কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪১ এএম
আপডেট : ১০ মে ২০২৪, ১১:১০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
সাক্ষাৎকার

নজরদারির অভাবেই বেড়ে ওঠে মিল্টন সমাদ্দাররা

ড. মিজানুর রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নজরদারির অভাবেই মিল্টন সমাদ্দাররা বেড়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায় আছে। এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারকে মানবপ্রেমী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে একজন ভয়ংকর অপরাধ চক্রের সংগঠক। কালবেলাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার, মানবতার আড়ালে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, দাতব্য কাজের তদারকি ও আইনি দিকসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন -

কালবেলা: সম্প্রতি আমরা মিল্টন সমাদ্দারের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলাম। তিনি মানবসেবার আড়ালে ভয়ংকর সব অপরাধমূলক কাজ করেছেন। এ ঘটনাটিকে আপনি কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

ড. মিজানুর রহমান: মিল্টন সমাদ্দারের এই পর্যন্ত আসার পেছনে গণমাধ্যমেরও দায় রয়েছে। আমরা অনেকেই মিল্টন সমাদ্দারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষ তার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এর আগে তার সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং তার সামাজিক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষ জেনেছিল যে, তিনি একজন মানবপ্রেমী, তিনি মানুষকে সাহায্য করেন এবং নিজের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তিনি রাস্তার অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন।

মিল্টন সমাদ্দার সম্পর্কে মানুষ জেনেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমের প্রচারিত তথ্যের মাধ্যমে। আবার এই গণমাধ্যমের তথ্যের কল্যাণেই তার প্রকৃত এবং ভয়ংকর রূপটি মানুষ জানতে পেরেছে। আমরা দেখতে পেলাম তিনি আসলে কোনো মানবপ্রেমী নন; বরং তিনি একজন সুযোগসন্ধানী, অতি মিথ্যাবাদী এবং ভয়ংকর অপরাধ চক্রের সংগঠক।

দুই দিন আগেও আমরা তাকে যেভাবে চিনতাম, আজ আমরা দেখছি ঠিক তার উল্টোটা। মানুষ এতদিন তাকে বিশ্বাস করেছে, আমি আপনি বা আমার মতো অনেক সাধারণ মানুষ তার ওপর আস্থা রেখেছেন, তার আশ্রমে অর্থ দান করে সহযোগিতা করেছেন। অনেকে তার প্রচারণায় সহযোগিতা করেছেন বা তার এই পর্যন্ত আসতে কোনো না কোনোভাবে একটু হলেও ভূমিকা রেখেছেন। এখানে আমার বা সাধারণ মানুষের কোনো দোষ আছে কি? আমরা গণমাধ্যমের সংবাদ পাঠক হিসেবে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম থেকে তার ভালো কাজের কথা জেনেছি। আমাদের কাছে গণমাধ্যম যেভাবে তথ্য পরিবেশন করেছে, আমরা সেভাবেই তাকে চিনেছি।

কালবেলা: মিল্টন সমাদ্দাররা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে। এখানে গণমাধ্যমের দায় কীভাবে দেবেন?

ড. মিজানুর রহমান: আমরা সাধারণ মানুষ গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখতে চাই। সেই গণমাধ্যম যদি চুলচেরা বিশ্লেষণ না করে আমাদের কাছে তথ্য পরিবেশন করে, সেটা গণমাধ্যমের ব্যর্থতা। আমরা যেহেতু গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখতে চাই, সুতরাং গণমাধ্যমের তথ্য আমাদের ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। অথচ গণমাধ্যমের ওপর একটি বিরাট দায়িত্ব রয়েছে যে, তারা কখনো জনগণকে ভুল, মিথ্যা বা প্রতারণামূলক তথ্য দেবে না। গণমাধ্যম থেকে আমাদের পূর্ণাঙ্গ এবং সত্য তথ্য পাওয়ার যে অধিকার রয়েছে, সে অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।

কালবেলা: এর আগে মিল্টন সমাদ্দারের শুধু ভালো কাজগুলো সামনে এসেছে। সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমের আচরণ কি সঠিক ছিল?

