৯ মাস আগে যা ভাবা হয়েছিল, বর্তমানে হামাসের কৌশল তার চেয়ে আরও বেশি কার্যকর। ইসরায়েলের হাতে এখন সকল ফ্রন্টে একটি বাস্তব যুদ্ধ রয়েছে যা সহজে থামানো যাবে না।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার নিয়ে একটি মূল প্রশ্নের সদুত্তর আজও মেলেনি। হামাস কি ভেবেছিল, সেদিন ওই মাত্রায় ইসরায়েলে আঘাত করলে তাদের ওপর কী ঘটবে?
প্রথমদিকে, আমি বিশৃঙ্খলা তত্ত্ব কে সামনে এনেছিলাম। সেটা ছিল একরকম যে, ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা এবং উঁচু স্তরের জিম্মিদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে সীমিত আকারে অভিযান পরিচালনা করা। যাইহোক, ইসরায়েলের গাজা ব্রিগেডের অপ্রত্যাশিত পতনের জন্য ধন্যবাদ। হামাস ধরেই নিয়েছিল যে, ইসরাইলের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে যে ১৪০০ যোদ্ধাকে তারা পাঠাবে, তাদের অধিকাংশই নিহত হবে। কিন্তু না, তাদের অধিকাংশই জীবিত ফিরে এসেছে।
হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের পূর্বনির্ধারিত টার্গেটগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো এবং ভুলক্রমে তারা একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হোঁচট খায়। কারণ ফেস্টিভ্যালের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানা ছিলো না। পরবর্তীতে সেখানকার হত্যাকাণ্ডটিই সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দেয়। একজন উপসাগরীয় কূটনীতিকের ভাষায়, সেটিই ছিলো ভুল হিসাবের মূল। হামাসের হামলার পরপরই প্রকৃতপক্ষে এটিতেই সবার নজর পড়ে এবং হামাস ও তার মিত্ররা নেতৃত্ব অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়।
যেদিন হামাস হামলা চালায়, সেদিন গ্রুপটির সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ হামলার কিছু আগে প্রস্তুত করা এক অডিও বার্তায় প্রতিরোধের অক্ষ হিসেবে মিত্রদেরও তাদের সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, লেবানন, ইরান, ইয়েমেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় আমাদের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের ভাইয়েরা, এটি হল সেই দিন- জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একত্রিত হওয়ার দিন।
কিন্তু হিজবুল্লাহ একজনের কথায় মুগ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া কিংবা হঠাৎ যুদ্ধে জড়ানো তাদের জন্য অনুকূল এবং পছন্দনীয় ছিলো না। যদি না ইসরায়েলের গাজা ব্রিগেড হিজবুল্লাহকে চমকে না দিতো। কারণ এমনকি ইসরায়েল সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামে থাকা হিজবুল্লাহর যোদ্ধারাও এ ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক ছিলো না।
একজন কমান্ডার বলেছিলেন- আমরা একটি যুদ্ধের জন্য জেগে উঠেছিলাম। ফলে স্পষ্টতই, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়া আসবে সেটি হামাসও আশা করেনি কিংবা তাদের স্ক্রিপ্টেও তা ছিল না।
৭ অক্টোবরের হামলার পর সব হামাস যোদ্ধাদের যেটা করণীয় ছিলো তা হলো- যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মিত্রদের জন্য অপেক্ষা করা এবং গাজায় ইসরাইলে স্বাভাবিক আগ্রাসন ও ঔদ্ধত্যকে চলতে দেওয়া।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলার প্রতিক্রিয়ায় দুই সপ্তাহ পর হামাসের প্রবাস অফিসের প্রধান খালেদ মেশাল হিজবুল্লাহকে ধন্যবাদ জানান। তবে, তিনি স্পষ্টভাবেই তাদের পক্ষ থেকে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা জানান।
হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহ এ ব্যাপারে আরও তিন সপ্তাহ নিরব ভূমিকা পালনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, হামাসের অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এবং তা কার্যকরের বিষয়টি শতভাগই ফিলিস্তিনিদের। নাসরাল্লাহ আরও বলেন, এই হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিংবা কার্যকরের ক্ষেত্রে অন্য প্রতিরোধ গ্রুপগুলোর কোনো প্রভাব নেই।
হিজবুল্লাহর নেতার এই বক্তব্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখা প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে বলেছিলেন যে, ইরান এই যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। যদিও তারা গোষ্ঠীটির প্রতি রাজনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এতক্ষণ আমরা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ছিলাম এবং হামাসের কৌশল স্পষ্টতই একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের গোড়াপত্তনের দিকে মোড় নিচ্ছিল।
