কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২১ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন চান পাঠকরা

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ‘বিএনপির সক্ষমতা নেই বলে তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না : সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ’ শিরোনামে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত ২০টি মতামত প্রকাশ করা হলো।

পাঠকদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সমর্থনে মন্তব্য করেছেন। অপর পক্ষের মনোভাবের সারাংশ পাঠক শাহনুর শাহীনের মতামতে পাওয়া যায়। তিনি লেখেন, ‘আমরা যদি হাঙ্গেরি, রাশিয়া বা নিকট অতীতের কম্বোডিয়ার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব, এই দেশগুলোতেও কাছাকাছি পদ্ধতি ও পন্থা অবলম্বন করে শাসক দল বারবার ক্ষমতায় এসেছে। আর এসব দেশে নাগরিক অধিকার যুগ যুগ ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের দেশটা হয়তো সম্প্রতি বা এক যুগের ব্যবধানে সেসব দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। যদিও বলা হয় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছে। আসলে বাংলাদেশ স্বৈর-রাজতান্ত্রিক দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। আমরা যদি নির্বাচনের দিতে তাকাই; হাঙ্গেরির মতো পুনরায় নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসার জন্য সংবিধান সংশোধন করা, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সংবিধানেরই মৌলিক একাধিক ধারা লঙ্ঘন করা, পুতিনের মতো ক্ষমতাকে কেন্দ্রিভূত করা, কম্বোডিয়া হয়তো আমাদেরই অনুসরণ করে নির্বাচনের আগে বিরোধী পক্ষের নেতাদের জেলে ভরেছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। বিগত দুটি নির্বাচনে, বিশেষ করে ২০১৮-এর নির্বাচনে দেশের ১০ ভাগ ভোটারও নিজেদের ভোট দিতে পারেনি। বর্তমানে বিদ্যমান ব্যবস্থপনায় যত-শতবারই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করুক না কেন, সুষ্ঠু এবং একটি নিরাপদ নির্বাচনের আশা করা যায় না। কারণ হলো, পেছনের দুটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে এমন একটা সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে যেখানে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা বা ক্ষমতা কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন না হলে বৈধ নির্বাচন আয়োজন কারো পক্ষে সম্ভব না। দেশের সব থেকে সৎ ও সাহসী ব্যক্তিকেও নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হলেও সেটা সম্ভব হবে না। কেননা, গোটা দেশের প্রতিটা সেক্টর অনিয়মের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আইনপ্রয়োগকারী ব্যক্তিরা নিজেদের চিরায়ত অভ্যাস অনুযায়ী অনিয়মটাই করবেন। নিয়মসিদ্ধ বিষয়কেই তারা দমানোর চেষ্টা করবেন। সুতরাং বর্তমান বিদ্যমান ব্যবস্থায় শুধু সুষ্ঠু বা অংশগ্রহণমূলক নয় বরং একটি বৈধ নির্বাচনেরও আশা করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নয়, জনগণ কেন ভোট কেন্দ্রে যাবে? সক্ষমতা তো তখনই প্রমাণ হবে যখন ক্ষমতাটা জনগণের কাছে থাকবে। সরকার যদি জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতাই সীমাবদ্ধ এবং বাধাগ্রস্ত করে রাখে কেউ কি নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে? একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে যদি কোনো কারণে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া না হয় কিংবা হল থেকে বের করে দেওয়া হয়; তাহলে কখনোই সে সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে না। যখন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়, তখন তাদের পয়েন্ট উল্লেখ করে প্রশ্ন করা দরকার। জিজ্ঞেস করা দরকার গত দুই মেয়াদে মানুষ ভোট দিতে পারেনি এবার কেন আপনাদের বিশ্বাস করবে? আপনাদের বলেছিল সংবিধান রক্ষার নির্বাচন করছে, নির্বাচনের পর আলোচনা করে সব ঠিক করা হবে! কিন্তু তারপর কী হলো? কার ভরসায় জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে? যদি সত্যিই জনগণ একবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, নিঃসন্দেহে তিনিসহ ডাকসাইটের অনেকেই জামানত হারাবেন। এমনকি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ফেল করবেন।’

