দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলেও যদি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়, তাহলে তুলনামূলক ভালো নির্বাচন হতে পারে। এবারের নির্বাচনে এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো না ঘটলেই ভালো হতো। তবে পূর্বের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবারের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমার ধারণা। ফলে আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে।
নির্বাচনের খারাপ দিক হলো- ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। আরও বেশি ভোট পড়লে ভালো হতো। ভোট কম পড়ার কারণ, যারা নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা শুধু আহ্বানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির মধ্যে একটি তুলনামূলকভাবে ভালো নির্বাচন দেখলাম। দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন সরকারদলীয় এমপি প্রার্থী এবং সিটিং এমপির প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এটার মধ্য দিয়ে একটি নজির স্থাপন করা হলো। অনেককে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কোনো দলেরই নির্বাচনের বাইরে থাকা উচিত নয়। যারা নির্বাচনের বাইরে থাকতে চায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন। সেই বার্তাটাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার ফুটে উঠেছে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
মন্তব্য করুন