লিখতে বসে আজ হিসাব করে দেখলাম, বাকেরের সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘ ৫১ বছরের। এতদিনের এই জানাশোনাকে কোনোভাবেই একমাত্রিক বলা যায় না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল বিভিন্ন ধরনের, ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের। বাকেরকে প্রথম জেনেছি আমার সহপাঠী বন্ধুরূপে। উনিশশ বাহাত্তর থেকে সাতাত্তর- টানা ৫ বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন ক্লাসে আমরা একসঙ্গে পড়ালেখা করেছি। মাস্টার্স শেষ করার কয়েক মাসের মধ্যে সেই বিভাগেই আমরা দু’জন আবার লেকচারার হিসেবে যোগও দিয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছি একবছর। বছর ঘুরতে না ঘুরতে ১৯৭৯ সালের ফল সেমিস্টারে বাকের আর আমি আবার এসে মিলিত হলাম কানাডার উইনিপেগ শহরে- ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায়। এখানেও আমি তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে ছিলাম আরও ৮ বছর। অবশ্য মাঝখানে আড়াই বছর আমার অনুপস্থিতির কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বসবাস।
উনিশ সাতাশি সালে পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করার একটু আগেই বাকের চাকরি নিয়ে চলে এলো আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের রাজধানী শহর- স্প্রিংফিল্ড-এ। স্যাঙ্গামন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। স্যাঙ্গামন পরে নাম বদলে হয়ে যায়- ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়-স্প্রিংফিল্ড। এর ঠিক একবছর পর অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে বাকেরের পথ ধরে আমিও আমার পিএইচডি অসম্পূর্ণ রেখে চলে এলাম আমেরিকায়। আল্লাহর কী খেলা, ৫০টি স্টেটের এতো বিশাল দেশে আমার আর কোথাও চাকরি জুটল না। এক বছরের জন্য একটি অস্থায়ী চাকরিতে এসে যোগ দিলাম ছোট্ট শহর চার্লসটন-এ। ইস্টার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে। স্প্রিংফিল্ড থেকে চার্লসটনের দূরত্ব ৯৮ মাইল। মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ। দু’বছরের মাথায় আমার চাকরিটি স্থায়ী হয়ে গেল। আমি চার্লসটনে ছিলাম ৪ বছর।
ইলিনয়ে থাকতে বাকের ও তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের দেখা হতো হরহামেশাই। তারা আমাদের বাড়িতে আসত আমরাও যেতাম। মাঝেমধ্যে আড্ডা মেরে পরস্পরের বাসায় রাতও কাটিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের দুই শহরের মাঝামাঝি আরবানা-শ্যাম্পেইন ছিল স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। শ্যাম্পেইনের ওইসব অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমেও পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আরও পাকাপোক্ত হতে থাকে। এভাবে ঘন ঘন মেলামেশার মধ্য দিয়ে বাকেরের স্ত্রী নাজমার সঙ্গে আমার স্ত্রী শারমিনেরও একটি অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, প্রকৃতপক্ষে নাজমা-বাকেরের ছেলেমেয়ে- নওশাবা, নাবিলা, ইমরান ও ইউসুফ এবং আমাদের আসাদ, নাজলা এবং নায়লা একসঙ্গে খেলাধুলা আর আনন্দফুর্তির মধ্য দিয়ে বড় হতে থাকে। আর আমাদের দুই বন্ধুর সম্পর্ক মনের অজান্তে লাল ইটের শ্রেণিকক্ষের সীমানা পেরিয়ে উন্মুক্ত আকাশের নিচে অন্তরঙ্গ পারিবারিক বন্ধুত্বে উন্নীত হলো।
