দৈনিক কালবেলায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ’বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম, কেমন প্রভাব পড়বে সংসারে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে পাঠকেরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। এ বিষয়ে পাঠকেরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে যা ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা। একই সঙ্গে গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাস লিটারপ্রতি ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম গত রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়ে পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
মনিরুজ্জামান হুজাইফা লিখেছেন, ‘দেশে তো কোনো পণ্যের অভাব নাই। আমাদের পাশের দেশে দ্রব্যমূল্যের অবস্থা স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের এখানে এতো কেন চড়া দাম! আমার একান্ত মত সরকার তার সক্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে!’
আল আমিন রুবেল লিখেছেন, ‘একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এভাবে দাম বৃদ্ধি এবং বাজার তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা জণগণের গলাকাটার সুযোগ পায়। সরকার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ২০-৩০ শতাংশ দাম বাড়ায়। সাধারণ মানুষ সবসময় আতংকে থাকে এই বুঝি কোনো জিনিসের দাম আবার বেড়ে গেল। যাহোক, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার বেশির ভাগ চলে যাচ্ছে খাদ্যের পিছনে। এভাবে চলতে থাকলে সঞ্চয় বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না, ইতোমধ্যে অনেকের নেয়ও। ফলে অসুস্থ হলে চিকিৎসা করার অর্থও একসময় মানুষের হয়তো থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করবে।’
নুর আহম্মদ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘গরিব আর মধ্যবিত্তের নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে। দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মনে হচ্ছে দেশটা তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত হয়েছে। বার বার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট চক্রকে সুবিধা দিচ্ছে সরকার। সিন্ডিকেট এখন সরকার থেকে বেশি শক্তিশালী। সেই কারণে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। তা ছাড়া সিন্ডিকেট করছে তো ক্ষমতাসীনরা। সেই কারণে আজ সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া।’
সাইফুদ্দিন আনোয়ার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অন্য সব সময় থেকে ভিন্ন। বাজারের নিয়ন্ত্রণহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনসাধারণ যেখানে খাদ্যদ্রব্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি। সব কিছুর দাম তো ঠিক বেড়ে চলছে, কিন্তু কর্মজীবী মানুষের বেতন সেই আগের মতোই আছে। তাহলে তাদের পরিবার নিয়ে জীবন চলবে কীভাবে...?’
আশরাফুল রাজ লিখেছেন, ‘আরও যদি এলপি গ্যাসের দাম বাড়ে তাও সমস্যা নাই, কারণ আমরা যেকোনো কিছুর দাম বাড়লে সমালোচনা করি...পরে ওই দামে আমরাই কিনে ব্যবহার করি। আর সংসারে শুধু গ্যাসের দামের বৃদ্ধির কারণে সংসার অচল হয়ে পড়বে না। আর এলপি গ্যাসের দাম বেড়ে আবার কমে গেলে এমন না যে সংসার ভালোভাবে চালাতে পারবে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো। কারণ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর সেহেতু এলপি গ্যাস এর দাম বাড়লে এবং কমলেও কিছুই হবে না। আর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে হবে, তাহলে হয়তো সংসারের উপর একটু প্রভাব কম পড়বে।’
মো. জামশেদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের সামান্য আয়ের ভিত্তিতে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এটা মানা যায় না।’
ইকবাল আহমেদ টিটু লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বী। তবে এখন কি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি?।’
মন্তব্য করুন