দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ২৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) ‘ভিসানীতিতে যুক্ত হবে গণমাধ্যমও’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত ২০টি মতামত প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করার তাগিদে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্ত হবে বলে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাঠক। এদের বড় একটি অংশ দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আসাদুল্লাহ নোমান নামের এক পাঠক লেখেন, ‘গণমাধ্যম হলো জাতির দর্পণ। গণমাধ্যমের কাজ হচ্ছে, সব সময় আপসহীন সত্য সংবাদ প্রচার করা। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম সরকারপন্থি। এগুলো অধিকাংশ সময়ই সরকারের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে; যেগুলো জাতির বিরুদ্ধে, জনতার বিরুদ্ধে যায়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কোনো এক গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ না করে গণমাধ্যমের সত্য সংবাদ প্রচার প্রক্রিয়া ব্যাপক অবদান রাখবে। কারণ, গণমাধ্যম তিলকে তাল বানাতে পারে। এ জন্য গণমাধ্যমের ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।’
কেন গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি আরোপকে সমর্থন করছেন তাও ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ। মোহাম্মদ ইদান খান লেখেন, ‘এটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত গণমাধ্যমের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের এখন ন্যূনতম আস্থা নেই। যার ফলে মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়েছে।’
মাহামুদুল হাসান লেখেন, ‘অবশ্যই গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা জরুরি। কারণ, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব।’
মাহবুবুর রহমান লেখেন, ‘গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। অপরিষ্কার দর্পণ দিয়ে যেমন নিজের চেহারা সুন্দরভাবে দেখা যায় না। তেমনি নিরপেক্ষ গণমাধ্যম ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ গণমাধ্যমই পারে একটা দেশের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতির অবস্থা সঠিকভাবে জাতির কাছে তুলে ধরতে পারে।’ তাই ভিসানীতির মাধ্যমে চাপে রাখলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যমের কর্মীরা দ্বিতীয়বার ভাববেন বলে মনে করেন এ পাঠকরা।
তবে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসার যে অভিযোগ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে উঠেছে তাতে সরকারের দোষ দেখছেন পাঠকদের আরেকটি অংশ। এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান রঞ্জু লেখেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর সরকারের একটি অদৃশ্য চাপ রয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন আইন ব্যবহার করে ইতোমধ্যে অনেক সাংবাদিককে হয়রানি করা হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রেখে এখন সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ট সংবাদ তুলে ধরতে আতঙ্ক বোধ করেন। অপরদিকে দলীয় লোকজনের মাধ্যমে সরকার সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। হলুদ সাংবাদিকতা সংবাদমাধ্যমকে অনেকাংশে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে আমি মনে করি।’
একই ধরনের মত প্রকাশ করে এম এস হাসনাত সাজিদ লেখেন, ‘ভিসানীতিতে গণমাধ্যম যুক্ত হলে সেটা অবশ্যই শিক্ষণীয় হবে। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীরা আজ পাকিস্তান আমলের মতো জিম্মি। কারণ, সত্য কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে তাদেরও পরতে হয় রাজনৈতিক রোষাণলে। তা ছাড়া ক্ষমতাধর নেতারা সত্য সংবাদ করার কারণে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাই আজ গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মী সবাই বাক-স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। যার জন্য বাংলার জনগণ সত্য সংবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর গণমাধ্যমগুলোও অগ্রহণযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে। অপরদিকে কিছু মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই অবিলম্বে শুধু তাদের ভিসানীতিতে আনা উচিত।’
অপরদিকে শারমিন সুমা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন। তিনি লেখেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচনের আগে এসব তো ভোটে প্রভাব বিস্তারের লক্ষণ। পাকিস্তানের মতো পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠাই এর মূল উদ্দেশ্য। ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিনিদের গণতন্ত্রের নামে আগ্রাসনের দৃশ্য সবাই দেখেছে।’
নীল পুনিঁমা লেখেন, ‘গণতন্ত্রের এজেন্ট এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। এদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার দরকার নেই। এ ভিসানীতির সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ। কারণ, দুর্নীতিবাজরা আর টাকা পাঠানোর সাহস পাবে না। অপরদিকে যেসব গণমাধ্যম আমেরিকার সমালোচনা করবে তাদের টার্গেট করবে দেশটি। এ ধরনের ভিসানীতি একটি দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপরাধের সামিল।’
গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি আরোপের পক্ষে-বিপক্ষে অসংখ্য মন্তব্য এসেছে। নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে পাঠকরা লেখেন-
মোহাম্মদ শওকত আলী : পক্ষপাত ও বিকৃত সাংবাদিকতা স্বাধীন মতপ্রকাশকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। গণমাধ্যমকেন্দ্রিক ভিসানীতিকে স্বাগত জানাই।
দুরন্ত ঝড় : অতি উৎসুক তেলবাজ মিডিয়ার জন্য দুঃসংবাদ। ঠিক তেমনি নিরপেক্ষ মিডিয়ার জন্য সুসংবাদ। এর মাধ্যমে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন হবে।
রহমান মিজানুর : স্বৈরাচারী শাসন টিকিয়ে রাখতে গণমাধ্যমও অনেক দায়ী। এটা অনেক ভালো উদ্যোগ। গণমাধ্যমকে ভিসানীতির আওতায় আনায় সাধুবাদ জানাই।