বাকের আজীবন স্প্রিংফিল্ডেই থেকে গেল। আমি ১৯৯২ সালে চলে এলাম আরেকটু দখিন-পুবদিকে ২৮০ মাইল দূরে। এবার আমি পদোন্নতি নিয়ে আরেকটি অস্থায়ী চাকরিতে যোগ দিলাম ন্যাশভিলের টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। আমাদের দুই পরিবারের অবস্থানগত ভৌগোলিক দূরত্ব বৃদ্ধি পেলেও মনের মিলে কোনো ফাটল দেখা দেয়নি। বছরে দু’তিনবার যাওয়া-আসা তো হতোই। এরকম দেখা সাক্ষাৎ অব্যাহত ছিল একাধারে আরও ১০/১২ বছর। ছেলেমেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে ঢোকার পর যাতায়াত আস্তে আস্তে কমে আসে। তবে টেলিফোন-আলাপচারিতায় কোনো ঘাটতি পড়েনি। মাঝে মাঝে ফোনে গল্পগুজব হতো। সুখ-দুঃখের কথাবার্তার আদানপ্রদান করতাম। ঝড়-তুফানে পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া হতো। দৈনন্দিন জীবনের বৈষয়িক প্রয়োজনে বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য আমি তাকে সময়ে অসময়ে ফোন করেছি। কখনো বিরক্তি প্রকাশ করেনি।
বাকেরের চরিত্রের সৌন্দর্য ও কয়েকটি বিরল বৈশিষ্ট্য আমার চোখে ধরা পড়ে জাবি-জীবনের একেবারে শুরুতেই। সততা, ভদ্রতা, নম্র্রতা, আত্মমর্যাদা, পরিমিতিবোধ, অন্যের প্রতি সংবেদনশীলতা, ইত্যাদি ছিল তার ব্যক্তিত্বের বিরল বৈশিষ্ট্য। সামাজিক আলাপচারিতায় সে কম কথা বলত। কোনো একটা বিষয়ে কোনো অবস্থান নিয়ে ফেললে তা থেকে সে সহজে সরে আসতে চাইত না।
ক্লাসেও তার আচার-আচরণ ছিল বেশ ব্যতিক্রাম ধরনের। ভাল ছাত্র হয়েও বাকের সামনে না বসে পেছনের কাতারে গিয়ে বসতো, আনিসের সঙ্গে। আনিস সময়ে সময়ে স্যারদের প্রশ্ন করত। উত্তরও দিত। অথচ শ্রেনিকক্ষে বাকেরের কোনো আওয়াজই পাওয়া যেত না। আমরা অনেকেই বিভিন্ন বই টুকে টুকে নোট লিখতাম। মুখস্থ করতাম। পরীক্ষার হলে গিয়ে উগলে দিতাম। বাকের নোট করত কি না, আমি বলতে পারব না। তবে আমি যা জানি, টিপিক্যাল ভালো ছাত্রদের মতো সে পড়া মুখস্থ করত না। যে কোনো বিষয়ে এক বা একাধিক বই পড়ে সে যা বুঝত, পরীক্ষার দিন সেটাই তার নিজের ভাষায় লিখে দিয়ে আসত। আমি কী করে বুঝলাম? পঞ্চাশ বছর আগের একটি উদাহরণ দিয়েই বলছি।
প্রথম বর্ষে একবার মাইক্রো ইকোনমিক্সের ক্লাসে আখতার ফারুক স্যার ১০টি ছোট ছোট প্রশ্নের একটি টিউটিরিয়াল পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষার একটি মাত্র প্রশ্ন আজ আমার মনে আছে। সেটি ছিল - Construct a production function for IRRI. আরেকটি সওয়ালের জওয়াব আমার জানা আছে কিন্তু প্রশ্নটি মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে, ওই পরীক্ষায় আমার ফলাফল হয়েছিল যা তা। আমার স্মৃতি যদি আমার সঙ্গে প্রতারণা না করে তাহলে বলব - ওই টিউটোরিয়ালে বাকেরের কৃতিত্ব ছিল সবার উপরে। এমন কি ক্লাসের সেরা ছাত্র আনিসেরও। তার খাতা পড়ে ফারুখ স্যার যারপর নাই মুগ্ধ এবং অভিভূত হয়েছিলেন। ক্লাসে একে একে তিনি বাকেরের লেখা প্রতিটি উত্তর আমাদের পড়ে শুনিয়েছিলেন। আফসোস, একটি বাদে আর সবগুলো আজ আমি বেমালুম ভুলে বসে আছি। বন্ধু হয়েও তো বন্ধুর জন্য কিছু করতে পারলাম না। তাই আজ বাকেরের হাতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা তার ওই বাক্যটি অশ্রুজলে ভিজিয়ে দিয়ে তারই স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদন করছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে তার বিদেহি আত্মার মাগফিরাত চাইছি। অজ্ঞাত সেই প্রশ্নের যথার্থ উত্তরটি বাকের লিখেছিল এভাবে... `Samuelson's revealed preference theory is behaviouristic.’ উত্তর পড়ে চাইলে আপনারা প্রশ্নটি এখন সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন।
