মো. শহীদুজ্জামান সরকার
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৩৯ এএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গতানুগতিক এডিপি থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি

মো. শহীদুজ্জামান
মো. শহীদুজ্জামান সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মো. শহীদুজ্জামান সরকার। ছবি: সংগৃহীত

মো. শহীদুজ্জামান সরকার বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তিনি পঞ্চম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি জাতীয় সংসদে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ছাড়াও হুইপ ও সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সদস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি প্রস্তাবিত বাজেট, এডিপির বাস্তবায়ন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে বরাদ্দ, বৈষম্যসহ নানা বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন

কালবেলা: বাজেট বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন নিয়ে নানারকম সমস্যার কথা আমরা শুনি। প্রতি বছরই এ চিত্রটি বহাল থাকছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

মো. শহীদুজ্জামান সরকার: একটি দেশের জাতীয় বাজেট একটি বার্ষিক সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। এটি একটি রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলনও বটে। আমরা প্রতিনিয়তই যথাযথ ব্যয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আমরা চাই এ সক্ষমতার সুফল এ দেশের মানুষ পাক। দিনশেষে মানুষের কল্যাণ এবং মানুষকে ভালো রাখার জন্যই বাজেট। কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে দেখা যায়, বরাদ্দ যথাযথভাবে ব্যয় করতে পারছি না। সরকার টাকা দিচ্ছে কিন্তু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ব্যয় করতে পারছেন না। এসব ক্ষেত্রে আমরা সেদিকে নজর দিই এবং সবসময় চেষ্টা করি যাতে যথাযথ গতিতে কাজ এগোয়। প্রতি বছর বাজেট বরাদ্দ বাড়ছে। এর ব্যয় নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সব ক্ষেত্রে একরকম নয়। ঘাটতির জায়গায় দেখা যায়, একটি সেক্টরে ১০ টাকা বরাদ্দ ছিল। সেখানে ৮ টাকা খরচ হয়েছে এবং ২ টাকা অবশিষ্ট আছে। পরের বছর ২০ টাকা বরাদ্দ থেকে ১৮ টাকা খরচ হয়েছে এবং ২ টাকাই অবশিষ্ট আছে। অর্থাৎ এরকম নয় যে, এ বছর ১০ থেকে ২ টাকা অবশিষ্ট এবং পরের বছর ২০ থেকে ৪ টাকা অবশিষ্ট থাকছে। সুতরাং আমি বলব, আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে।

কালবেলা: বরাদ্দ যথাযথভাবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কী কী বাধা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

শহীদুজ্জামান সরকার: প্রকল্প পরিচালকদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্পের অন্যান্য চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ একটি বড় বিষয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে আমদানিনির্ভর কিছু বিষয় থাকে, প্রকৃতির ওপর আমাদের নির্ভরশীল হতে হয়, এ ছাড়া স্থানীয় বাজার একটি বড় ইস্যু।

কালবেলা: গত অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। তাদের এমন অবস্থার কারণ কী?

শহীদুজ্জামান সরকার: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর থেকে বাজেট বরাদ্দ ফেরত আসা অবশ্যই আশার কথা নয়। এটা আমাদের জন্য ভাবার বিষয় এবং আমরা ভাবছি। এ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো কীভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

কালবেলা: অনেকে বলেন আমাদের বাজেট প্রণয়নের আগে গবেষণা করা হয় না। শুধু গতবারের থেকে এবারের বাজেট বেশি হবে, সেই হিসেবে বিষয়টি চিন্তা করা হয়। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

শহীদুজ্জামান সরকার: আমি আপনার কথাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করব না। আমি বলব, আংশিকভাবে এটা সত্য হতে পারে। কিন্তু এটাও সত্য যে, শুধু মন্ত্রণালয় ইচ্ছেমতো একটি বাজেট নির্ধারণ করতে পারে না। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, সরকারের নির্দেশনা, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার, আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, আমাদের এসডিজি, ডেল্টা প্ল্যানসহ অনেক কিছুই যুক্ত।

কালবেলা: বাজেটে সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রক্রিয়া কীভাবে দেখেন?

শহীদুজ্জামান সরকার: রাজস্ব বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখে। এনবিআর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং পরিকল্পনা করে থাকে।

কালবেলা: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলেছে। আগের বাজেটেও একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এবারের মূল্যস্ফীতি কি কমবে?

শহীদুজ্জামান সরকার: আগের বাজেটগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এবার বাজেটের আকার বৃদ্ধির হার কমেছে। অর্থাৎ সংকোচনমূলক বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা সংকোচনমূলক বাজেট পেশ করেছি। কারণ আমরা মূল্যস্ফীতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করা। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করা শুধু পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্ব নয়। আমাদের নীতি সুদহার, ট্যাক্স, এনবিআর, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ক্ষেত্রে কাজ করবে।

কালবেলা: কৃষি খাতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার। বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে এটি কি সঠিক সিদ্ধান্ত?