শিমু তালুকদার লেখেন, ‘এটা একটা মিথ্যা প্রপাগান্ডা। মূলত দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না বিধায় বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না। এর বাইরে যে যাই বলুক সবই মিথ্যাচার।’ এ ছাড়া পাঠকরা নিজেদের মতের সমর্থনে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে লেখেন,

শিমুল শিকদার : আওয়ামী লীগের সক্ষমতা নেই বলেই হানিফ সাহেব এ কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলেই নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে এবং বিএনপিকে নিয়ে আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। কথায় আছে, ‘নিজের গরুর দই কেউ টক বলে না’। তাই আওয়ামী লীগ নিজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছে।

মো. আবদুল হামিদ : বিএনপির সক্ষমতা আছে কি না সেটা পরীক্ষা করার জন্য তাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। তাদের দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। তা যদি সরকার দিতে রাজি হয় তাহলে বাংলাদেশে ঈদ ঈদ ভাব আসবে। কারণ, মানুষ ১০ বছর ধরে ভোট দিতে পারছে না। ভালো নেতা পাচ্ছে না। নেতা নির্বাচনের জন্য বিকল্প থাকতে হয়। আর সেই বিকল্পও শক্তিশালী হতে হয়। বাংলাদেশে দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সরকারের উচিত একটু নমনীয় হয়ে আলোচনায় বসা। সব দাবি না মানলেও দেশ ও মানুষের স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।

মাসুদ আলম : রাতে ভোট হলে সক্ষমতা থাকবে কী করে? নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কার সক্ষমতা কতটুকু। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বর্তমান সরকার ১০টির বেশি আসন পাবে না।

আবু সুমন : বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। যার কারণে তারা রাজপথে আন্দোলন করতে সক্ষম হবে না। আন্দোলন করতে ব্যর্থ হলে তারা নির্বাচনে কীভাবে যাবে।

মো. আরিফ : এই দেশ যে কেউ পরিচালনা করতে পারেন, তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সাধারণ জনগণ ভোটের অধিকার চাই। দিনের ভোট দিনে চাই। রাতে কোনো ভোট চাই না। আওয়ামী লীগ যদি দেশের মানুষের কথা ভাবে তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে এত ভয় কীসের!

ইয়াসিন সোহাগ : দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর যতই সক্ষমতা থাকুক না কেন তা কোনো কাজে আসবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তখন অতি উৎসাহী হয়ে ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করার প্রতিযোগিতায় মত্ত থাকবে।

মো. সুলতান মাহমুদ : বিএনপি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের মাটিতে তারা রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ক। বিএনপি মানেই জঙ্গি তৈরি করার রাজনৈতিক দল।

নুরুল আলম : সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি দিশাহারা। তাই তারাই চায় না দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।

শহিদুল ইসলাম : আমি এটা (হানিফের মন্তব্য) মনে করি না। কারণ, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে এসেছিল। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায়। কিন্তু হলো তা কী! রাতেই ভোঠ হয়ে গেল। একটা পাতানো নির্বাচনে যাওয়া আর না যাওয়া সমান কথা।

বিএম হানিফ হোসাইন : তিনি যথার্থ বলেছেন। অবশ্যই বিএনপির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বললেন আমরা নির্বাচন প্রতিহত করব কিন্তু কিছুই করতে পারলেন না। সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় ঠিকই থাকল। আবার ২০১৮ সালে নির্বাচনে আসলেন। এসে কী করলেন! ৩০০ আসনে ৭৪০ জনকে মনোনয়ন দিল। এটা তামাশা ছাড়া আর কী। এখন প্রতি মাসে প্রতি দিনই তারা সরকারকে পদত্যাগ করাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকার ঠিকই টিকে আছে। আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আছে। বিএনপির যখন এই অবস্থা তখন তাদের দলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এটাই স্বাভাবিক।

