‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি’ এ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক হানাহানির শিকার হতে চায় না। তারা চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ভোটের দিন ঘিরে নাগরিকরা উৎসবে মেতে উঠতে চায়। এ জন্য রাজনৈতিক সব দলের সহনশীলতা প্রত্যাশিত।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসাইন নামের এক পাঠক লিখেছেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছার পর তপশিল ঘোষণা করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কোনো হানাহানি-মারামারি-কাটাকাটি চায় না। যে দলই ক্ষমতায় যাক এ নিয়ে জনগণের কোনো মাথাব্যথা নেই। শুধু দেশটা ভালোভাবে চললেই তারা খুশি। এতটুকুই চাওয়া সাধারণ জনগণের। সেটুকুও দিতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ জন্য সাধারণ জনগণ হতাশ।
আজির উদ্দিন : নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই, সেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থা চালু করা অথবা বর্তমান ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতাকে আরও বাড়ানো উচিত।
এ. হাই : ভালো হয়েছে। এবার বিএনপির জাতীয় জাদুঘরে যাবার পালা। (সহিংসতা করে) কোনো লাভ নেই, কারণ বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ চায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক। জনতার বিজয় অতি সন্নিকটে। ৭ জানুয়ারি নৌকায় ভোট দিন।
সাইফুল ইসলাম : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।
মো. আসলাম হোসাইন : নৌকা বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ।
কাজী তুষার : বিরোধী দলকে ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ তো হবেই। দেশের সাধারণ নাগরিকদের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনিতে নিজের ভোট আমরা নিজেরা দিতে পারি না।
আশফাকুর রহমান : নির্বাচন কমিশন আবার গঠন করে তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।
নাসিম হাসান : কোন দল ক্ষমতায় আসবে সেটা বড় কথা নয়। নতুন ভোটার হওয়ার পর দুটি জাতীয় নির্বাচন চলে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে আমি একজন সাধারণ ভোটার হয়েও নিজের প্রথম ভোট দিতে পারিনি। আমার প্রশ্ন, আর কতটি জাতীয় নির্বাচন গেলে তারপর আমার জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারব? না কি ভোট দেওয়ার কথা ভুলে যাব? অনেক ইচ্ছে নিয়ে ভোটার হয়েছিলাম কিন্তু আজও জীবনের প্রথম ভোট প্রয়োগ করতে পারলাম না।
মো. নজরুল ইসলাম : গায়ের জোরে তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। আমি মনে করি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ নেতা নির্বাচিত করতে পারবে। তাহলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
মেহেদী হাসান খালিক : আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি কৌশলে ধরাশায়ী হয়েছে। এত দিন বিএনপি বলল, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে আলোচনা হবে। এখন বলে, আলোচনা হবে দুটি শর্তে; নেতাকর্মীর জামিন এবং তপশিল পিছিয়ে দিতে হবে। তাহলে আন্দোলন করে দেশের ক্ষতি করে এবং এত মানুষ মারা গেল এর দায়ভার কে নেবে? এখন বিএনপির সামনে একটি পথ, ভবিষ্যতে দলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনে আসা উচিত।
নুর আহমাদ সিদ্দিকী : একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে ইসি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ১৪ ও ১৮ সালের মতো করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। তবে সেই সুযোগ হয়তো তারা পাবে না। কারণ, যেন তেন নির্বাচন হলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেটা নিশ্চিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ-সমঝোতা ছাড়া এই তপশিল ঘোষণা দেশকে অস্থির করবে।
মো. সোহাগ : আমার জীবনের প্রথম ভোট আমি দিতে পারিনি। সেই ভোট যদি আমাকে আবার দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে তাহলে এই তপশিল ঠিক আছে। আর যদি না পারে তাহলে এটাও একটি প্রহসনমূলক তপশিল। যেখানে জীবনের দ্বিতীয় ভোটও দিতে পারব না।
শারিয়ার হোসেন হিমেল : নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করেই তপশিল ঘোষণা বর্তমান অনিশ্চয়তাকে আরও ঘোলাটে করবে। এটি সরাসরি সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিপন্থি। যেহেতু তপশিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরের প্রথমে তপশিল ঘোষণা করে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভোটের তারিখ দিলে খারাপ হতো না। নভেম্বরের বাকি সময়টুকু নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতার মধ্যে থেকে চেষ্টা করতে পারতো বা সমঝোতার অপেক্ষা করতে পারত। পিটার হাসের চিঠি বা এর প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারত। এতে হয়তো তাদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সদিচ্ছা আছে তার একটা বার্তা দেওয়া যেত।
এ আর সাম : আমি একজন অতি সাধারণ নাগরিক। আমার কথা বলার অধিকার আছে। সেই অধিকার থেকে বলছি আমাদের দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করলেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। আমি ভোটার হয়েও আমার দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি প্রশ্ন করতে চাই, আমাদের জাতীয় নির্বাচনে আমি আমার ভোটাধিকার কবে পাব এবং কবে আমি এই জাতীয় নির্বাচনে আমার ইচ্ছা মতো যেকোনো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র করে নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ আলোচনা সাপেক্ষে তপশিল ঘোষণা করতে পারত। দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় আমি আমার ভোট দিতে এবং আমার পরিবারকে ভোটকেন্দ্রে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। অতএব আপনারা সব দলকে একত্র করে সংলাপে বসে দেশের অস্থিতিশীল অবস্থাকে দূর করুন। আমরা সাধারণ নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চাই।
মেহেদী হাসান সোহেল : নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হবে, এটা গণতান্ত্রিক নিয়ম। নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত। তাই সব রাজনৈতিক দলকে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
মন্তব্য করুন