ম্যানিটোবায় এসেও বাকের তার প্রতিভার উজ্জ্বল সাক্ষর রেখে গেছে। মাস্টার্স এবং পিএইচডি-তে সে ৮টি কোর্স নিয়েছিল। এর সব ক’টিতেই সে A পেয়েছিল। এতো ভালো ফলাফল করার পরেও বাকের ‘ম্যানিটোবা গ্র্যাজুয়েট ফেলোশিপ’ পায়নি। অবশ্য এতে তার কোনো আফসোস ছিল না।
বাকেরের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কথাবার্তা এতোই মনোমুগ্ধকর ছিল, সে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একজন অপরিচিত মানুষকে সম্মোহিত এবং অভিভূত করতে পারত। এজন্য যথাসময়ে চাকরি পেতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি। তার চরিত্রের আরেকটি সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় উপাদান ছিল। কারও কাছে তোষামোদ করা তার পক্ষে কোনোক্রমেই সম্ভব ছিল না। চাকরিজীবনে নিজের আবদারটা সে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে কোনোদিনই মুখ ফুটে বলতে পারত না। এটা একান্তই তার স্বভাববিরুব্ধ কাজ ছিল। যার জন্য বৈষয়িকজীবনে তার কিছু অসুবিধাও হয়তো হয়েছিল।
কাপড়চোপড়ের ব্যাপারে সে আজীবন খুব সৌখিন এবং সচেতন ছিল। সুন্দর জামাকাপড় পরত। এ ব্যাপারে তার পছন্দ যথেষ্ট উন্নত রুচির পরিচায়ক ছিল। সুস্বাস্থ্যের জন্য সে যাই গায়ে দিত, তাকে চমৎকারভাবে মানাত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে তার হালকা সবুজ এবং বাদামি রঙের ছোট ছোট চেক একটি ড্রেসকোট ছিল। শীতকালে এই কোট পরে হাতে সিগারেট ধরিয়ে সে যখন ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে ধীর লয়ে হাঁটত তখন তার চোখেমুখে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠত।
খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও বাকের বেশ বিলাসীই ছিল। মেহমানদারিতে তার দিলখোলা স্বভাবের তুলনা হয় না। আমরা যখন তার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম তখন জনে জনে আমাদের পছন্দমতো খাবারদাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে এনে সে থরে থরে সাজিয়ে রাখতো - যেমন দামি চকলেট, বিভিন্নজাতের বাদাম, আম, আইসক্রিম, ইত্যাদি।
রান্নাবান্না বাদে সাংসারিক কাজকর্ম সবকিছু বাকের নিজেই করত। এসব কাজের পরতে পরতে পাওয়া যায় তার আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার অকাট্য প্রমাণ। ছেলেমেয়েদের শরীরস্বাস্থ্য, কাপড়চোপড়, খাওয়াদাওয়া এবং সর্বোপরি লেখাপড়ার ব্যাপারে বাকের ছিল অত্যন্ত সহায়ক, যত্নশীল, সহানুভূতিশীল এবং সংবেদনশীল। আমি খুব কাছ থেকে তাকে এবং তার পরিবারকে দেখেছি। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি - নিঃসন্দেহে সে ছিল একজন আদর্শ পিতা, সংবেদনশীল স্বামী এবং একজন পরম পরোপকারী বন্ধু।
