‘থামছে না ডেঙ্গুতে মৃত্যু-আক্রান্তের সংখ্যা’ এ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
মো. সুজন রাজ : গাজাবাসীদের রক্ষার জন্য ওআইসিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে ওআইসি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সংঘাত নিরসনের জন্য তুরস্ক ও চীন মধ্যস্ততা করতে পারে।
রায়হানুর রব সাকি : যুক্তরাষ্ট্র আগপিছ না ভেবে সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলিদের সমর্থন দিচ্ছে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অপরদিকে যুদ্ধের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জন্য আরব বিশ্বের কোনো জোরালো ভূমিকা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আরবলীগসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা আরব বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক। ফিলিস্তিনের পক্ষে মধ্যেপ্রাচ্যের অন্যান্য রাষ্ট্রসহ আরব বিশ্বের ভূমিকা খুবই প্রয়োজন। কারণ এখানে আরব বিশ্বের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন উঠেছে। মধ্যেপ্রাচ্যের একটি বড় জোট আরব লীগ থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের খবরদারি মেনে নেওয়া যাবে না। আরব বিশ্বের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জোরাল ভূমিকা পালন করে।
মো. রেজোয়ান ভূঁইয়া : মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্য না থাকার ফল এটা। বিশ্বে এত মুসলিম দেশ থেকেও আজকে মুসলমানরা নির্যাতিত। আমরা মুসলমানরা এক হতে পারলাম না। আমরা যদি আমাদের প্রাণের কুদুস এখন না রক্ষা করতে পারি। দেখা যাবে তারা আমাদের প্রাণের কাবাতেও হানা দেবে।
মো. তোফাজ্জল হোসেন : ইসলামি বিশ্বের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ইহুদিদের জন্য পশ্চিমাদের কষ্ট হয়। তারা রণতরী, বিমানতরী পাঠায়। এ অবস্থায় মধ্যপাচ্যের তেমন ভূমিকা নেই। ইসলামি বিশ্বের যোগ্য ভূমিকার ওপর ফিলিস্তিনের মুক্তি নির্ভর করছে।
মো. রাশিদুল ইসলাম : পশ্চিমারা ন্যাটো গড়তে পারলে ৫৭টা মুসলিম দেশ কেন মুসলমানদের অধিকার আদায়ে একত্রিত হতে পারে না। বিশ্বে দ্বিতীয় ন্যাটো গড়ে তুলতে পারলেই এসব সমস্যার সমাধান হবে। মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হোক, তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠুক। তবেই সব যুদ্ধ বন্ধ হবে বলে মত এ পাঠকের।
মো. জাহিদ বিন ওমর : যখন ইহুদিদের আশ্রয়ের কোনো জায়গায় ছিল না তখন মুসলিমরা তাদের জন্য থাকার জায়গা করে দেয়। আর আজ তারা সেই মুসলমানদের ঘরছাড়া করতে চাচ্ছে। ইসরায়েলকে উচিত জবাব দেওয়ার জন্য সব মুসলিম দেশের শাসক ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মজলুম জনতার পাশে দাঁড়ানো মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। এ ছাড়া যেসব রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে তাদের পণ্য বর্জন করতে হবে।
সেকান্দার মানিক : গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নারী-শিশু মারা যাচ্ছে। ওষুধ, খাদ্য, পানি, বিদুৎ সংকটে জীবিতরা মৃত্যুর প্রহর গুনছে। পশ্চিমা নেতারা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো চোখে কাঠের চশমা পরে আছে। যুদ্ধবিরতি এবং খুব দ্রুত গাজায় ওষুধসহ ত্রাণসামগ্রী পাঠানো দরকার।
মীর কাশেম : ইসরায়েল গাজাকে আগে থেকেই কারাগার বানিয়ে রেখেছে। আর এখন স্বাধীনতাকামী হামাসের আচমকা হামলার অজুহাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে। মৃত্যুপুরী বানিয়েছে গাজাকে। এটা জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধ। মানবতার চরম লঙ্ঘন। মুসলিম বিশ্বের একতাবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।
মো. আবদুল বাতেন : যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই, এটা বললেই যুদ্ধবাজ পশ্চিমা বিশ্ব মেনে নেবে না। একমাত্র সমাধান মুসলিম বিশ্ব এক হওয়া। রাশিয়া-চীনকে পাশে থাকতে বাধ্য করা। অন্যদিকে আফ্রিকা মহাদেশ নীতিগতভাবে মুসলিম বিশ্বের পাশে রয়েছে। এমতাবস্থায় ইউরোপ-আমেরিকা মাথা নোয়াতে বাধ্য। অতএব বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলিম বিশ্বের এক হওয়ার বিকল্প নেই। আমরা চাই যুদ্ধবিগ্রহ মুক্ত একটি সুন্দর পৃথিবী।
মো. আবদুল ওয়াসী : ইসরায়েলিরা এমনিতেই ফিলিস্তিনিদের মারবে। আমেরিকা, পশ্চিমারা ইসরায়েলিদের সাহায্য করছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের লড়াই ছাড়া আর কী করার আছে!
তানভীর রহমান রাজ : গাজা উপত্যকা মুসলিমদের প্রবল জীবনীশক্তি, অটুট ইচ্ছাশক্তি এবং স্বয়ং আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। আল্লাহর রহমতে আবৃত হয়েই তারা গত ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে পরাশক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে আছে।
মো. আসাদুল ইসলাম : ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিরা কোনো দিন পেরে উঠবে না। কারণ, তারা অস্ত্রের দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। সে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রের মদদ রয়েছে। কিন্তু তবুও যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে হুংকার দেয় তাহলে যুদ্ধবাজরা পালানোর জায়গা পেত না।
নুর আহমাদ সিদ্দিকী : মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির মূলে ইসরায়েল। বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলোর মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে ইসরায়েল। এই রাষ্ট্রকে মদদ দিচ্ছে আমেরিকা। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে এই ইসরায়েলকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে। মুখে হুঁশিয়ারি, বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেই মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর। রাশিয়া- চীন যদি ফিলিস্তিনের পক্ষে পজিটিভ থাকে এবং সেই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ইসরায়েলের ত্রাসের রাজত্বের দিন ফুরিয়ে আসবে।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন