কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজনীতিতে ভালো মানুষ কোণঠাসা, চলছে নীতির দুর্ভিক্ষ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

‘রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেখান থেকে বাছাইকৃত ২০টি মতামত প্রকাশ করা হলো।

‘খারাপ টাকা ভালো টাকাকে বাজার থেকে হটিয়ে দেয়’- ইংরেজ অর্থনীতিবিদ স্যার টমাস গ্রেশামের এ বিধিকে বর্তমান দেশের রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে মন্তব্য করেছেন পাঠকরা। তারা বলতে চেয়েছেন, রাজনীতিতে ভালো মানুষ রয়েছেন। তারা নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজনীতিতে স্বার্থবাদী, সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজরা আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তাদের ভিড়ে ‘ভালো মানুষ’ হারিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে নিঃস্বার্থ মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন না। আবার এ সুযোগটিও নিচ্ছেন সুযোগ সন্ধানীরা।

আলী আকবর সাগর লেখেন, ‘আমাদের দেশে এমনকি বিশ্ব রাজনীতিতে গ্রেশামের মুদ্রানীতি যেন একাকার হয়ে মিশে গেছে। যাকে অনেকটা এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়, খারাপ মানুষ ভালো মানুষকে রাজনীতি থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই বিতাড়িত করে। যেভাবে খারাপ মুদ্রা ভালো মুদ্রাকে বাজার থেকে বিতাড়িত করে। কালের ক্রমধারায় কিছু স্বার্থপর রাজনীতিবিদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধীরে ধীরে আজ রাজনীতিতে খারাপ বা অসৎ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের দাপটের কারণে সৎ, নীতিবান, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও মেধাবী রাজনীতিবিদরা বিবেকের দ্বারা তাড়িত হয়ে বা মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই নিজেদের অজান্তেই রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দিয়ে আজ ঘরমুখো হয়ে আছেন।’

ইয়াসিন সোহাগ লেখেন, ‘রাজনীতিতে ভালো মানুষ কমে যাচ্ছে। এ জন্য বর্তমান সময়ের রাজনীতিবিদরাই দায়ী। বর্তমান রাজনীতিবিদদের বক্তব্যের ভাষার কারণে অনেক তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি বিমুখ হয়ে গেছে। বর্তমান রাজনীতির ব্যবহৃত ভাষা অত্যন্ত নিম্নমানের। যেমন : ‘খেলা হবে, আসুন কবে খেলবেন, খেলার জন্য প্রস্তুত হন, খেলার জন্য অমুককে পাঠাব তমুককে পাঠাব’।

রাজনীতি সুবিধাভোগীদের হাতে চলে গেছে বলে মনে করেন জেএম সফিক। তিনি লেখেন, ‘সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীদের হাতে রাজনীতি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই তো তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘রাজনীতি আর রাজনীতিবিদের হাতে নাই’। কেন বললেন তিনি এই কথা! কারণ, সরকারি দল পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুলিশ এবং টাকা কামাতে, পাচার করতে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন।

রবিন আল হাসান লেখেন, ‘বর্তমানে যারা রাজনীতি করছেন, তারা দেশের স্বার্থের জন্য নয় বরং নিজেদের স্বার্থে করছেন। তাদের দেশপ্রেম নেই। তাদের জন্য রাজনীতিতে ভালো মানুষের জায়গা হচ্ছে না।

