ড. সাজ্জাদ জহির, অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) নির্বাহী পরিচালক। বাংলাদেশের অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতি-বিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-অর্থনীতি ইস্যু নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা। শ্রুতলিখন : মুজাহিদুল ইসলাম।
কালবেলা : দেড় মাস পর আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এর মধ্যে আমরা অনেক ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছি। আপনি বাংলাদেশে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে কীভাবে দেখছেন?
ড. সাজ্জাদ জহির : আমাদের সামনে এ মুহূর্তে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিকদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সংকট মোকাবিলা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
যে জনগোষ্ঠীর কাছে সরকার দায়বদ্ধ তাদের আর্থিকভাবে বেঁচে থাকা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের যে সংকট সেটা আরও তীব্র হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই সংকট মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো, কর্মসংস্থান। এটি একটা মধ্যমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার। কিন্তু এরও কিছু স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা আগে চিন্তা করতাম, ত্রাণ না দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কীভাবে অর্থ এবং খাদ্য সংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। সব সময় সেটি বাজারভিত্তিক হবে, বিষয়টি তা নয়। বাজারের বাইরে গিয়েও সেটা হতে পারে।
চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি হয়েছে বাইরের এবং ভেতরের ঘটনাগুলো মিলিয়ে। সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় বাজারকেন্দ্রিক চিন্তা করা সঠিক হবে না। বিভিন্ন অঙ্গনে যে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে তা মেটানোর জন্য চাহিদা ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। বাংলাদেশে এখনো খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়নি। তবে খাদ্য কিনতে যে অর্থের প্রয়োজন অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা, তার সংকট তৈরি হয়েছে। দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তার সঙ্গে তালমিলিয়ে মানুষের আয় বাড়েনি। এ প্রেক্ষাপটে চাহিদা ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কালবেলা : উদ্ভূত সংকটের জন্য আপনি কার দায় দেখেন? বাংলাদেশে এই সংকট কীভাবে মোকাবিলা করবে?
ড. সাজ্জাদ জহির : বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ তার অবস্থান সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেনি। হয়তো আমরা দুর্বল দেশ বলে অনেক কিছু মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে। কিন্তু এর ভেতরেও জনগণের সামনে একটি পরিষ্কার রোড ম্যাপ তুলে ধরা প্রয়োজন ছিল। আমাদের জনগোষ্ঠী নানা কারণে বহুধাখণ্ডিত। সেই জায়গায় সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করা প্রয়োজন ছিল, সরকারের দায়বদ্ধতা কার প্রতি।
কিছুদিন আগে আমি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। সরকার নিজেই জানে না- তার দায়বদ্ধতা কার প্রতি। যারা আমাদের নাগরিকত্ব নাম নিয়ে বিদেশের মাটিতে আছেন কিন্তু মূলত সেবা করে অন্য দেশের- তাদের ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট একটি নীতিমালা থাকা দরকার। যারা দ্বৈত বশ্যতার শিকার হয়েছেন সেখান থেকে উত্তরণটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাইরের শক্তিগুলো যখন বিভিন্নভাবে খেলতে শুরু করে তখন ভেতরের শক্তিকে একত্রিত করা দরকার হয়। এখানে আমাদের এক ধরনের ব্যর্থতা রয়েছে। সেই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে এসে বাইরের শক্তিকে মোকাবিলা করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে আমরা ভেতরেও টিকতে পারব না।
কালবেলা : ঋণ-ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই কি দেশে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে?