উনিশশ উনআশি সালের কথা। বাকের এবং আমি আমরা দু’জনই উইনিপেগের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাভিনিউয়ের একটি অতি পুরোনো দালানের দুতলায় থাকতাম। সে থাকত পুবদিকে আমাদের অনুজপ্রতিম ফায়জুলের সঙ্গে শেয়ার করে একটি অ্যাপার্টমেন্টে এবং আমি থাকতাম পশ্চিম দিকে সাদেক ভাইয়ের সঙ্গে অন্য আরেকটি ইউনিটে। তিনতলায় আনিস থাকত জয়েস ভাবিকে নিয়ে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়। ক্রিস্টমাস-পরীক্ষা শেষে ছুটি কাটাচ্ছি। যেদিনের কথা বলছি, সেদিন ভোরবেলাতেই দেখলাম, চারদিকে ঘন অন্ধকার নেমে আসছে। অনবরত বরফ পড়ছে। জানালা দিয়ে তাকালে বরফ ছাড়া আর কিছইু দেখা যায় না। আমি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ শুনে খুলে দেখি, গরম কফি হাতে বাকের দাঁড়িয়ে আছে। তাকে ভিতরে এনে বসালাম। কফি খেতে খেতে বাকের গল্প জুড়ে দিল। উনিশশ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা। সে বলে গেল, আমি শুনলাম। বিরতিহীনভাবে তার গল্প-বলা চলল প্রায় দুই ঘণ্টা। বাকেরের কথায় কথায় উঠে এলো - ট্রেনিং ক্যাম্পে তার প্রশিক্ষণের কঠিন কঠিন সব বর্ণনা, ডালভাতের কথা, খুজলি-পাঁচড়া নিয়ে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর করুণ কাহিনি। কিন্তু আফসোস, বিস্তারিত কিছুই আজ আমার স্মরণে নেই।
ওই লম্বা গল্পের অনেকদিন পরের আরেকটি ছোট্ট ঘটনা। সেটি ঘটেছিল ন্যাশভিলে আমাদের বাড়িতেই। বাকের সপরিবারে স্প্রিংফিল্ড থেকে ন্যাশভিলে বেড়াতে এসেছে। রাতে খাবারদাবারের পর সেদিনের গল্প-আড্ডা বেশি লম্বা হয়নি। ভোরবেলা ফজরে উঠেছি। ওজু করে দু’জনই নামাজের জন্য তৈরি। আমি বললাম, তুই পড়া। এক কথাতেই সে রাজি হয়ে গেল। তার ইমামতিতে শুরু হলো নামাজ। প্রথম রাকাতে সে সুরা আদ্-দোহা তেলাওয়াত করল। পরের রাকাতে কোন সুরা পড়েছিল, মনে নেই। সালাম ফেরানোর পর মুনাজাত শেষ করলো ‘রাব্বিজ্ আলনি মুকিমাস্সালাতি...’। বাকেরের সুরাক্বিরাত শুনে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত না হয়ে পারিনি। এতো চমৎকার ছিল তার আরবী উচ্চারণ, মনে হয়েছিল আমি যেন একজন প্রশিক্ষিত আলেম ও ক্বারীর পেছনে নামাজ পড়লাম।
বাকেরের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছে আটলান্টায় আমাদেরই অগ্রজপ্রতিম জাবি-ভূগোল বিভাগের বেলায়েত ভাইয়ের মেয়ে মনিকার বিয়ের রিসেপশনে। দিন-তারিখ ছিল রোববার। আগস্ট ৬, ২০২৩ সাল। অনেকদিন পর তার সঙ্গে আমার দেখা। একই টেবিলে কাছাকাছি বসে খুবই অন্তরঙ্গ পরিবেশে অনেক গল্প হলো। কয়েকমাস আগে সে সপরিবারে স্পেনে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে মুসলমান সভ্যতার নানা নিদর্শন দেখে তার মনে কী কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেসব কথা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলল। ছেলেবেলা মন্ত্রমুগ্ধের মতো যেভাবে ‘কাঞ্চনমালার’ কিচ্ছা শুনতাম, সেদিন বাকেরের মুখে স্পেনে মুর সভ্যতার গল্প আমি সেভাবে উপভোগ করেছি। রাত প্রায় ১১টার সময় অনুষ্ঠান শেষে নাজমাকে রেখে বাকের শারমিন ও আমাকে আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেল। এই যে গেল, আর দেখা হলো না। সেদিন কে জানত, এতো তাড়াতাড়ি তার ডাক পড়ে যাবে!
আবু এন এম ওয়াহিদ : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর, জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ। Email: [email protected]
মন্তব্য করুন