পাঠকরা ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। সে সঙ্গে ভালো মানুষের সংখ্যা কমার কারণও নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করেন। পাঠকরা লেখেন, মাহমুদুল হাসান : বেশ ভালো একটি মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত প্রায় দেড় দশক ধরে জনসাধারণের ওপর বিশেষ করে যারা বিরোধী রাজনীতি করে তাদের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে, সেটিতো তিনি সরাসরিই দেখেছেন। এর আগে বিএনপির আমলে যে দমনপীড়ন চালিয়েছে সেটিও মানুষ ভুলেনি। বলা চলে যখন যে দল সরকারে থাকে সে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিরোধী মতকে একেবারে নিঃশেষ করে দিতে চায়। এমতাবস্থায় শুধু সুবিধাভোগী, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ছাড়া খুব কম মানুষই রাজনীতির সঙ্গে থাকতে চান। এ ছাড়া রাজনীতির বাণিজ্যকরণ ঘটেছে। এখন দেখা যায়, তৃণমূল থেকে উঠে আসা কোনো রাজনীতিবিদ বা ছাত্র রাজনীতি করে আসা কোনো ব্যাক্তি পরবর্তীতে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পান না। বরং ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শীর্ষ টেন্ডারবাজের কাছে চলে যায় মনোনয়ন। কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় সাবেক আমলারাও প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হচ্ছেন। আরেকটি দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের মধ্যেই রক্তারক্তি করে। বলা যায়, ভাইয়ের রক্তে নিজ হাত রাঙিয়ে তোলে। জবর দখলের কথা নাই-বা বললাম। গুম-খুন-মামলা-হামলার কথাতো সবার জানা। আসলে আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরাই এ জন্য দায়ী। হোক সে সরকার ১৯৯৬ বা ২০০২ অথবা ২০০৯ এর পরবর্তী। তিন দশক ধরেই এই অবস্থা হচ্ছে। একটা কথা আছে, ‘শয়তান আগেরটাই, খোলস পাল্টেছে’। এ দেশের সরকারের অবস্থাও তাই মনে হচ্ছে। হয়তো-বা গত দেড় দশক ধরে বিরোধী মতের ওপর পীড়নটা বেশিই হচ্ছে। বিরোধী মতদের শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এগুলো নোংরা রাজনীতি। কিন্তু এর আগেও একই দমনপীড়ন হয়েছিল। কখনো যদি এসব বন্ধ হয়, রাজনীতি করার মতো পরিস্থিতি ফিরে আসে তখন ভালো মানুষের দেখা মিলবে। নয়তো রাজনীতিতে আর ভালো মানুষের দেখা পাওয়া যাবে না। যে মুষ্টিমেয় মানুষ এখনো রাজনীতির প্রতি আস্থা রাখছেন, দিন দিন এর সংখ্যাও কমে যাবে বলে আমি মনে করি।

মো. মোনায়েম খান : রাজনীতিতে ভালো মানুষই আসে। ক্ষমতা সেই মানুষের মনুষ্যত্ব নষ্ট করে দেয়। এ কারণে দিন দিন রাজনীতি থেকে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি ঠিক বলেছেন।

মাসুদ খান : ওবায়দুল কাদের ঠিকই বলেছেন। তিনি একসময় ভালো ছিলেন। এখন আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে বুকে হাত রেখে বলুক, এই রাজনীতি পচানোর জন্য তিনি কেমন দায়ী? এর কারণ, ক্ষমতার লোভ। তিনি যখন দেখলেন ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসা অনেক সহজ তখন তিনি সহজ পথটাই বেছে নিলেন। নিজেকে একজন খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করলেন। যদি ভালো হতেন তাহলে তিনি একরোখা নির্বাচনে না লড়ে সরে দাঁড়ালে একটা ভালো মানুষের উদাহরণ সৃষ্টি হতো।

আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। রাজনীতি প্রতিহিংসায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার জন্য তারা সবাই মরিয়া। সাধারণ জনগণ কীভাবে চলবে, কী খাবে তা নিয়ে কারও কোনো টেনশন নেই। সবারই একই চিন্তা আমাদের ক্ষমতা লাগবে।