বাঁধ বিস্ফোরণ
নভেম্বরে হিজবুল্লাহ ও ইরানের সেই কথা ও কাজের সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতির তুলনা করুন। শুরুতেই লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের আঘাতের পাল্টা একই জবাব তারা। অন্যদিকে, নভেম্বরে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ মুভমেন্ট (হুথিরা) লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলার মাধ্যমে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এপ্রিলে এই পরিস্থিতির মোড় আরও ঘুরিয়ে দেয়, যখন ইসরায়েল দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের একটি কম্পাউন্ডে হামলা করে কুদস ফোর্সের বিদেশি অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) আরও সাতজনসহ ১৫ জন কর্মকর্তা হত্যা করে। ইরানের পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ মিসাইল এবং ১২০টির মতো ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে বড় ধরনের হামলা চালায়। যার কয়েকটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
এর মাধ্যমে ইরান তার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ের ধাপটি অতিক্রম করে এবং একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের বীজ বপন করে। এরপর থেকে ব্যাপারটি আর যদির ভিত্তিতে নয়, বরং হামলা-পাল্টা হামলার ওপর দাঁড়িয়ে যায়। গত মঙ্গলবার, আইআরজিসির মহাকাশ বাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, ইরান একই হামলার জন্য আরেকটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
হিজবুল্লাহ আজ যুদ্ধের একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, আরও হাজার হাজার যোদ্ধা তাদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে ইচ্ছুক, কিন্তু এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহর তাদেরকে প্রয়োজন হবে না। এমনকি তিনি ইসরায়েলকে বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিলে সাইপ্রাসেও হামলার হুমকি দেন।
ফলে দেখা যাচ্ছে যে, ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাস যোদ্ধাদের যেটা করণীয় ছিল তা হলো- যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মিত্রদের জন্য অপেক্ষা করা এবং গাজায় ইসরায়েলে স্বাভাবিক আগ্রাসন ও ঔদ্ধত্যকে চলতে দেওয়া। হামাসের এই কৌশল কাজ করছে। কিন্তু তাদের এই কৌশল কি খুব তড়িঘড়ি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যার ফলে ৭ অক্টোবরের পর সবাই তাদের অভিযানকে আনাড়ি ভেবেছিল? দৃশ্যত না, এ ব্যাপারে গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বক্তব্যের দিকে ফিরে তাকান।
ভবিষ্যদ্বাণী
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসলামপন্থি গ্রুপটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সিনওয়ার বলেছিলেন, চতুর্দিক থেকে প্রতিরোধ আন্দোলনকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং দখলদারিত্বের জন্য দখলদার গোষ্ঠীর কাছ থেকে সব পাওনা আদায় করাই হবে আমাদের জনগণের মুক্তি এবং সফলতা অর্জনের একমাত্র উপায়।
আজকে যারা কোনো পদক্ষেপ নেবে না, তারা আগামীকাল আফসোস করবে। কৃতিত্ব তারই পাওনা যে প্রথমে এগিয়ে যায় এবং সত্যবাদী বলে প্রমাণিত হয়। কেউ যেন আপনাকে অভ্যন্তরীণ কলহ-বিবাদ কিংবা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে না পারে, সেই সুযোগ দেবেন না। যখন আমাদের মাথার ওপর ফ্যাসিবাদের বিস্তৃতির হুমকি বাড়ছে তখন অভ্যন্তরীণ বিবাদে জড়ানোর সময় নেই আমাদের।
কয়েক মাস পরে সিনওয়ার এক বক্তব্যে সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। কয়েক মাসের মধ্যে এবং আমার ব্যক্তিগত অনুমান যে, এক বছরও অতিক্রম করবে না, আমরা দখলদারদেরকে দুটির বিষয়ের যেকোনো একটি মানতে বাধ্য করব। আর তা হলো- হয় আমরা তাদেরকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য করে পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম থেকে দখলদারিত্ব প্রত্যাহার করা, বসতি উচ্ছেদ, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা।
