দৈনিক কালবেলায় বুধবার (২৯ নভেম্বর) ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে পাঠকেরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।
গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আগের নিয়মেই হতে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। সেই অনুযায়ী এবারও একক ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যার ফলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও ৩টি গুচ্ছে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ সময় স্বায়ত্তশাসিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) গুচ্ছে আসারও আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
আসাদুল্লাহ নোমান লিখেছেন, ‘একক ভর্তি পরীক্ষা একটি গর্হিত সিদ্ধান্ত। এটি বাস্তবায়িত হলে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হতো না। আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষায় মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়। এ জন্য এটি বাতিল হয়েছে। একটি যৌক্তিক কাজ হয়েছে।’
শাহরিয়ার তালুকদার সিয়াম লিখেছেন, ‘আমি একজন এডমিশন পরীক্ষার্থী, আমার কাছে মনে হয় একক পরীক্ষা না হওয়াই ভালো। কারণ একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন কেন একটা পরীক্ষা দ্বারা শেষ হয়ে যাবে? একক পরীক্ষায় একটা পরীক্ষা হবে এবং যার যার বিভাগ থেকে আরেকটা হবে যেটা পাঠ্য বই থেকে নেওয়া হবে। আমাদের দেশে নয় বরং প্রত্যেকটা দেশের শিক্ষানীতিতে আছে শিক্ষার কোনো বয়স নাই। তাহলে আমাদের দেশে কেন এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে? আবার একক পরীক্ষায় আরেকটা সুবিধা আছে যেটা হলো শিক্ষার্থীদের খরচ বাঁচবে। তবে, একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ না হলে তার ভার্সিটির স্বপ্ন ভেঙে যায়। আমি মনে করি একক পরীক্ষা বাতিল হওয়াই ভালো।’
মো. সিরাজুল মনির লিখেছেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে নিচে থেকে সমস্যা শুরু, তাই ভর্তি পরীক্ষায় কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একক ভর্তি পরীক্ষা খুবই দরকারি একটা বিষয়। একক ভর্তি পরীক্ষা না হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়বে।’
মন্তব্য করুন