রমজান বিন আইয়ুব : ওবায়দুল কাদের সত্য বলেছেন। বর্তমানে রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। আমাদের মতো সাধারণ জনগণের ধারণা, যারা সরকারে থাকে তারা সব সময় মিথ্যা বলেন। যারা বিরোধী দলে থাকেন তারা খুব সত্যবাদী হওয়ার ভান করেন। কিন্তু এ বিরোধী দলই যখন সরকারে আসে তখন তাদের অবস্থাও একই হয়। মানে, সব দলই যা করে ক্ষমতার জন্য করে। প্রকৃত অর্থে কেউই নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ জনগণ তথা দেশের স্বার্থে কাজ করে না। এই অর্থে ওবায়দুল কাদেরের কথাই সত্য। রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমতে কমতে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে।

মো. স্বাধীন মালিক : রাজনীতি হচ্ছে পচা নর্দমার মতো। সবাই রাজনীতিতে জড়াতে চান না। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতির মহত্ব হারিয়ে গেছে। এ জন্য ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন : তিনি কথাটা ঠিক বলেছেন। তবে সব দলের রাজনীতিবিদরা খারাপ নন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খারাপ মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে! কথাটা তিনি এভাবে বলতে পারতেন।

যমুনা : রাজনীতিতে এখন ভালো ও জ্ঞানী মানুষকে বোকা ভাবা হয়। খারাপ এবং দুশ্চরিত্র লোকদের যোগ্য নেতা বলা হয়। আর এই কারণেই খারাপ মানুষের ভিড়ে ভালো মানুষ নিজেদের সম্মান ধরে রাখতে সব সময় নিজেকে পিছিয়ে রাখে। এ কারণেই রাজনীতিতে আর ভালো মানুষ পাওয়া কঠিন।

জহুরুল ইসলাম মণ্ডল : গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এক দলের সঙ্গে অন্যজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অত্যন্ত স্বাভাবিক। একজন অন্যজনকে আক্রমণ করবে, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু আক্রমণের ধরন হতে হবে রাজনৈতিক, সমালোচনাটা হবে নীতির প্রশ্নে। কিন্তু রুচি বহির্ভূত আক্রমণের তীর ছুটছে চার দিকে। তাই রাজনীতিতে ভালো মানুষ আর আসতে চান না।

মো. আনোয়ার হোসাইন : বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবস্থা তাতে করে যুবসমাজ রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখাই ভালো মনে করছেন। বর্তমানে নীতিবান রাজনীতিবিদদের সে রকমভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। বর্তমান রাজনীতি মানে মারামারি-হানাহানি। প্রতিহিংসার কারণে দেশ ও জাতির কল্যাণ হচ্ছে না। অভ্যান্তরীণ রাজনীতি যত খারাপ থাকবে তত দেশের জন্য তা অমঙ্গল বয়ে আনবে। তাই আমরা সাধারণ মানুষ কামনা করি, এসব প্রতিহিংসা হানাহানির রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে রাজনীতিবিদরা কাজ করুক। দেশে রাজনীতি করার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। বর্তমান রাজনীতিবিদরাই পারেন বাংলাদেশকে একটি বসবাসযোগ্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।

বেলাল ম্রিসিক : বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সত্য বাণী হলো ‘কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতি করতে পারেন না। অপরদিকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি দেশপ্রেমিক হতে পারেন না।’

রিয়াদ হোসাইন : বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘রাজনীতি ও ভালো মানুষ’ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত দুটি বিষয়।

মো. এনায়েত : আপনাদের মতো সিনিয়রদের কাছে তো ভালো কিছু পায় না, তাই ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। সত্য কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।

মো. আব্দুল হামিদ : ওবায়দুল কাদের যদি ভালো মানুষের সংজ্ঞাটা বুঝিয়ে বলতেন ভালো হতো। আপনি করেন রাজনিতি। আপনার মুখ দিয়ে বলেন আগুন দিতে এলে আগুন লাগিয়ে দেব। এটা কেমন ভালো মানুষের কথা। আপনার বলা উচিত ছিল, ‘পানি নিয়ে বা জনগণ নিয়ে দাঁড়াব’।