ড. মিজানুর রহমান: উদাহরণস্বরূপ বলতে চাই, সম্প্রতি আদালতে ড. ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, তাকে সুদখোরসহ অন্যান্য নেগেটিভ শব্দ দিয়ে গণমাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জনগণের ওপর এ বিষয়টি বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাৎ কথাটি হয়তো ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে শুনতে খারাপ লাগছে। কিন্তু যদি বিষয়টি এমন হয় যে, ড. ইউনূস দায়িত্বে ছিলেন বা তার দায়িত্বকালীন এবং তার জ্ঞাতসারে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীদের কোনো টাকা তাদের না দিয়ে অন্য কোনো খাতে দেওয়া হয়েছে—যদি এমনটা ঘটে থাকে, তাহলে কর্মীরা নিশ্চয়ই তাদের প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আইনি ভাষায় এটাকে আত্মসাৎ শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়েছে। এতে নাকি তার সম্মানহানি হয়েছে। যে শব্দ দিয়েই বিষয়টির ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, তিনি নৈতিকতাবিবর্জিত কাজ করেছেন এবং এটি সঠিক ছিল না। আমরা মিল্টন সমাদ্দার বা অন্য কারও ক্ষেত্রেও তথ্য কীভাবে পাচ্ছি তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি ভালো কাজের ধুয়া তুলে খারাপ কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চয়ই আশা করতে পারি, যারা তথ্য সরবরাহকারী বা যারা গণমাধ্যমের খবর পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা আমাদের সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবেন। সংবাদ যাচাই করে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তারপর পাঠকের কাছে দেবেন। এখানে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় তখন তার খেসারত হয় মিল্টন সমাদ্দারের মতো অপরাধ জালের উত্থান।

কালবেলা: বাংলাদেশের আইনে এ ধরনের প্রতারণা ঠেকানোর সুযোগ ছিল কি?

ড. মিজানুর রহমান: মানবতার কাজের আড়ালে এসব বড় বড় অপরাধ আমাদের চোখে ধরা পড়া কঠিন। তাদের এই প্রতারণা অবশ্যই একটি ফৌজদারি অপরাধ। বাস্তবতা হলো, যত অপরাধ সংঘটিত হয়, সব অপরাধই যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে, তা নয়। এমনটা কখনো হয় না এবং এটা সম্ভবও নয়। আমাদের আশপাশে যারা আছেন হয়তো অনেকেই মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তারা কেউ হয়তো জানতেন না তার এসব ভালো কর্মের আড়ালে রয়েছে ভয়ংকর অপরাধের বিস্তার। অনেকে যদি কোনোভাবে সন্দেহ করেন বা জেনে যান যে, এই লোকটি অপরাধ করছে এবং মানুষের ক্ষতি করছে বা কারও জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন তারা বিভিন্নভাবে হয়তো নিজেকে আড়ালে রেখে এসব তথ্য প্রকাশ করেন, যাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

এর পরও সমাজে সংঘটিত সব অপরাধ যে মানুষের দৃষ্টিগোচর হবে, তা প্রত্যাশা করা যায় না। সুতরাং যেসব অপরাধ প্রকাশিত হয়েছে বা জনসমক্ষে এসেছে সেগুলো যথাযথ এবং কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না বা হয় কি না, সেটি দেখা আমাদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আমরা যদি ১০টি অপরাধের কথা নাও জানতে পারি, তার পরও যদি একটি অপরাধের ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তাহলে আর ১০টি অপরাধী অপরাধ করার আগে আরেকবার ভাববে।

কালবেলা: সম্প্রতি বাংলাদেশে দাতব্য সংস্থার অনেক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সেসব ফান্ডে বড় অঙ্কের অর্থও আসছে। এসব ফান্ডের ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে আপনার মত কী?

ড. মিজানুর রহমান: বাংলাদেশে ইতোমধ্যে অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং এখনো অনেককে দাতব্য প্রজেক্ট হাতে নিতে দেখা যাচ্ছে। দাতব্য বিষয় নিয়ে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি লক্ষ করে থাকি। আমি মনে করি, এসব প্রতিষ্ঠান বা প্রজেক্ট খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ আমরা দেখেছি অনেকে এই দাতব্য কাজগুলো করেন এক ধরনের অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে নেওয়ার জন্য। অনেকে আবার এই দাতব্য কর্মসূচির আড়ালে বড় অঙ্কের টাকা লুকিয়ে ফেলেন এবং এর মাধ্যমে কর অব্যাহতি পেয়ে যান। সুতরাং এগুলো ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

কালবেলা: আমাদের দেশে বড় পরিসরে দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে দেখা যায় না কেন? অথচ আমরা ভারত কিংবা অন্যান্য দেশে এই সময়েও অনেক বড় বড় দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে দেখেছি।

ড. মিজানুর রহমান: আমরা হাজী মুহাম্মদ মহসিনের দাতব্য কাজের কথা জানি। ছোটবেলায় আমরা স্কুলের পাঠ্যবইতে তার এই মহত্বের কথা পড়েছি। কিন্তু আমাদের সময়ে এসে এই দাতব্য কাজটাকে মানুষ শুধু জাকাতের অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। জাকাতের টাকার বাইরেও যে বড় আকারে দাতব্য কাজ হয় বা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, সেটা আমরা এখন দেখছি না। ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান যতটুকু কাজ করে থাকে সেটাও তাদের সামাজিক দায়িত্ব থেকে নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের আইনের সুবিধা পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের এই ভারতবর্ষেই অনেক বড় বড় ব্যক্তি এবং সংগঠন রয়েছে, যারা বিশাল পরিসরের দাতব্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

আমাদের সমাজে নীতি-নৈতিকতা, মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের উপকারে আসা, মানুষকে সাহায্য করা—এই বিষয়গুলো সংকীর্ণ হয়ে গেছে। আমরা প্রত্যেকে অর্থনৈতিকভাবে এত বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছি যে, মানুষের জন্য আমরা আর ভাবছি না। আমাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা চরম আকার ধারণ করেছে। মানুষ মানুষের জন্য ভাবছি, এটা আমাদের সমাজে খুব একটা লক্ষ করি না। এখানে রাষ্ট্রেরও কিছু করার রয়েছে। যারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান বা কোনো না কোনোভাবে দাঁড়াচ্ছেন, যারা অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন, তাদের উৎসাহ প্রদান করার একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে রাষ্ট্র। আমাদের দেশেও নিশ্চয়ই এখনো ভালো মানুষ রয়েছেন। অনেক মানুষ রয়েছেন যারা শুধু তাদের ইহকাল নিয়ে ভাবেন না, বরং পরকালের জন্যও ভাবেন। অনেক মানুষ রয়েছেন যারা শুধু একালের সুযোগ-সুবিধার কথা ভাবেন না। তাদের যদি খুঁজে বের করা সম্ভব হয় এবং প্রোমোট করা হয়, তাহলে আমাদের দেশেও প্রকৃত অর্থে মানুষের জন্য কাজ করে এ রকম দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব।

শ্রুতিলিখন: মুজাহিদুল ইসলাম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধীদের অনুষ্ঠান ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

কৃষককে পেটানো যুবদলের সেই দুই নেতা বহিষ্কার

ফুলকপি-মুলার কেজি ২ টাকা, সবজি নিয়ে কৃষকের কান্না

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ 

রাজশাহীতে বাসা থেকে নারী চিকিৎসককে অপহরণ

ফেনীতে সব ধরনের ডিজিটাল বিলবোর্ড বন্ধ রাখার নির্দেশ

শেষ হলো ঢাবি-বণিক বার্তার অষ্টম নন-ফিকশন বইমেলা

বড় জয়ে বিপিএল শুরু রংপুরের

ঐক্যের বন্ধন মজবুত করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না : আমীর খসরু

১০

সরকারি চাকরির আবেদন ফি পুনর্নির্ধারণ

১১

জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো খাল খনন করা প্রয়োজন : চসিক মেয়র

১২

আলো ছড়াচ্ছে মনিরামপুরের খামারবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরি

১৩

তেল কম দেওয়ায় আ.লীগ নেতার ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা

১৪

ম্যাচসেরার পুরস্কার অসুস্থ ছেলেকে উৎসর্গ মাহমুদউল্লাহর

১৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ সরকারের

১৬

পিলখানা হত‍্যাকাণ্ডের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে : ড. ইউনূস

১৭

পারিশ্রমিক আতঙ্কের সমাধান ‘বিসিবি’!

১৮

প্যারোলেও মুক্তি মেলেনি ছেলের, জেলগেটে বাবার লাশ

১৯

নির্বাচিত সরকার না এলে দেশের সমস্যা সমাধান সম্ভব না : শামা ওবায়েদ

২০
X