দৈনিক কালবেলায় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে একক পরীক্ষা অনিশ্চিত’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে পাঠকেরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘একক ভর্তি পরীক্ষা’ অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি অধ্যাদেশ তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল; কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখনও এর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অধ্যাদেশের কিছু দিক নিয়ে আপত্তি আছে মন্ত্রণালয়ের। এ কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এইচএসসির ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের পর এ শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি শেষ পর্যন্ত এ বছর একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব না হয়, তবে আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা হবে।
মীর কাসেম লিখেছেন, ‘সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার রকমফের নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তায় রাখা ঠিক নই। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একক ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া উপযুক্ত মনে করি। অথবা প্রস্তাবিত এনটিএ-ন্যাশনাল টেস্টিং নামের পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করে মেডিকেল কলেজের মতো ভর্তি পরীক্ষার সিস্টেম করতে পারে। এইচএসসি রেজাল্ট বের হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের দোলাচলে না রেখে এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত একটি সুষ্ঠু সমাধান বা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
মো. সিরাজুল মনির লিখেছেন, ‘যেখানে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই সেখানে শিক্ষা নিয়ে তামাশার কোনো দরকার নেই। ভর্তি পরীক্ষা হলেই কি, না হলেই কি! এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা যেই লাউ সেই কদু। তার চাইতে গণহারে ভর্তি করিয়ে ফেললে ঝামেলা মুক্ত হয় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়গুলো। এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাইমারি থেকেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ও একই অবস্থা বিরাজমান।’
রাবেয়া বেগম লিখেছেন, ‘আমার মতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় একক পরীক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। কারণ এর ফলে ফলাফলে কোনো ব্যক্তিমহলের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না। যোগ্য এবং সঠিক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।’
আমিনুল খান লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একই ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে আসা অযৌক্তিক। ইন্জিনিয়ারিং, সাধারণ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, টেক্সটাইল সবগুলোকে একই সাথে আনা অযৌক্তিক। কারণ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের স্টুডেন্ট প্রয়োজন নেই (সাবজেক্ট এক্সপার্টাইজ এর ভিত্তিতে গরমিল হয়ে গেলে আল্টিমেট গোল অর্জন সম্ভব নয়)।’
শিমু তালুকদার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা যতই হৈচৈ চিৎকার চেচামেচি করি না কেন, সরকার কিছুই শুনবে না। পাবলিকের মতামত এদের কাছে মূল্যহীন।’
মন্তব্য করুন