আমিনুল ইসলাম : শুধু রাজনীতিতে ভালো মানুষ কমে যায়নি। সব ক্ষেত্রেই ভালো মানুষ কমে গেছে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে চৌকিদার পর্যন্ত ভালো মানুষ খুঁজে পাবেন না। প্রশাসন থেকে শুরু করে দফাদার পর্যন্ত খারাপ মানুষে ভরে গেছে। যে কোনো কাজে গেলেই বাড়তি টাকা দাবি করা হয়। দেশের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছে।

আব্দুল কাইয়ুম রাকিব : একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দল দরকার। আর রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয় সৎ, নিষ্ঠাবান, নীতিবান নেতার সমন্বয়ে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সৎ, নীতিবান, নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক নেতা নেই বললেই চলে। কারণ, বড় দলগুলো কিছু ব্যবসায়ী, আমলাদের দখলে চলে গেছে। তাই তারা নিজেদের ব্যবসা বা চেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য যে কোনো হীন কাজ করতেও দ্বিদ্বাবোধ করেন না। সাধারণ শিক্ষিত সমাজ থেকে কোনো নেতা তৈরি হচ্ছে না। অশিক্ষিত লোকরা সেই সুযোগটি নিয়ে তারাই নেতা বনে গেছে। এ অশিক্ষিত লোকদের টাকার জোরের কাছে শিক্ষিত লোকরা রাজনীতিতে আসতে চায় না।

এম এ বাকী বিল্লাহ : রাজনীতি এখন মারাত্মক পর্যায়ের ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে। রাজনীতির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, নীতির রাজা, রাজনীতিবিদ মানেই তিনি হবেন নীতির রাজা। এখন সেই নীতির দুর্ভিক্ষ চলছে রাজনীতির সর্বত্রে। রাজনীতির রাজ বা রাজা অথবা নেতা ঠিকই রয়েছেন, কিন্তু নীতি নেই। অপরাজনীতির জয়জয়কার, প্রতিহিংসার রাজনীতির সয়লাব এবং রাজনীতিতে অর্থের নগ্ন আধিপত্যের জন্য ভালো মানুষ রাজনীতির প্রতি বিমুখ। তাই বলা যায়, তিনি মন্দ বলেননি। আসলেই ভালো মানুষ ও যোগ্যরা রাজনীতি থেকে দূরে সরে রয়েছেন। তাই রাজনীতির এই অচলাবস্থা দূরীকরণে তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক উৎসাহ বাড়াতে হবে। পরিশুদ্ধ গণতন্ত্র চর্চার প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করতে হবে এবং যতদূর সম্ভব ব্যবসায়ী, নায়িকা-গায়িকা, ব্রোকার-জোকারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতে হবে।

গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেঘনা নদীতে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ ৫

বাসচাপায় নানা-নাতনি নিহত

কলেজ আছে, শিক্ষকও আছে, শুধু নেই পরীক্ষার্থী!

দশম মাসে গড়াল গাজা যুদ্ধ

কোটাবিরোধী আন্দোলনের যে অনুভূতি বাবাকে ফোনে জানালেন ঢাবি ছাত্রী

‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’, ইউটিউব থেকে সরাতে নির্দেশ

ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন 

ভিনি-বেলিংহামের সঙ্গে ব্যালন ডি'অর বিতর্কে মেসিও

টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

এক হ্যাকারই ফাঁস করলেন ১০ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড!

১০

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

১১

তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের ৩ স্ত্রী কারাগারে

১২

কেবিনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া

১৩

বেড়েলা ফুলের হলুদ হাসিতে বিমূর্ত প্রকৃতি

১৪

ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫

১৫

বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ‘অরাজনৈতিক ও পর্যালোচনাধীন’ : ওমান রাষ্ট্রদূত

১৬

কলকাতার তরুণীর আইফোন চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

১৭

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

১৮

চিকিৎসক সংকটে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১৯

স্বাগত হিজরি নববর্ষ ১৪৪৬, কী এর ইতিহাস ও তাৎপর্য

২০
X