দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের, বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি’ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
নুর আহমেদ সিদ্দিকী : নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে না হাঁটলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। দিন যত গড়াবে ততই সংকট আরও বেশি দেখা দেবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। সেই লক্ষ্যে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করলে ভালো হবে। নিজেদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হোক চাই না। স্বাধীনতার পর থেকে দুর্ঘটনা, রোগ মহামারিতে যত মানুষ মারা যায়নি তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে। রাজনীতি হোক মানুষের কল্যাণে। রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে, ধ্বংসের দিকে যাবে, প্রাণহানি ঘটবে এমন রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চাই। নাগরিক হিসেবে আমাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার এবং সর্বোপরি একটি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
মো. আয়নাল হক : এমনিতেই আমাদের পাসপোর্টের মান ভালো নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের আরও পিছে ঠেলে দিচ্ছে।
মো. নাসির : একতরফা নির্বাচন দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনের দাম সরকারের কাছে নেই। তাই তারা তলে তলে সব ঠিক করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে না হলে দেশ সংকটে পড়বে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
রাশেদ খন্দকার : বাংলাদেশের মানুষ রাতের ভোট প্রাধান্য দেয় না। যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই জানে, সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে পারে তাহলে তারাই সরকার গঠন করতে পারবে।
ইএইচএম নজরুল ইসলাম : বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে কোনো সহিংসতা হবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারছে তাদের কোনো কথা কাজে আসবে না। তাই তাদের ধারণা, সহিংসতা হতে পারে।
তওহিদ : প্রথম বিষয় হচ্ছে একটি দেশের সংবিধানের ওপর হস্তক্ষেপ কোনোভাবে কাম্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র যে আশঙ্কা করে তাতে আমার মনে হয় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কিছু যায় আসে না। তাদের একটাই লক্ষ্য তা হলো আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকা। এর জন্য তারা যে কোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না। আর বাংলাদেশ একটা শান্তিপ্রিয় জাতি। এ দেশে ভ্রমণে কোনো অসুবিধা হবে না।
এসএম শাহাদাত হোসাইন কক্স : প্রধানত বাইরের রাষ্ট্রগুলো আমাদের দেশের বিষয়ে যেসব কথা বলছে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এই কথা বলার সুযোগ আমরাই করে দিয়েছি। এখন একটাই পথ, আমাদের সমস্যা আমাদেরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। মো. শামীম পাটোয়ারি : বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। পেট ভরে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়।
ইয়াসিন সোহাগ : একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে গেলে সংঘাত-সহিংসতা নিশ্চিত হবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশিদের আশঙ্কা প্রকাশ করাটা স্বাভাবিক।
মো. জিয়ারুল ইসলাম : বাংলাদেশ বেশ বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে বাংলাদেশের ক্ষতি চাওয়া চরম অন্যায়। সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন