সারা দিনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে ভোটারদের বাধা এবং ভোট বর্জনকারীদের নানা অপপ্রচারের পরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেছেন। মানুষ ভোট দিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই একটি জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে এবং এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সতর্ক ছিল। এমনকি সরকারি দলের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। সবকিছু মিলে আমার কাছে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ মনে হয়েছে।
আমি নিজেও ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেছি এবং সেখানে আমি যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ দেখেছি মানুষ অতি উৎসাহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ তৈরি করা হয়েছিল যে কারণে ভোট দিতে মানুষের খুব বেশি সময় লাগেনি। এলাকার মানুষ খুব হাসি-খুশির সঙ্গে ভোট দিতে পেরেছেন।
এবার নির্বাচন কমিশন খুব সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেছে। মানুষ কোনো হয়রানি বা ঝামেলা ছাড়া ভোট দিয়ে এসেছেন। সবকিছু মিলে আমার মনে হয়েছে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এবং এই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি আশা করি।
নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নাশকতা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম না থাকলে আরও বেশি ভোট পড়ত। নির্বাচন বর্জনকারীদের অপপ্রচারের ফলে মানুষের মধ্যে ভোটের দিন ঘিরে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি হয়েছিল। শুরুর দিকে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।
নতুন যে সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে সেই সরকার সামগ্রিকভাবে দেশের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল সেগুলো পূরণে তারা সচেষ্ট থাকবে বলে আমি আশা করি। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, দুর্নীতি দমন করা এবং নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার দিকে নতুন সরকার মনোযোগ দেবে বলে আমি আশা রাখি।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য
মন্তব্য করুন