জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পরিচয় দেওয়ার মতো কিছুই নেই!

জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। ছবি : সৌজন্য
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। ছবি : সৌজন্য

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একজন আমি। আমার পূর্ব-পুরুষরা প্রথাগত শিক্ষার কোনো সুযোগ পায়নি। তাই আমাদের কোনো বংশ লতিকা নেই। তো বাবার হাতে একটা লম্বা কাগজের কুণ্ডলী দেখেছিলাম আমার শৈশবে। সময়টা ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে হবে। দুপুর বেলায় আধাশোয়া অবস্থায় খুব মনোযোগ সহকারে বাবা সেটা পড়ছিলেন। আমি কিছুটা দূরে বসে কুণ্ডলীটির সদর-পাতা (প্রচ্ছদ) খেয়াল করেছিলাম। পদ্ম-পাঁপড়ির মতো করে লালকালি দিয়ে অলঙ্করণ করা। ভেতরে পাতাগুলো পেঁচানো লেখায় ভর্তি। মাঝে মাঝে বর্গ এঁকে আরও কী সব আঁকাজোকা করা। ওটা যে কোনো চিঠিপত্র বা জমির দলিল নয় তা আমি দিব্যি বুঝেছিলাম। বাবা একটু মেজাজি ছিলেন। তাই সাহস করে তখন কিছু জিগ্যেস করিনি। করা যেত না এমন নয়। কিন্তু করলেই যদি বলে বসে- বই নিয়ে বসগে।

প্রসঙ্গত বলে রাখি। আমার বাবার একটা বই ভর্তি ট্যাঙ্ক (শক্ত-পোক্ত টিনের বাক্স) ছিল। ওটা যে আমি অনেকবার নেড়ে চেড়ে দেখেছি তা বাবা এবং মা কারো নজরে আসেনি বোধ হয়। ওটার মধ্যে সেই আমলের প্রবেশিকা পর্যায়ের বেশকিছু বই ছিল। যেমন : কেপি বসুর অ্যালজেবরা, যাদব বাবুর পাটিগণিত, স্নেহময় দত্ত এবং পঞ্চানন সিংহের প্রবেশিকা বিজ্ঞান বই, পূর্ব বঙ্গ শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশিকা বাংলা বই (নামটা ঠিক মনে নেই) এবং ভারত-বিভাজনের আগের একটি ভূচিত্রাবলি। আমি নিয়ম করে বইগুলো বের করে পড়ে দেখার চেষ্টা করতাম।

আমার বেশ মনে আছে আমি সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর কেপি বসুর অ্যালজেবরা থেকে যথেষ্ট সহায়তা নিয়েছিলাম। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষের বইগুলোতে দেওয়া অনেক সমস্যাই কেপি বসুর বইয়ে সমাধান করে দেওয়া ছিল। কিন্তু যাদব বাবুর পাটিগণিত ততটা সহায়ক বলে মনে হয়নি। যদিও অঙ্কপাতন-অঙ্কগঠন থেকে পাটিগণিতের অনেক মৌলিক বিষয় ওই বই থেকে জানার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সমস্যা হতো ‘কড়া-গণ্ডা’ টাকা-আনা-পাই এসবের পুরোনো পদ্ধতি নিয়ে। কারণ আমাদের সময়ে ‘কড়া-গণ্ডা’-এর হিসাব উঠে গিয়েছিল।

বিজ্ঞান বইটা বেশ সহজবোধ্য ছিল। সেই বই থেকেই আমি পুকুরের প্রতিবেশ (Pond Water-Ecology), নিউটনের বে-নি-আ-স-হ-ক-লা, মানব পরিপাক-তন্ত্রের (রঙিন সচিত্র) বিষয়ক কিছু তথ্য জানতে পেরেছিলাম। প্রবেশিকা বাংলা বইয়ে অন্তর্ভুক্ত মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু থেকে সংকলিত বিশেষ পাঠের হায় ‘হোসেন! হায় হোসেন!!’ এখনো আমার মনে বাজে। সেই বইগুলোর কোনো একটা খুঁজতে গিয়েই আচমকা পেয়ে গেলাম বাবার হাতে ধরা সেই কুণ্ডলীটি। আশ্চর্যের বিষয় এদ্দিন ধরে ট্যাঙ্ক খুলছি-বন্ধ করছি কিন্তু ওই বস্তুটি আমার নজরে আসেনি।

আরও পরে জেনেছিলাম কুণ্ডলী করা কাগজটিকে কোষ্ঠী বা ঠিকুজি বলে। মানুষ জন্মগ্রহণের পর-পরই অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আচার্য ঠাকুর (তথাকথিক ভবিষ্যৎ গণনায় পারদর্শী বিশেষজ্ঞ) ডেকে এ ধরনের দলিল তৈরি করা হয়। আমার বাবার জন্য তার বাবা অর্থাৎ আমার ঠাকুর দাদা এটা করিয়েছিলেন। কিন্তু আমার বাবা আমার জন্য এমন কিছু করেননি। তবে আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে পথ-চলতি এক গণক ঠাকুর (এক সময় গৈ-গেরামে এমন ঠাকুরের দেখা পাওয়া যেত) আমার সম্বন্ধে কিছু-একটা বলেছিলেন। সময়ে তা বলব। যাহোক কী ছিল সেই কোষ্ঠীতে। বাবার নাম (তাৎক্ষণিক একটা নাম -যে নামে কেউ তাকে কোনোদিন ডাকেনি), জন্মক্ষণ, তারিখ ইত্যাদি। সারা জীবনে কী হওয়া যাবে, ধন-ঐশ্বর্য হবে কি না, জীবনে কতগুলো বাধা-বিপত্তি আসবে এসব। বাবার পরমায়ু লেখা ছিল ৮৫ বছর। মোটামুটি ঠিকই ছিল। কারণ বাবা ৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। তবে ধন-ঐশ্বর্য-বিদ্যা-বুদ্ধি বিষয়ে যা যা লেখা ছিল সেগুলো কিন্তু ততটা সঠিক হয়নি।

যাহোক এসব বিষয়ের প্রতি আমার কোনো আস্থা ছিল না। এখনো নেই। তবে কোষ্ঠী থেকে আমার বড় ‘পাওয়া’ ছিল কয়েক পুরুষের নামের তালিকা। ধন্যবাদ আমার ঠাকুর দাদাকে। তখনকার দিনে অভাবের মধ্যে থেকেও এমন একটি দলিল তৈরি করার জন্য। যেমন আমার ঠাকুর দাদার নাম, তার বাবার নাম, তার বাবার নাম এবং তার বাবার নাম। এটাকে বংশ লতিকা বলা চলে না। কারণ ঠাকুর দাদার ঠাকুমা কে ছিলেন, সেই ঠাকুমার বাবার বাড়ি কোথায় ছিল এসব কিন্তু সেখানে ছিল না। তবে যা পাওয়া গেছে তাই বা কম কীসের।

আমার বাবার নাম জিতেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বলে রাখি আমাদের বংশ পদবি বিশ্বাস নয় মণ্ডল অর্থাৎ কি না মণ্ডল গোষ্ঠী। কীভাবে যেন বাবার সময় থেকে বিশ্বাস হয়ে গেল। এমনকি আমার ঠাকুর দাদাও বিশ্বাস পদবি নিয়ে মারা গেছেন। তবে আমার বাবার মাতুল-কুল এবং নিজের মাতুল-কুল বিশ্বাস পদবিধারী। তারা না কি কোনোদিন মণ্ডল পদবিধারী ছিলেন না। আমার মাতুল-কুলকে বিশ্বাস পদবি নিয়ে গর্ব করত দেখেছি। যাহোক একসময় মণ্ডল পদবিধারী মানেই চাঁড়াল বা এ জাতীয় কোনো ছোট জাতের কেউ বোঝাতো। চাঁড়াল শব্দটি চণ্ডাল শব্দের অপভ্রংশ। এর মধ্যে খারাপ কী আছে আজও আমার মাথায় আসে না। অথচ চাঁড়াল এদেশের ভূমিপূত্র। বঙ্গ-জনপদের আজকের দিনের অধিকাংশ মুসলমান-হিন্দুর পূর্বপুরুষ। এক সময় এরা প্রকৃতি-পূজারি ছিল। তারপর বুদ্ধের শরণাগত ছিল বহুদিন।

সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন রাজাদের প্রভাবে বৈষ্ণব, শাক্ত বা অনুরূপ কোনো মতবাদের আশ্রয় নেয় - যেখানে বর্ণষৈম্যের অলঙ্ঘনীয় বেড়াজাল। এক সময় ইসলামের সুফি-সাধকরা আসে দোরগোড়ায়। তাদের সশ্রুমণ্ডিত-সৌমকান্তি পুরোহিতদের (ইমাম) অধিকাংশ চাঁড়ালরা অনেকটা ত্রাণকর্তা হিসেবেই দেখেছিল। তাই দলে দলে অভিনব ধর্মপথ বেছে নেওয়াই তাদের জন্য স্বাভাবিক ছিল। তারপরও বেশ কিছু চাঁড়াল রয়ে যায় তাদের চিরাচরিত পথে। অপবাদের বোঝা কিন্তু নামে না। অবশেষে উনিশ শতকের প্রথম দিকে হরিচাঁদ বিশ্বাস (১৮১২-১৮৭৮) বলে একজন সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব হয়। তিনি হরিচাঁদ ঠাকুর বলে পরিচিত ছিলেন। অন্তজ এই চাঁড়াল সমাজকে শিক্ষিত করার মানসে তিনি এক বিশেষ আন্দোলন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুর (১৮৪৬-১৯৩৭) ওই সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৮৮০ সালে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে প্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

যে গুরুচাঁদ ঠাকুর শৈশবে বর্ণহিন্দুদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন তিনি তার নব্বই বছরের জীবনে তৎকালীন বঙ্গ-প্রদেশে (পূর্ব এবং পশ্চিম বঙ্গ) ৩৯৫২টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পাশাপাশি চণ্ডাল অপবাদ ঘোচাতে আন্দোলন করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে ১৯০৭ সালে তৎকালীন আসাম-বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে চণ্ডাল জাতিকে নমঃশূদ্র নামে অভিহিত করার সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু গেজেট প্রকাশ করলেই কী সব হয়ে যায়! হাজার বছরের সংস্কার মানুষের মন থেকে সহজে যায় না। বর্ণহিন্দুরাও যেমন চাঁড়ালদের সমাজে বিশেষ মর্যাদা দিতে কার্পণ্য করতে ছাড়েনি আবার নমঃশূদ্ররাও এই হীনন্মন্যতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। তাই বোধ হয় সরকারি গেজেট নামক বিকল্প একটা পথ বের করা হয় যেটা আমার মোটেই পছন্দ নয়।

চাঁড়ালদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে অন্য পেশাও থাকতে পারে। শ্রমের মর্যাদা বা পেশাকে সম্মান করার বিষয়টি বোধ হয় নিকট অতীতেও ছিল না। তাই ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে অনেকেই মণ্ডল পদবি ছেড়ে অন্য পদবি ধারণ করেছিল। আমাদের জ্ঞাতিদের (একই বংশ ধারা) মধ্যে একটি গোষ্ঠীর কথা জানি তাদের পদবি ‘বালা’। তবে ঠিকুজি-কোষ্ঠী নিয়ে তো কোনো ভনিতা চলে না। সেখানে আসল পদবি থাকতেই হবে। তাই ঠিকুজিতে বাবার গুপ্ত-নামের (ঠিকুজিতে ব্যবহৃত প্রথম নাম)) সঙ্গে পদবি হিসেবে মণ্ডলই ছিল। একইভাবে বাবার বাবার নাম (আমার ঠাকুরদা) বসন্ত কুমার মণ্ডল, তার বাবার নাম অর্থাৎ বাবার ঠাকুর দার নাম দীনবন্ধু মণ্ডল, তার বাবার নাম কুড়ল মণ্ডল; কুড়ল মণ্ডলের বাবার নাম শীতল মণ্ডল। এই পর্যন্তই। যদি মায়ের দিকে যাই- মায়ের বাবার নাম কাশিনাথ বিশ্বাস, কাশিনাথ বিশ্বাসের বাবার নাম রামচরণ বিশ্বাস। এখানেই শেষ।

আমাদের সমাজে তখন মেয়েদের নাম নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি বোধ হয়। তাই আমার মায়ের নাম জানলেও বাবার মায়ের নাম কী ছিল তা জানা একটু মুষ্কিল ছিল। তবে আমি আমার বাবার মায়ের নামটা জেনেছিলাম কীভাবে যেন। নিতান্তই অল্প বয়সে কলেরায় মারা যাওয়া সেই গৃহবধূর নাম ছিল যশোদা। তার পুরো নাম কী হতে পারত! যশোদা রানী মণ্ডল! কারণ কোনোদিন কালির অক্ষরে তার নাম কোথাও লেখা হয়েছে কি না কে জানে! বাবার মুখে কোনোদিন আমার ঠাকুমার নাম শুনিনি। কারণ মায়ের নাম না কি উচ্চারণ করতে নেই। আমার নিজের কিছুটা আগ্রহ ছিল এসব ব্যাপারে। তাই শুধু বাবার দিকে নয় মায়ের দিকেও সম্ভব মতো জানার চেষ্টা করেছিলাম। সেভাবেই জেনেছিলাম, আমার মায়ের মায়ের (আমার দিদি মা) নাম প্রেমা রানী জোয়ার্দ্দার (বিশ্বাস) (গ্রামীণ উচ্চারণে পেমা), মায়ের ঠাকুমার নাম ক্ষুদি সুন্দরী।

আমার দিদিমার বাবা-মায়ের নামও জেনেছিলাম। যেমন দিদিমার মায়ের নাম রাইকিশোরী জোয়ার্দ্দার এবং বাবার নাম কুদাই চন্দ্র জোয়ার্দ্দার। কিন্তু তাদের জন্ম কত-কত সালে হয়েছিল সেসব ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। তবে আমি কিছুটা অনুমান করার চেষ্টা করেছিলাম। বিশেষত আমার নিজের ঊর্ধ্বতন কয়েক পুরুষের জন্ম-বছরগুলো।

জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস : সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট; সাবেক নির্বাহী পরিচালক, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৯ সেপ্টেম্বর : নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রুরা ওত পেতে আছে

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেপ্তার

‘গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে’

জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য

বৈদেশিক ঋণ আবার ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২শ’ সদস্য

সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু

১০

ডিপিডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির নতুন কমিটি

১১

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়ে আলী রীয়াজের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১২

আলজাজিরার অনুসন্ধান / যুক্তরাজ্যে ৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

১৩

রূপপুর পারমাণবিকের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু

১৪

মহেশখালী থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী

১৫

নকল সোনার মূর্তি দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

১৬

কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রবাসী যুবক নিহত

১৭

ভুল সংশোধনী ও দুঃখ প্রকাশ

১৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট নিরসনে পুলিশের অভিযান

১৯

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন গৃহবধূ শারমিন

২০
X