ইসরায়েল জানত যে, শিয়া এবং সুন্নি শক্তি একত্রিত হলে তার কৌশল ও ক্ষমতা সীমিত হয়ে যাবে; যা এখন ঘটছে। ঠিক তাই হয়েছে। ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে এতোটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যতটা আগে কখনো হয়নি। তেল আভিভকে দুটি সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে এবং তার এর প্রধান দুই রক্ষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিনওয়ার যখন গাজার রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন হামাসের মধ্যে তার সমালোচক ছিলেন। তার প্রাক্তন স্কুল এবং কারাগারের সঙ্গী ফাতাহ নেতা মোহাম্মদ দাহলানের সঙ্গে তার পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা লিড বেলুনের মতোই নিচে নেমে গিয়েছিল।
আবারও সেই ভ্রাতৃত্ব ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসের সঙ্গে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এক সময়ের তিক্ত শত্রুদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ লেবাননে হামাসকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর অনুমতি দেওয়া হিজবুল্লাহর চেয়েও তাদের সম্পর্ক গভীরে যায়।
আল-ফজর হল লেবাননের মুসলিম ব্রাদারহুড আল-জামা'আ আল-ইসলামিয়া (জেএআই) এর সশস্ত্র শাখা। দীর্ঘ সময় ধরে এর বাহিনী সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। ধারণা করা হয়, বর্তমানে তাদের যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ৫০০, কিন্তু তাদের গুরুত্ব সংখ্যার হিসাবেরও বাইরে। ৭ অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডারদের উপর আক্রমণের সংখ্যা বাড়ানোয় তাদের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। জানুয়ারিতে ইসরায়েলি হামলায় সিনিয়র হামাস কমান্ডার সালেহ আল-আরোরি নিহত হওয়ার পরে জেএআই- এর এক শোক বিবৃতিতে বলা হয় স্বাধীনতার জন্য লেবানিজ এবং ফিলিস্তিনিদের রক্ত একসঙ্গে মিশেছে।
একটি বড় ধরনের আঞ্চলিক পরিবর্তন
যদিও সুন্নি জনসংখ্যার একটি অংশ সিরিয়ায় যা ঘটেছে সেজন্য শিয়াদের কখনোই ক্ষমা করবে না, তা সত্ত্বেও ৭ অক্টোবরের ঘটনা শিয়া-সুন্নির সাম্প্রদায়িক বিবাদের আংশিক নিরাময় ঘটিয়েছে, যা আঞ্চলিক ভূ-দৃশ্যপটে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনকেই নির্দেশ করে। ইসরায়েল সব সময়ই বিভাজন এবং শাসন (ডিভাইড এন্ড রুল) নীতিতে চলে। তারা জানে যে, সুন্নি এবং শিয়া শক্তি একত্রিত হলে ইসরায়েলের ক্ষমতা সীমিত হবে।
গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলা আরব বিশ্বে এতটাই ক্ষোভ ও অপমানের সৃষ্টি করেছে যে, এটি আরব বসন্তের পরে সৃষ্ট গভীর ফাটলকেও মাটিচাপা দিচ্ছে।
একটি সফল কৌশল এমনকি যদি সিনওয়ার আগামীকাল মারাও যেতেন, এটিকে হামাস নেতা তার জীবনের একটি দায়িত্বকে সুসম্পন্ন করেছেন বলে মনে করতেন। এছাড়া, লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সঙ্গে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শেষ হতে কয়েক দশক লাগতে পারে। হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েলকে সমর্থনের আমেরিকার কৌশল এবং তাকে সংযত করতে বাইডেনের বিয়ার হাগ বা, ভাল্লুকের আলিঙ্গন সম্পর্ক এই অঞ্চলে কর্মরত প্রতিটি মার্কিন সেনাদের জন্য একটি বড় লক্ষ্য বাস্তবায়নের দায় চাপিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন, বাইডেনের ইসরাইল নীতির কারণে প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করা সাবেক ১২ জন কর্মকর্তা।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছেন এবং এই সপ্তাহে জো বাইডেনের মূর্খতা নিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি বিবৃতিতে সতর্ক বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক কর্মকর্তারা ওই বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলের জন্য আমেরিকার কূটনৈতিক আবরণ এবং ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহের ফলে গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং জোরপূর্বক অনাহারে নিপতিত করা অনস্বীকার্যভাবে আমাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছে।
এখন যাই ঘটুক না কেন, ৯ মাস আগে হামাসের কৌশল যতটা সম্ভব বলে মনে করা হয়েছিল বর্তমানে তাদের কৌশল অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে। তাদের কৌশলের কারণেই ইসরায়েলকে এখন সব ফ্রন্টে একটি সত্যিকারের যুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। সর্বোপরি, এটি এমন একটি যুদ্ধ যা সহজেই থামানো যাবে না।
মূল : ডেভিড হার্স্ট; ভাষান্তর : মোহসিন কবির
মন্তব্য করুন