ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি : সৌজন্য
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি : সৌজন্য

আমি কুমিল্লার কয়েকটি আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি মুন্সীগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের একটি করে আসনও। এসব জায়গায় আমি বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে আমার মনে হয়েছে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা উপনির্বাচনগুলোর মতো।

নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কোনো হাঙ্গামা বা অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের পর্যবেক্ষকরা সারা দেশের বিভিন্ন আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করলে তখন আমরা সত্যিকারের চিত্র বুঝতে পারব। মোটের ওপর বলতে গেলে নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে।

শরীয়তপুরের একটি আসন থেকে আমাদের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন সেখানে কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজনের দ্বারা ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

নির্বাচনের দিন সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন থাকায় এমনিতেই মারামারি হওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। যারা সংঘর্ষ বাধাতে পারত তারা সশস্ত্র বাহিনীর সামনে এসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ পায়নি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করেনি বলে সারা দেশে নির্বাচন নিয়ে তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা যায়নি। নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল শাসকদলের প্রার্থীদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে কোথাও সাংঘর্ষিক কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। নির্বাচনের আগেই মানুষ ধরেই নিয়েছিল যেভাবেই হোক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতে যাবে। সুতরাং এখানে বাড়তি এফোর্ট দেওয়ার মানসিকতা ভোটারদের মধ্যে ছিল না। এছাড়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারাও বেশিরভাগ আওয়ামী লীগেরই দলীয় লোক। সুতরাং নৌকা জিতুক, ট্রাক জিতুক, বা ঈগল জিতুক ঘুরেফিরে বিষয়টি একই রকম।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এমন একটি নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য কতটুকু সহায়ক। উত্তরে বলতে হবে, সাংবিধানিক শূন্যতা রাখার কোনো সুযোগ নেই। মার্শাল রুলও কাম্য নয়। সিভিলিয়ান সরকার জারি রাখতে হলে কোনো ধরনের শূন্যতা ডেকে আনা ঠিক হবে না। সেই বিবেচনায় বলতে হয় নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ: চেয়ারম্যান, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যাব : ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচনী সংস্কার সবার আগে দরকার : এ্যানি 

গুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না : প্রেস সচিব

এক ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা

ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিট ২০২৪ লরিয়েট সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি তরুণ

ছায়ানটের লোকসংগীত আসরে দেশসেরা ৫ গীতিকবির গান

চাঁদাবাজদের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুলিশে দিন : হাসনাত আবদুল্লাহ

বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হবেন বিপ্লবী : রিজভী 

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বোলিংয়ে টাইগাররা

সর্বস্তরের নারী প্রতিনিধিত্ব রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে না

১০

নাটোরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

১১

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মামলা, স্ত্রীসহ ৩ জন পুলিশ হেফাজতে

১২

মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ : ধর্ম উপদেষ্টা

১৩

হঠাৎ কেন ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াল ইরান

১৪

দলকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন : যুবদল সভাপতি

১৫

গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন

১৬

মেহেরপুর ইসলামি আন্দোলনের উর্বর ভূমি : গোলাম পরওয়ার

১৭

রেলপথ যেভাবে পাল্টে দিয়েছে সময়ের ধারণা

১৮

‘সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না’

১৯

‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’

২০
X