জুয়েল মাহমুদ : যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত। কারণ, জবাবদিহি না থাকলে সেখানে স্বচ্ছতা থাকে না। স্বচ্ছতা না থাকলে সেখানে নীতি ও নৈতিকতাবোধ বিলুপ্ত হয়। প্রকৃত গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে যাদের ভূমিকা অপরিহার্য সেই গণমাধ্যমের জবাবদিহি থাকা উচিত। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় সংবাদমাধ্যমকে। তারাই যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে; সে দেশে গণতন্ত্র কীভাবে থাকে? সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করি।
মো. নজরুল ইসলাম : বলা হয়ে থাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগ যদি ভিসানীতির আওতায় আসে তবে গণমাধ্যম কেন নয়। বেশিরভাগ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তার মালিক ও সরকারের চাটুকারিতা করছে। এর মাধ্যমে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে। দেশের ভবিষ্যৎ কীভাবে ভালো হবে, নিরাপদ হবে, তা তারা চিন্তা করছেন না। তারা শুধু আখের গোছাতে ব্যস্ত। কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ-ই দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। তবে বিদেশি হস্তক্ষেপে যদি রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসে, সেটা মন্দ নয়। তাই আমি মনে করি, গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হলে রাঘববোয়ালরা সতর্ক হবে এবং সামান্য হলেও দেশের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করবে।’
আবদুল কাইয়ুম রাকিব : একটি স্বাধীন গণতন্ত্রের দেশে গণমাধ্যমের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, গণমাধ্যম মানুষের বাকস্বাধীনতা সবার কাছে তুলে ধরে। বাংলদেশের কিছু গণমাধ্যম রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে। তাই সত্য বা বাস্তবধর্মী ঘটনা জাতির সামনে তুলে না ধরে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে তারা। এ জন্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমগুলোকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানে কিছু গণমাধ্যম নিরপেক্ষ ভূমিকায় না থাকায় ভিসানীতির কবলে পড়তে যাচ্ছে। সেটি দেশের জন্য শুভকর নয়।
হুমায়ুন কবির রুস্তম : ভিসানীতিতে গণমাধ্যমকে যুক্ত করার বিষয়টি ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। কারণ, চলমান সময়ে গণমাধ্যমগুলোর পক্ষপাতমূলক প্রচার বেড়েই চলছে। বিশেষ করে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদ দেখলে মনে হয় তারা সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এ গণমাধ্যমগুলোর পক্ষপাতমূলক আচরণ নির্মূলে নিষেধাজ্ঞা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আব্দুল্লাহ মাসুদ : আগে মানুষ ভুল করলে গণমাধ্যম সঠিকটা তুলে ধরত। এখন গণমাধ্যম ভুল করলে সাধারণ মানুষ ফেসবুকে সঠিকটা তুলে ধরে। বর্তমানে কিছু কিছু গণমাধ্যমের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে গেছে। এখন গণমাধ্যম প্রমাণসহ কোনো সংবাদ করলেও সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করে না। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে কিছু কিছু গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না। অপ্রিয় হলেও সত্য কিছু কিছু সাংবাদিক নিজেদের পেশাগত দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে নিজ স্বার্থের জন্য অগ্রহণযোগ্য এবং জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পদলেহনে ব্যস্ত।
করিম মাস্টার : গণমাধ্যম হচ্ছে একটা জাতির দর্পণ। স্বাধীনতার কয়েক বছর পরেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সংকুচিত করা হয়েছিল। ফলে জাতি স্বাধীন গণমাধ্যম সেবা থেকে বঞ্চিত হলো। ১৯৭৫-এর পর আবারও বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১৫ বছর গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে সংকুচিত করা হয়েছে। কিছু গণমাধ্যম স্বৈরশাসনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা হিমাঙ্কের নিচে নামালো। হলুদ সাংবাদিকতার চরম সীমানায় পৌঁছাল গণমাধ্যম। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও সাহসী যোদ্ধা। কিন্তু যেসব গণমাধ্যম, সম্পাদক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অন্যায়ের পক্ষে কাজ করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেছে; তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।
কাজল : সত্যি বলতে গণমাধ্যম যদি নিরপেক্ষ এবং নির্ভয়ে সংবাদ পরিবেশন করে তবে দেশের অপরাধ, অপরাজনীতি অনেক কমে যাবে। কিন্তু এখানে একটা কথা থেকে যায়, সবারই পরিবার আছে। সন্তান-স্ত্রীর প্রতি মায়া আছে। বর্তমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করাটাও মুশকিল। গত কিছু দিন আগেও এক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। আমি মনে করি, সবার আগে সাংবদিকদের সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত। কণ্ঠরোধ করার আইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা উচিত। এরপর ভিসানীতির প্রয়োগ করলে ভালো হয়।
ফারুকউজ্জামান জুয়েল : গণমাধ্যম বলতে বুঝায় জনগণের মাধ্যম। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম দুটো শব্দ একে অন্যের সম্পূরক। গণমাধ্যমে রাষ্ট্রের চেহারা দেখা যায়। সেখানে সব রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলেও একমাত্র জনগণ আর গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু কোনো গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করা পেশাদারত্ব নষ্ট করে। এ ধরনের সাংবাদিকদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা খুব জরুরি।
এম আর মাহিন : বর্তমানে গণমাধ্যমের নামে কিছু ‘দালালবান্ধব’ মাধ্যম তৈরি হয়েছে। যারা নিজেদের লাভ এবং পকেট ভরানোর জন্য যা ইচ্ছে তাই প্রচার করে যাচ্ছে। এদের জন্য সাধারণ জনগণ তথ্যের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদের শাস্তি চাই। এরাই যেন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন