দৈনিক কালবেলায় ১৯ নভেম্বর (রোববার) ‘অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে হামাস, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। চুক্তির আওতায় হামাস বেশ কয়েক জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরায়েল। দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তের কোনো বাধা ছাড়াই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তিদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধের সব পক্ষ অন্তত পাঁচ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ রাখবে। এ সময় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গ্রুপ গ্রুপ করে ৫০ বা এর চেয়ে জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এ বিষয়ে পাঠকরা লেখেন-
কাজী তুষার : ইসরায়েলিদের এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রাখা কঠিন। আগেও তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তবে এবার তারা হামাস কতৃক নাস্তানাবুদ হয়ে হয়তো এ যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে।
মো. তারেক : যুদ্ধ বিরতির ডাক দিলেই যুদ্ধ বিরতি হয় না। এখানে সম্প্রীতি প্রয়োজন। মুসলিম উম্মাহর আল আকসা রক্ষায় বিশ্ব মুসলিম নেতাদের এগিয়ে আসাও জরুরি। পৃথিবীর ইতিহাসে এক দেশ অন্য দেশ বা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না এবং কখনও আনবেও না। সবার ওপরে মানুষ সত্য তার ওপর নাই। তবে ইসরায়েলকে বিশ্ব নেতাদের সামনে এক হাজার টাকার স্ট্যাম্পে সই দিতে হবে।
মো. মনির হোসেন : এই যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরায়েলি গোয়েন্দারা গাজায় ঢুকে হামাসের তথ্য বের করে নেবে। ফলে আরও বিপদ হতে পারে বলে আমার মনে হয়।
মীর কাশেম : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন হঠাৎ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ স্তম্ভিত। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে উভয়পক্ষে অনেক নিরপরাধ মানুষ হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি অবকাঠামো। বিশেষ করে অবরুদ্ধ গাজার অবস্থা খুবই খারাপ। উগ্র ইসরায়েল সেখানে নির্বিচারে গণহত্যা তথা যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করছে। তাদের সর্বাত্মক হামলায় সেখানে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১৬ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। গাজার বেশিরভাগ ভবন ধ্বংস হয়েছে। সেখানে মানবতার আর্তনাদ আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে। অথচ তথাকথিত মানবতার ধ্বজাধারী পশ্চিমা ইউরোপ-আমেরিকা সেই মানবতার ধ্বংসকারী ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে। কবি হেলাল হাফিজের ভাষায় আক্ষেপ করে বলি, ‘নিউটন বোমা বোঝো; অথচ মানুষ বোঝ না!’ আমরা ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের আর দীর্ঘতা চাই না। যুদ্ধ বিরতিতে যেন স্থায়ী শান্তির বার্তা পায়। জয় হোক মানবতার।
মো. কামাল হোসেন : পাঁচ দিনের যুদ্ধ বিরতি চাই না। সারা জীবনের জন্য ফিলিস্তিন স্বাধীন চাই।
ফেরদৌস আহমেদ : অস্ত্র না থাকার কারণ বা ইসরায়েলিরা যারা ফিলিস্তিনে জিম্মি তাদের উদ্ধার করার কৌশল হিসেবে এ যুদ্ধবিরতি।
নাভিদ মোস্তফা জসিম : মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার জেরে মার্কিনিদের অবস্থা এখন ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’। আপাত দৃষ্টিতে এই হামলার ডোজের ফলাফলই হচ্ছে সাময়িক যুদ্ধবিরতি। কিন্তু ইসরায়েল কি কথা দিয়ে কথা রাখে না কি!
মন্তব্য করুন