আসিফ ইমতিয়াজ
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘প্রত্যয়’ স্কিম : স্মার্ট বাংলাদেশের উপকরণ না কি বৈষম্যের উদাহরণ?

আসিফ ইমতিয়াজ। ছবি : সংগৃহীত
আসিফ ইমতিয়াজ। ছবি : সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শনের আওতায় ২০৩১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার একটি কার্যকর অস্ত্র। সারা জীবন চাকরি করে যারা শেষ জীবনে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের বাইরে অবস্থান করতেন, তাদের সামাজিক সুরক্ষা দিয়ে স্বস্তি প্রদানের লক্ষ্যে এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি মহৎ উদ্যোগ।

তবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অদূরদর্শিতা ও কিছুক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এ ব্যবস্থাটি আজ দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা-আন্দোলনের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রায়োগিক দুর্বলতা ও নীতিপ্রণয়নের অপরিণামদর্শিতার কারণে ব্যবস্থাটির সাফল্য আশঙ্কার মুখে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

৪টি স্কিম (প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা) নিয়ে শুরু করা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাটি শুরু থেকে একদম আশানুরূপ সাড়া না পেলেও একেবারে খারাপও করছিলো না। প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান, স্বকর্ম ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের অনেকেই এ ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে। কিন্তু গোল বেঁধে গেল স্বশাসিত, স্বায়ত্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় এ কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা যদিও মূলতঃ সুগঠিত পেনশন কাঠামোর আওতার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিলো, তবুও সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে যাদের ইতোমধ্যে আবহমান কাল থেকে চলে আসা সুগঠিত পেনশন ব্যবস্থা আছে, তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে, তবে বাধ্যতামূলকভাবে নয়। কিন্তু যেহেতু এখন সরকার চাচ্ছে স্বশাসিত, স্বায়ত্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করবে এবং তাদের অনেকেরই একটি পেনশন ব্যবস্থা আবহমান কাল থেকেই বিদ্যমান রয়েছে, তাই অবধারিতভাবে যে বিষয়টি সামনে চলে আসে তা হলো ‘প্রত্যয়’ স্কিমের সঙ্গে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার আর্থিক তুলনা ও এই স্কিমে শুধু একটি শ্রেণির টার্গেটেড অন্তর্ভুক্তির ন্যায্যতা।

প্রথমেই আসা যাক বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের তুলনায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সবুজ ভৌমিক তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এ বিষয়ে একটি চমৎকার তুলনা দেখিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ‘একজন অধ্যাপক অবসরের সময় এককালীন প্রায় ৮১ লাখ টাকা পান। এই ৮১ লাখ টাকা তিনি যদি সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার মাসিক আনুমানিক আয় আসবে ৮১ হাজার টাকা। বর্তমান পেনশন পদ্ধতিতে একজন অধ্যাপক প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ হাজার ৭৯০ টাকা পেনশন পান। নতুন পেনশন পদ্ধতিতে বেতন থেকে যদি মাসে ৫ হাজার টাকা কেটে নিয়ে তা কিস্তিতে জীবন বিমা করপোরেশনের সঙ্গে জীবন বিমা করা হয়, তাহলে পেনশন হিসেবে ৫৭ বছর বয়স থেকে আজীবন ৩২ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যাবে। এ ধরনের বিমার টাকা চাইলে অর্ধেক সমর্পণ করে এককালীন উত্তোলন করা সম্ভব, যার পরিমাণ হবে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ টাকাও পুনঃবিনিয়োগ করে আনুমানিক ১৬ হাজার টাকা আয় করা যাবে এবং বাকি অর্ধেক থেকে আজীবন পেনশন হিসেবে আসবে ১৬ হাজার ২৫০ টাকা, যার মানে এককালীন ১৬লাখ ৫০হাজার টাকা এবং মাসিক ৩২ হাজার ২৫০ টাকা।

বর্তমান পদ্ধতিতে তুলনামূলক প্রাপ্ত পেনশন ও সুযোগ-সুবিধা হল: অবসরকালে বীমা ও গ্র্যাচুইটি থেকে এককালীন মোট নগদ আয় হবে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা (৮১ লাখ গ্র্যাচুইটি + ১৬ লাখ ৫০ হাজার বীমা) এবং বিনিয়োগ ও পেনশন থেকে মোট সম্ভাব্য মাসিক আয় হবে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা (৮১ হাজার + ৪৫ হাজার ৭৯০ + ৩২ হাজার ২৫০)।

নতুন পদ্ধতিতে তুলনামূলক প্রাপ্ত পেনশন ও সুবিধা হলো, পেনশন থেকে মোট মাসিক আয় হবে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা (প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী)। এতে সুযোগ-সুবিধার ক্ষতি হলো এককালীন ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা যা পেনশনারের স্থায়ী সম্পদ হতে পারতো। এর সঙ্গে মাসিক পেনশনে ও পুনঃবিনিয়োগের সুযোগ কমে যাবে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা। ১৫ বছরে (যদি পেনশনার ও নমিনি ১৫ বছর বাঁচে) পেনশন বাবদ কম পাবে ৬১ লাখ টাকা। বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে যে পেনশন ইনক্রিমেন্ট হবে ও ১৫ বছরের বেশি বাঁচলে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। একজন পেনশনারের মোট সম্ভাব্য ক্ষতি প্রায় ১ দশমিক ৬ কোটি বা তারও বেশি হতে পারে।

অতএব একটি বিষয় স্পষ্ট হলো যে, বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার চেয়ে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের বর্তমান রূপরেখাটি কোনোভাবেই বেশি সুবিধা দিচ্ছেনা, বরং সম্ভাব্য ক্ষতির দিকে, সামাজিক সুরক্ষাহানির দিকে নিয়ে যাচ্ছে যা এই পেনশন ব্যবস্থার মূল ধারণা ও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অন্তর্ভুক্তির ন্যায্যতার দিক থেকে এই স্কিমটি বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যে স্কেলে যা বেতন পান, সরকারি কর্মকর্তারাও একই কোষাগার থেকে একই স্কেলে একই বেতন পান। তাদের বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থাও প্রায় একই। যদি ‘প্রত্যয়’ স্কিম এত আকর্ষণীয় ও সুবিধাপ্রদায়ক হয়ে থাকে, তাহলে এই পেনশন ব্যবস্থার নীতিনির্ধারক ও প্রায়োগিক কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও এই স্কিমে আসতে অসুবিধা থাকার কথা না। কিন্তু তারা নিজেদের জন্য ‘সেবক’ নামের একটি আলাদা স্কিম প্রণয়ন করছে। একই কোষাগার থেকে একই বেতন যারা পান, তাদের আলাদা দুটি স্কিম হলে অবশ্যই এই ধারণা আসা স্বাভাবিক যে তারা নিজেরাও হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে ‘প্রত্যয়’ আসলে তারা যেমন চান স্কিম চান, ঠিক তেমন স্কিম না। অথবা, ‘প্রত্যয়’ স্কিম ‘হয়তো’ ঠিকই আছে, কিন্তু তাদের চাওয়া আরেকটু বেশি। সর্বজনীন পেনশনের ‘সর্বজনীন’ আবেদন ও ধারণা তো সমতার প্রশ্নে এখানে আরেকবার হোঁচট খেলো।

এখানে একটি কথা মনে রাখা দরকার। সর্বজনীন পেনশন নিয়ে বর্তমানে যারা আন্দোলন করছেন, তারা কেউই কিন্তু এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় থাকবেন না। থাকবেন বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার আওতায়। ১লা জুলাই ২০২৪ থেকে যারা এসব পেশায় যোগদান করবেন, ‘প্রত্যয়’ প্রযোজ্য হবে তাদের জন্য। তাহলে আন্দোলনটা কেন হচ্ছে?

২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ও ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের জন্য আলাদা পে-স্কেল গঠনের উল্লেখ ছিল। সেই পে-স্কেল তো পাওয়া গেলোই না, উলটো আরও অনাগত সহকর্মীদের অবসরোত্তর আর্থিক সুবিধা অনেকখানি চলে গেলো। এমতাবস্থায়, শিক্ষাব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে যে পরিমাণ মেধা আকর্ষণ করা প্রয়োজন, শিক্ষকতা পেশার সেই আকর্ষণশক্তি অনেকখানি হ্রাস পেলো। এমনিতেই সারাক্ষণ একটি ‘হায় হায়’ রব শোনা যায় যে রাজনীতি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেষ হয়ে গেলো। আর বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক মানমর্যাদায়ও শিক্ষকদের অবস্থান এখন তেমন শক্ত নেই। এমতাবস্থায়, ‘প্রত্যয়’ স্কিম সংস্কার না করা হলে গুণী শিক্ষকের অভাবে ভবিষ্যতে এই ‘গেলো গেলো’ হাহাকার মর্সিয়া সঙ্গীতে রূপ নিবে। আর শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হলে এর প্রভাব পড়বে জাতির সর্বস্তরেই। বিদেশে না পাঠালে নীতিনির্ধারকদের সন্তানদেরও কিন্তু এই ক্ষতির আঁচ পোহাতে হবে। আর শিক্ষাব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়লে দেশ চালানোর মতো দক্ষ মানুষের নিরবচ্ছিন্ন জোগান যে ব্যাহত হবে এই সহজাত ও সত্য ধারণা উপলব্ধি করতে বিশেষ জ্ঞানের দরকার পড়েনা।

প্রধানমন্ত্রীর সুখী ও সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তাই সবচেয়ে সহজ উপায় হলো স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের পাশাপাশি অনাগত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও একটি অভিন্ন স্কিমের আওতায় এনে সেই স্কিমকে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থার নিদেনপক্ষে সমতূল্য করার নতুন নীতি প্রণয়ন করা। এতে সামাজিক সুরক্ষাও বজায় থাকলো, অন্তর্ভুক্তির বৈষম্যও দূর হলো, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার জায়গায় রাষ্ট্রপরিচালনার প্রতিটি এপারেটাস অটুট থাকল।

তবে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় শিক্ষকদের এ আন্দোলনের বাইরে গিয়েও কিছু কাজ করতে হবে। এই ক্রান্তিকাল আমাদের জেগে ওঠার জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমরা শিক্ষকরা যখনই শিক্ষকতা আর গবেষণা বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নালিশ করা শুরু করলাম, একদল শিক্ষক নিয়ে আরেকদল শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে রাখা শুরু করলাম আর তখনই নীতিনির্ধারকরা বুঝে গেল এই শিক্ষক এখন তো আর সেই শিক্ষক নেই। একটা সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শুনলে সবাই শ্রদ্ধাবনত দৃষ্টিতে তাকাতো। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৪ ডিসেম্বরে যেসব বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিলেন তার একটা বড় অংশ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কেননা পাকিস্তানি বর্বর মাথামোটা সামরিকযন্ত্র জানতো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আর দেশসেরা মেধাবী কারা, কোথায় থাকেন তারা।

আর তারপরের প্রজন্মের শিক্ষকরা আজ এমন এক অবস্থানে নিজেদের নিয়ে গিয়েছি যে, জাতির সেই সিংহপুরুষরা আজ বেঁচে থাকলে হয়তো লজ্জিত হতেন। এই বিপথগামী শিক্ষকের সংখ্যাটা হয়তো খুবই অল্প, কিন্তু চোখে পড়ার জন্য যথেষ্ট। যার ফলে অন্য পেশাজীবীরাও ইদানীং ভাবতে শুরু করেছে এইসব শিক্ষকদের চেয়ে আমরাই যোগ্য, আমরাই বুদ্ধিমান। তাই যে পারে, সেই এসে দুকলম জ্ঞান দিয়ে যায়।

এই খারাপ সময়ে শিক্ষকদের ঢাল হতে পারতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু তারাই এখন সবচেয়ে বেশি খড়্গহস্ত। এরও যথেষ্ট কারণ আছে। আমরা অনেক শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি না, তাদের কথা শুনি না, তাদের সুবিধা অসুবিধা বুঝতে চাই না, শ্রেণিকক্ষে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখি, ক্লাসের বাইরে কথা বললে বিরক্ত হই, তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের চেষ্টায় সঙ্গে থাকি না। শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা কোন সম্পর্কেই ওয়ান-ওয়ে রুট না। আমরা শিক্ষার্থীদের যা দিতে চাই না, বা কম দিই, আমরা শিক্ষক বলেই শিক্ষার্থীরা আমাদের তা আনকন্ডিশনালি দিয়ে যাবে এই আশা করা নিতান্ত বোকামি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটু আন্তরিক ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষকের জন্য জীবনও দিতে পারে, অসীম শ্রদ্ধা করতে পারে।

আমরা শিক্ষকরা যদি সামগ্রিকভাবে ঐক্যবদ্ধ আর আরও বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব না হই, নিজেদের সম্মানের জায়গাটা নিজেরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে সামনে আমাদের জন্য আরও কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।

লেখক : আসিফ ইমতিয়াজ, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পিএইচডি গবেষক, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স।

(নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত-সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়।)

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিডিয়া কি তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা জোগাচ্ছে!

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ভূমিকা বিশ্বে অন্যতম : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

বাবার স্বাধীন করা দেশ ব্যর্থ হতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী 

এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

কোচের সঙ্গে সংঘর্ষে কেইনকে নিয়ে সংশয়

দেশের ১২ জেলায় নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে বন্যার্তদের দুর্ভোগ

বিশ্বসেরা গোলকিপারকে চায় না ম্যানইউ

ঢাবির হলে ছাদের পলেস্তারা খসে আহত শিক্ষার্থী 

১০

রাফীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে নেই দেবের

১১

শাহবাগ অবরোধে কোটাবিরোধীরা, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ 

১২

খসে পড়ল ছাদের পলেস্তারা, আহত ৫ শিক্ষার্থী

১৩

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

১৪

শ্রীলঙ্কার মতো ভুল যাতে না হয়, সতর্ক থাকতে হবে : কাদের

১৫

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়েও অবরোধ

১৬

দুই বৈশ্বিক আসরের জন্য ভারতের অধিনায়ক ঘোষণা

১৭

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ

১৮

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সায়েন্সল্যাবে আটকা শতাধিক গাড়ি

১৯

কুবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

২০
X