শহীদুজ্জামান সরকার: কৃষি খাতের ভর্তুকিটা আবার মানুষের কাছে রিটার্ন আসে। আমরা যদি কৃষককে ঠিক সময়ে এবং সহজ মূল্যে সার, পানি, বীজ সাপ্লাই দিতে পারি, তাহলে কৃষিতে তার একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভর্তুকিটা আমাদের কাছেই আবার অ্যাসেট হিসেবে ফিরে আসে। আমরা বছরে চার কোটি টন ধান উৎপাদন করছি। কৃষির প্রতি সরকারের গুরুত্ব ও আন্তরিকতায় এটা সম্ভব হয়েছে। বাজেটে ভর্তুকি কত রাখা হয়েছে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো সংকট তৈরি করে ভর্তুকি আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাজেটে কম রাখা হয়েছে বলে পড়ে বাড়ানো হবে না বা বাড়ানো যাবে না বিষয়টি তেমন নয়।

কালবেলা: ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয় ও সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে। এটা কমানোর জন্য আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি?

শহীদুজ্জামান সরকার: একটি নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। কিন্তু আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। ফলে তাদের আয় বেড়ে যাচ্ছে। চাকরিজীবী বা খেটেখাওয়া মানুষের ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে না। ফলে এখনই বৈষম্য নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবলেও সেটা ততটা সম্ভব নয়। এটাই বাস্তবতা।

কালবেলা: যোগাযোগব্যবস্থা উন্নতির কারণে বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসা ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। ফলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোয় উন্নয়ন বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?

শহীদুজ্জামান সরকার: আমি এ ধারণার সঙ্গে একমত নই। আমি দেখেছি জয়পুরহাটের মুরগি গাড়িতে করে বগুড়া ও টাঙ্গাইলে আসছে। পঞ্চগড়ের মুরগি আসছে ঢাকায়। এর বেনিফিট কারা পাচ্ছে? আমি মনে করি এর বেনিফিট পাচ্ছে পঞ্চগড়ের খামারিরাই।

কালবেলা: দুর্নীতির মাধ্যমে একটি শ্রেণি অনেক বেশি অর্থের মালিক হয়েছে। এ কারণে ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে আয়বৈষম্য বাড়ছে বলে মনে করেন কি?

শহীদুজ্জামান সরকার: এটা সত্য, আমরা আমাদের সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী সবসময় স্বচ্ছতার কথা বলেন। আমরা চেষ্টা করি যতটা সম্ভব দুর্নীতি দূর করতে। আমাদের সমাজে দুর্নীতির বীজ আজকে থেকে প্রোথিত নয়, অনেক আগে থেকে চলে আসা এ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুব একটা সহজ নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি।

কালবেলা: উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলি, প্রকল্পের মান যেন সঠিক থাকে এবং ব্যয় যেন সর্বনিম্ন হয়। এটাকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হয়। বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখেন?

শহীদুজ্জামান সরকার: আমরা প্রকল্প প্রস্তুত প্রক্রিয়া থেকেই এ বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রকল্প প্রস্তুত করে দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়। এখানে কিছুটা সংকট রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক প্রকল্প অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে শুরু করা হয়। একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা অনেক বড়, কখনো কখনো বইয়ের আকৃতির। এ বিশাল তথ্যের মধ্য থেকে কোথায় বালিশের দাম বেশি ধরা হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করা আমার কাছে কঠিন মনে হয়। তারপরও আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করি এবং অনেক সময় সফল হয়েছি। এর বাইরেও হয়তো অনেক ক্ষেত্র রয়ে যায়, যার সবটা আমাদের চোখে পড়ে না।

কালবেলা: আপনি এমন একটি এলাকা থেকে উঠে এসেছেন যেখানে একসময় মঙ্গাসহ অনেক সংকট ছিল। তবে গত ১৫-২০ বছর এই এলাকার মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। সরকারের কোন নীতিতে এ পরিবর্তন এলো বলে মনে করেন?

শহীদুজ্জামান সরকার: উত্তরাঞ্চলের এসব এলাকা একসময় মঙ্গাকবলিত ছিল, এটা সত্য। আমরা সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমাদের সামনে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব। জনগণের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য আমরা যে চিন্তাগুলো করেছিলাম, তা সঠিক ছিল। পাশাপাশি জনগণেরও কৃতিত্ব রয়েছে। তারা এগিয়ে এসেছে তাদের মেধা ও শ্রম নিয়ে। জনগণ তাদের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগ্রহী ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ভালো করেছি।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকে তুর্কি বিমান হামলা, ২৪ স্থাপনা ধ্বংস

দ্বিতীয় সেশনেও টাইগারদের দাপট

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি ঐক্য পরিষদের

ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে

লক্ষ্মীপুরে পিটিআই প্রশিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

সালমানকে নিয়ে যা বললেন শাবনূর

ট্রাম্পের তথ্য হ্যাক করে বাইডেনকে দিয়েছে ইরান!

শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয় বাংলাদেশের

নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়া হলো না পুলিশ সদস্য জহিরুলের

বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের কানাডার দুঃসংবাদ

১০

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের মামলা

১১

জবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন

১২

ঢাবিতে মব জাস্টিসের প্রতিবাদে ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি

১৩

ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় মিলল

১৪

আ.লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডল ৭ দিনের রিমান্ডে

১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

১৬

ঢাবি ও জাবিতে ‘পিটিয়ে হত্যা’ দুঃখজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত দাবি ঐক্য পরিষদের

১৮

ঢাবির হলে পিটিয়ে হত্যা, তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তার আহ্বান

১৯

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা নিয়ে আ.লীগের বিবৃতি

২০
X