আরিফুল ইসলাম : এগুলো বিএনপিকে ফুসলিয়ে নির্বাচনে আনার চেষ্টা। বিএনপির সক্ষমতা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বিধায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিচ্ছে না।

সাইদুল ইসলাম আকন্দ : বিএনপি ক্ষমতা লোভী নয়। তাই ক্ষমতায় থাকা না থাকা কোনো ব্যাপার না। জনগণের ও দেশের জন্য বিএনপি কাজ করে, এটাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। আর অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস না করে খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে জেল খাটছেন। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখাক সরকার কে গঠন করে। কে কত জনপ্রিয় তা ভোটে প্রমাণ হবে।

ড. আরমান হোসাইন : আওয়ামী লীগের চুরির ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার দিলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে।

ওআসেকাল আজাদ প্রান্ত : সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নিজ আসনে মাহবুব-উল আলম হানিফের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

জসিম উদ্দিন মজুমদার : আওয়ামী লীগের সক্ষমতা কেমন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ দেখতে চায়। তাই আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বলব তত্ত্বাবধায়ক/অন্তর্বর্তী সরকার অথবা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দিয়ে সক্ষমতা যাচাই করার জন্য।

আবু আল নাহিয়ান রিশাদ : বিএনপির নির্বাচনী সক্ষমতা কতটুকু আছে তা দেশের মানুষ জানে ও বুঝে। প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান-কর্মচারীদের অপব্যবহার করে সরকার দেশের জনগণকে বাকরুদ্ধ করে রেখেছে। যারা বিএনপির নির্বাচনী সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করে তারা এই দেশের জনগণকে কতটুকু মূল্যায়ন করে?

মো. আবদুর রহমান এসআরপি : বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনে হারার ভয়ে এ সব কথা বলছে। নিজেদের অক্ষমতাকে বিএনপির ওপর চাপানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। সাধারণ মানুষের মতামতের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই।

কালাম : কার শক্তি আছে না নেই তা বোঝা যাবে যখন দুই দলের মধ্যে খেলা হবে। নিরপেক্ষ খেলায় যে জিতে আসবে তাকেই মেনে নেবে জনগণ।

গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিন পার্বত্য জেলার সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি

ক্যামেরনের দায়িত্বে ‘দ্য লাস্ট ট্রেন ফ্রম হিরোশিমা’

এক ট্রলারেই মিলল ১০২ মণ ইলিশ

তাকসিমের সহযোগী সচিবকে অব্যাহতি দিল ঢাকা ওয়াসা

অনেক সচিব এখনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : রিজভী 

৩০৮ রানের লিডে দিন শেষে শক্ত অবস্থানে ভারত

ইবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সড়ক অবরোধ

রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা / ঢাবির ফজলুল হক হল প্রভোস্টের অপসারণ দাবি সাদা দলের

হত্যা মামলায় অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর ৭ দিনের রিমান্ডে

১০

পেজার বিস্ফোরণ নিয়ে উত্তেজনা, যার পক্ষ নিল রাশিয়া

১১

প্রেমিকার ডাকেও কার্নিশ থেকে নামল না ‘চোর’

১২

বাকি খেয়ে লাপাত্তা ছাত্রলীগ নেতারা, দিশেহারা ব্যবসায়ীরা

১৩

যেভাবে অশান্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম

১৪

দেড় মাস ধরে অনুপস্থিত বেড়া কলেজের অধ্যক্ষ

১৫

শনিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি যাচ্ছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল

১৬

বিনোদন বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই 

১৭

জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি কক্সবাজারের তরুণদের 

১৮

বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে জবিতে মানববন্ধন

১৯

আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত ছাত্রদল নেতাদের

২০
X