ড. মাহ্‌বুব উল্লাহ্‌
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. মাহ্‌বুব উল্লাহ্‌

নির্বাচন নতুন সমস্যারও জন্ম দিতে পারে

ড. মাহ্‌বুব উল্লাহ্‌। ছবি : সৌজন্য
ড. মাহ্‌বুব উল্লাহ্‌। ছবি : সৌজন্য

প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহী হয় না। সম্ভবত আজকের নির্বাচনেও আমরা সেই অভিজ্ঞতাই দেখতে পাব। নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। আওয়ামী লীগ এককভাবে বড় দল হিসেবে নির্বাচন করছে। আওয়ামী লীগের মধ্য থেকেই আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছে অনেকেই।

বিষয়টি এরকম, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ফলে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি সীমার বাইরে যাচ্ছে না। মানুষ বুঝতে পারছে না একদলের মধ্যে দুজন প্রার্থীর কাকে তারা ভোট দেবে। যে প্রক্রিয়ায় গত দুটি নির্বাচন হয়েছে এবং এবারের নির্বাচন হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি যদি পাকাপোক্ত হয়ে যায় তাহলে হয়তো আগামী কয়েক বছরে আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসবে না। যদি এর মধ্যে কোনো সময় কোনো ঘটনা ঘটে তখন হয়তো অন্য কোনো দৃশ্যের সম্মুখীন হবো আমরা।

দেশে একটি সিস্টেম যখন কাজ না করে তখন সেটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার দিকে চলে যায়। আর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা একটি পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যায়। এখানেই মূল সমস্যা। আমরা সবকিছু দেখার চেষ্টা করছি নাকের ওপর দিয়ে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে আমার লাভ হইল না কি ক্ষতি হইল এখানেই আমাদের মনোযোগ। কিন্তু আমরা যদি পাঁচ বছর বা ১০ বছর পরের কথা ভাবতে পারতাম তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা কেউ ভবিষ্যৎ চিন্তা করছি না। আমরা শুধু তাৎক্ষণিক সুবিধার কথা চিন্তা করে আমাদের কর্মকাণ্ডগুলো করে যাচ্ছি। আর এই কারণে আমরা ব্যাপকভাবে অনৈতিক এবং অসৎ প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিচ্ছি।

বাংলাদেশের মতো দেশে সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে নির্বাচন। একটি নির্বাচনের পর যখন আরেকটি নির্বাচন আসে- নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনসাধারণ তাদের নেতা নির্ধারণ করে। ক্ষমতাসীন যে সরকার ছিল তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না থাকে, যদি অসৎ এবং দুর্নীতির মধ্যে ডুবে যায়, যদি দুঃশাসন এবং অপশাসনে জড়িয়ে যায় তাহলে এই অবস্থাকে ঠেকানোর জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যদি নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত হয়ে যায় তাহলে সমস্যা সমাধানের আর কোনো রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। অনিয়ম, অনাচার, দুর্নীতি, ঘুষসহ যা কিছুকে আমরা খারাপ শাসন বলি সেগুলো ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

যেভাবে গত দুটি নির্বাচন হয়েছে এবং এবারের নির্বাচন করা হচ্ছে তা দেশের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। আর এই ক্ষতির ভুক্তভোগী হবে প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিট ২০২৪ লরিয়েট সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি তরুণ

ছায়ানটের লোকসংগীত আসরে দেশসেরা ৫ গীতিকবির গান

চাঁদাবাজদের ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুলিশে দিন : হাসনাত আবদুল্লাহ

বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হবেন বিপ্লবী : রিজভী 

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বোলিংয়ে টাইগাররা

সর্বস্তরের নারী প্রতিনিধিত্ব রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে না

লালপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মামলা, স্ত্রীসহ ৩ জন পুলিশ হেফাজতে

মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ : ধর্ম উপদেষ্টা

হঠাৎ কেন ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াল ইরান

১০

দলকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন : যুবদল সভাপতি

১১

গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন

১২

মেহেরপুর ইসলামি আন্দোলনের উর্বর ভূমি : গোলাম পরওয়ার

১৩

রেলপথ যেভাবে পাল্টে দিয়েছে সময়ের ধারণা

১৪

‘সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না’

১৫

‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’

১৬

সব টেলিভিশনে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র প্রচারের নির্দেশ

১৭

‘বিপ্লব-পরবর্তী দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যের বিকল্প নেই’

১৮

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : আহমদ আবদুল

১৯

ম্যানেজার নেবে বিকাশ, থাকছে না বয়সসীমা

২০
X