দৈনিক কালবেলায় রোববার (২৬ নভেম্বর) ‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে জিপিএ-৫’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত জানতে চাওয়া হয়।
গতকাল রোববার এইচএসসি ও সমমানের ২০২৩ সালের ফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ বছর পরীক্ষার ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ বিষয়ে পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
আলী আজগর (জিহাদ) লিখেছেন, ‘পড়াশোনা করার জন্য অভিভাবক গার্ড হলো গুরুত্বপূর্ণ। যা ছেলেদের ক্ষেত্রে একেবারেই কম। মেয়েরা মোটামুটি অভিভাবকদের দৃষ্টিতে থাকে। তাই মেয়েরা এগিয়ে ছেলেরা পিছিয়ে। এ ছাড়াও ছেলেরা মেয়েদের থেকে আড্ডা ও ফোন ব্যবহারে সময় ব্যয় করে বেশি। তাছাড়াও নানা কারণে বর্তমানে মেয়েরা এগিয়ে। আর জিপিএ-৫ বর্তমানে যা আসে তাই বেশি। শিক্ষাব্যবস্থা আরেকটু কঠোর করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে ভবিষ্যতে আরও অন্ধকার হবে।’
নুর আহম্মেদ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার বেহালদশা। দেশের দ্রব্যমূল্যের যে গতি তার প্রভাব শিক্ষার ওপর পড়ছে। ছেলে সন্তান হলে অনেকেই অভাবের তাড়নায় পড়াতে না পেরে সন্তানকে কাজ করতে পাঠায়। দেশে বর্তমানে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নয়, নারীরা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ ছাত্ররা পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে আর ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করতে না পারলে আগামীতে শিক্ষার হার আরও কমবে।’
মীর কাসেম লিখেছেন, ‘এসএসসি, এইচএসসিতে পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, পাশের হার ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায়ই এগিয়ে থাকে। তার মানে এই নই যে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা মেধাবী বেশি। মেধা কমবেশি সব শিক্ষার্থীরই আছে। এটা তাদের সুনির্দিষ্ট টার্গেট ও রুটিন অনুযায়ী কঠোর শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও অধ্যবসায়ের ফলাফল। আমার মতে, হয়তো নিয়মিত পড়ালেখা চর্চার ক্ষেত্রে ছেলেদের একটু ঢিলেমি আছে। তাছাড়া আজকালের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার চেয়ে মোবাইল, আড্ডা, ঘোরাঘুরিতে বেশি সময় নষ্ট করে। তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় বলি, পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা কেন পিছিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। কোথায় তাদের দুর্বলতা শিক্ষাবিদদের গবেষণা করে সমাধান দিতে হবে।’
খান সোহাগ একটু রসিকতা করে লিখেছেন, ‘ছেলেরা শুধু মেয়েদের পিছে থাকে আর মেয়েরা থাকে পড়াশোনার নিয়ে। এ জন্য মেয়েরা এগিয়ে। সকল মেয়েদের প্রতি শুভকামনা রইল।’
মো. তুহিন আলি লিখেছেন, ‘বর্তমান সময়ে ছেলেদের থেকে মেয়েরা পড়াশোনা করে বেশি, আর ছেলেরা এখনকার সময় বেশি আড্ডা পছন্দ করে। তারা বেশি পড়াশোনা করতে পছন্দ করে না।’
বিষাক্ত জীবন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ নামে মাত্র উন্নয়নশীল দেশ হলেও এখনও অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, ফলে মধ্যবর্তী পরিবার বা নিম্ন মধ্যবর্তী পরিবারের ছেলেদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় এসএসসি পরীক্ষার পরই, যারা কিছুটা মেধাবী তারা হয়তো নিজের ইচ্ছায় পড়াশোনা করে কিন্তু তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো পরিবারের কেউ থাকে না। উল্লিখিত কারণগুলো হয়তো মেয়েদের ক্ষেত্রে তেমন থাকে না, ফলে তারা পড়াশোনায় অধিক মনোযোগী হতে পারে, যা মেয়েদের রেজাল্ট ভালো হওয়ার অন্যতম কারণ।’
মো. শহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘মেয়েরা বাহিরে আড্ডা দেয় না। যতটুকু সময় বই নিয়ে বসে ততটুকু ছেলেরা বসে না। সমস্যাটা এখানে।’
আব্দুল্লাহ আল মাহিম লিখেছেন, ‘ছেলেদের খারাপ রেজাল্ট হওয়ার কারণ হচ্চে ছেলেরা মেয়েদের পিছে ঘুরে সর্বহারা হয়ে যায়। ওই পরিস্থিতি থেকে কেউ কেউ ফিরে আসতে পারে আবার কেউ কেউ সেখানেই শেষ। শেষ হয়ে যায় তার ভবিষ্যৎ। এ ছাড়াও ছেলেরা মোবাইল গেইম খেলায় আসক্ত থাকে, রাতে বেশি আড্ডা দেয়, চায়ের দোকানে থাকে, বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত, টাকা ইনকামের চিন্তা, ফ্যামিলি নিয়ে চিন্তা, মা- বাবার দায়িত্বসহ আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ছেলেদের। আর মেয়েদেরটা আমি জানি না।’
রিফাত খান লিখেছেন, ‘মেয়েরা কি মাঠে কাজ করে টাকা উপার্জন করে? কিছুই করে না। বাপের খায় স্কুলে যায় আর পড়াশোনা করে। আর ছেলেদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার কাজ করতে হয়। এ জন্য পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে।’
মন্তব্য করুন