীতির কূটচক্র তৈরি করতে পারবে না। সেজন্য ছাত্রাবাসগুলোতে কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব, মারামারি ও ঝগড়া-বিবাদের সুযোগ থাকবে না। তাছাড়া ছাত্রনেতাদের জাতীয় নেতৃত্বের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের উপর খবরদারি করার বর্তমান প্রক্রিয়াটির কার্যকারিতা হারিয়ে যাবে।

দ্বিতীয়ত: বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর পরিবেশ সৃষ্টি করতে, ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর ছাত্রসংসদ নির্বাচন চালু রাখা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টি— এ সমস্ত রাজনৈতিক দল অতীতে ক্ষমতাসীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রদেরকে অনিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে যুক্ত করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব বলয় বিস্তৃত করা। কারণ রাজনৈতিক নেতাগণ জানেন যে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের সুযোগ থাকলে, আঞ্চলিক পর্যায়ে যে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়, তাদের ওপর অনৈতিক প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান রাজনৈতিক এজেণ্ডা হলো চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করা। কিন্তু সাধারণ ছাত্রসমাজ কোনো সময়ই রাজনৈতিক দলের অপকর্মকে সমর্থন করে না। সেজন্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রতি সাধারণ ছাত্ররা একটি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে।

ছাত্রসংসদ নির্বাচনের অতীত ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে, সাধারণত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলবিরোধী রাজনৈতিক দলভুক্ত ছাত্র সংগঠন বা নিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠনই ছাত্রসংসদে জয়ী থাকে। কাজেই ছাত্রসংসদের ইতিহাস থেকে পাঠ নিয়ে আমরা বলতে পারি যে, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ও ছাত্রাবাসগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, তা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করবে। অধিকন্তু দেশে একটি বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। এই নেতৃত্ব পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক উপাদান যোগ করবে। ফলশ্রুতিতে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি হবে।

কাজেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে, প্রস্তাবিত উপায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতি চালু করা প্রয়োজন।

ডক্টর এ বি এম রেজাউল করিম ফকির : অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অনুবন্ধ অধ্যাপক, সুলতান ইদ্রিস বিদেশবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়; ভূতপূর্ব অনুবন্ধ অধ্যাপক, টোকিও বিদেশবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়; ভূতপূর্ব গবেষণা ফেলো, জাপান রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউট

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পারভেজ হত্যার ঘটনায় জবি ছাত্রদলের মশাল মিছিল 

দোতলা ভিসি ভবনে লিফট, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ভারতের সহায়তা ছাড়া তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়

ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠন

মুগদা থানার ০৬নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের কর্মিসভা

দুদকের অনাপত্তিপত্র ছাড়াই থার্ড টার্মিনালের পিডি নিয়োগ

সাফল্যের ৭ বছরে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিউটি ই-কমার্স ‘চারদিকে’

সিরাজগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের আসামি রাজীবের মৃত্যুদণ্ড

মহিলা পরিষদের বিবৃতি / নারীকে আজ আর ঘরেও নিরাপদ রাখা যাচ্ছে না

প্রকল্পের কাজ ঠিকাদার নয়, বাংলাদেশ বান্ধব হতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান

১০

নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

১১

এলজির উদ্যোগে ‘এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ ২০২৫’

১২

ওয়্যারড্রবে গুলি ও অস্ত্র রেখে দেন ইফতি, অতঃপর...

১৩

আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর

১৪

জামায়াতকে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী-প্রতারক’ আখ্যা বিএনপি নেতা বাচ্চুর

১৫

খেলাফত মজলিস-এনসিপির সংলাপ, ৮ দফা ঐকমত্য

১৬

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে আবেদনের সময় বাড়ল

১৭

৩০ হাজার তরুণকে নিয়োগ দিল ফিলিস্তিন যোদ্ধারা

১৮

ইস্টার সানডে উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে প্রিন্সের শুভেচ্ছা বিনিময় 

১৯

বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কচ্ছপ খাচ্ছে গাজাবাসী

২০
X