দৈনিক কালবেলায় ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) ‘দাম কমিয়ে গরুর মাংসে দিচ্ছে লেজ মাথা ও ঠ্যাং’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
মোকসেদুল আলম : সম্প্রতি দেশের উত্তরাঞ্চলে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই গরুর মৃত্যর আগেই কম দামে গরু বিক্রি করছে। এ কারণে অত্র অঞ্চলে গরুর মাংসের দামও অনেক কমে গেছে। এটা একটা কারণ হতে পারে।
কামাল আহমেদ : গরুর মাংস বিক্রেতারা সব সময়ই মাংসের সঙ্গে গরুর হাড় দিয়ে থাকেন। তাদের ভাষায় এটা বাধ্যতামূলক। ক্রেতার আপত্তির জবাবে বিক্রেতাদের পরিষ্কার জবাব, ১ কেজির মধ্যে ২৫০ গ্রাম হাড় নিতে হবে, হাড় ছাড়া তো মাংস হয় না। ক্রেতা অনিচ্ছুক হলেও ঠেকে এভাবেই মাংস কেনেন। তবে কেউ যদি হাড় ছাড়া মাংস ক্রয় করতে চান তবে বিক্রেতা সেই জন্য আরও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন। দর কষাকষি মাধ্যমে এ টাকা নেন। কম মূল্যে মাংস মানে কিছু হাড়সহ মাংস। এখানে যে কোনো হাড়ই হতে পারে। যার সঙ্গে কিছুটা মাংসও সংযুক্ত থাকে। হাড়ে সংযুক্ত মাংস ছাড়া কোনো হাড় বিক্রয় বা ক্রয় হয় না।
মো. আশরাফ : এ দেশে সবই সম্ভব। প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয় না।
জহিরুল এইচ দুলাল : দাম বেশি রাখলেও মাথা ঠ্যাং বাদ দেয় না।
রাজিব চৌধুরী : কিছু বাঙালিদের লোক দেখানো সব মহৎ কাজের পেছনে অন্ধকার মানসিকতা থাকে।
মো. রবিউল ইসলাম রবি : কথায় আছে, অল্প টাকায় পোকা বেগুন।
মো. আল আমিন : আশুগঞ্জ বাজারে গরুর মাথা থেকে লেজ সবটা দিয়েই ৭২০-৭৫০ টাকা প্রতি কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাজী তুষার : সস্তার তিন অবস্থা। কথাটি যেন ভুলে না যাই তাই হয়তো এই ব্যবস্থা। আমরা বর্তমানে দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। শুরুতে ৬০০ টাকায় গরুর মাংসের খবরটায় একটু স্বস্তি বোধ করছিলাম। একই সঙ্গে কম দামে বিক্রয়ের বিষয়টা ভাবাচ্ছিল। এভাবে লেজ, ঠ্যাং দিয়ে দাম কমানোর ব্যাপারটা প্রতারণার শামিল। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ : আসলে গরুর যে অংশগুলো খাওয়া যায় সেগুলো দিয়েও যদি দাম কমানো হয় সেটা ভোক্তাদের জন্য সহজ হবে। কারণ ৮০০-৯০০ টাকা হলে তো ক্রয়ের সামর্থ্যই রইবে না অনেকের। তবে ৫০০-৬০০ হলে আধা কেজি মাংস কিনেও খেতে পারবে।
মো. মর্তুজা খালেদ : মাংসে গরুর লেজ, মাথা ও ঠ্যাং যুক্ত করে বিক্রি করলেও ভালো। সত্যি কথা বলতে কি মাংসের দাম কমার কারণে গতকাল তা এক কেজি কিনেছি। সেখানে একশ গ্রামের মতো চর্বি পেয়েছি। তবে আমি যে মাংস কিনেছি সেখানে লেজ, মাথা বা ঠ্যাংয়ের মাংস দেওয়া হয়নি। এমন কম দামে মাংস বেচা অব্যাহত থাকুক। গরুর মাংসে বাঙালি মুসলমানের একটু আলাদা ঝোঁক রয়েছে বৈকি; যার জন্য তারা কিলোমিটারজুড়ে লাইনে দাঁড়াতেও প্রস্তুত।
আতাউল হাসান সাঈদী : কী করবে! তাদেরও চলতে হবে। আবার দেশের জনগণের প্রতিও মানবতা দেখাতে হবে।
মো. জামাল উদ্দিন : আমাদের বাংলাদেশে আরও কত কিছু দেখব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। সবাইকে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার তৌফিক দান করুন।
কিং শাহ : যেখানে সারা দেশেই দুর্নীতি সেখানে শুধু মাংস ভালো পাবেন কোথায়!
জোনায়েদ : আমার এক পরিচিতকে মাংসের সঙ্গে বটও ঢুকিয়ে দিয়েছে।
মো. সিরাজুল মনির : বাংলাদেশ যে অসৎ ব্যবসায়ীদের দখলে সেটার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে সব স্তরের ব্যবসায়ী। সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে যেসব মাংস ব্যবসায়ী এসবের সঙ্গে জড়িত এবং যারা ভোক্তাদের অখাদ্য, কুখাদ্য খাওয়াচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে অন্য ব্যবসায়ীরা এসব কাজ করতে না পারে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে দেশের সব বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপস্থিত শাস্তি এবং জরিমানার বিধান রাখলে এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে হয়। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদপ্তরকে অতিরিক্ত নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করলে তারা সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ সুফল ভোগ করবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনে সমন্বয়হীনতার কারণে ব্যবসায়ীরা যেমন ইচ্ছা তেমন করতে পারছে। স্থানীয়ভাবে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে বাজারে তদারক করার ব্যবস্থা করা যায়।
মন্তব্য করুন