ড. সাজ্জাদ জহির : ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি দেখার প্রয়োজন ছিল তা হলো- আমি কতটুকু ঋণ করব এবং সেই ঋণ কী কাজে ব্যবহার করব। আমি যখন ঋণের টাকা একটি ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করব তখন সেখান থেকে টাকাটা কীভাবে, কত দিনে রিটার্ন আসবে এবং কী ধরনের চুক্তিতে আমরা সেগুলো করছি সেটার একটি টাইমলাইন দরকার হয়। আমাদের চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে কিছু ব্যর্থতা রয়ে গেছে। আমাদের ব্যর্থতার কারণে অনেক ধরনের অপচয় করেছি। অন্যদিকে বাইরের স্বার্থের কাছে আমরা কিছুটা বশ্যতা স্বীকার করেছি। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া এবং তার দায় আগামী দিনে আমরা কীভাবে মেটাব সেখানে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা দরকার ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদের পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে বলে মনে হয়েছে।
যারা এক সময়ে খুব জোর দিয়ে বলত ঋণ নেওয়া দরকার। তারাই আবার আজ বলছে সব বাংলাদেশ ব্যাংকের দোষ। এক সময় তারা বলতো টাকার অবমূল্যায়ন দরকার। এখন তারাই বলছে অবমূল্যায়ন করা হলো বলে সংকট তৈরি হয়েছে। নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী চিন্তার অভাব এবং তাদের জ্ঞানের ঘাটতি দৃশ্যমান। যিনি কর্তৃত্বে থাকবেন তার পেশাদারিত্ব থাকা দরকার। আজ কেউ ঋণ দিতে চাইছে বলেই আমরা তা নিয়ে নেব তেমনটা হওয়া উচিত নয়। নীতিনির্ধারণে যারা কাজ করছেন তাদের দায়বদ্ধতা কার প্রতি সেটিকে আগে খুঁজে বের করে তার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমাদের ব্যবস্থাপনার বড় ব্যর্থতা হলো, ঋণের পোর্টফোলিও এবং তা পরিশোধে রোডম্যাপটাকে বোঝার চেষ্টা না করা।
যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মধ্যে পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে। দ্বিতীয়ত- তারা দেশের স্বার্থ চিন্তা করেননি। দ্বৈত নাগরিকদের ভেতরে সব সময় এক ধরনের লুটপাটের প্রবণতা থাকে। অর্থাৎ যত বেশি অর্থ আসে তার মধ্য থেকে তারা তত বেশি বের করে নিতে পারেন। এই বিষয়টাকে রাজনৈতিকভাবেই ডিল করা প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এটা আমরা এখনও দেখিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের তদারকি করাটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম হঠাৎ করে একটি হাইপ তোলা হলো, সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এরপর আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এখানে ধারাবাহিকভাবে আমাদের আমদানি নির্ভরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই সংকটের জায়গাটা সব রাজনৈতিক অঙ্গনের ভাবার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। এটাকে আমরা ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার বলব না কি বলব অন্য কোনো স্বার্থের কাছে নিজেদের আত্মসমর্পণ করা হচ্ছে?
ব্যাংকিং খাত অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছে। এই সংকটের শিকড় এতটাই গভীরে যে এটা কোনোভাবেই রাতারাতি ঘটেনি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সামনে আসা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই বিষয়ের দায়িত্বে আমাদের মন্ত্রীপর্যায়ে যারা রয়েছেন তারা হয়ত একান্তই ব্যক্তি ব্যবসায়িক স্বার্থের ভেতরে জড়িয়ে গেছেন। সেজন্য হয়ত তারা সম্মুখভাবে চ্যালেঞ্জটাকে নিতে পারছেন না।
রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- আমরা রাজনীতিতে এখনো দেশের এজেন্ডা সামনে আনতে পারিনি। চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা তখনই সাজে যখন আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাইব। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ থেকে বের হয়ে আসতে চাইছি না। একটি দল যখন আরেকটি দলের বিরোধিতা করছে তখন তাদের মধ্যকার আলোচনা ও বাকবিতণ্ডায় কোনো সারবস্তু নেই। ফলে রাজনীতির ক্ষেত্রে এক ধরনের দীনতা লক্ষ্য করা যায়। আমি অনেক সময় বলি পার্টির ভেতরে আত্মশুদ্ধি এবং পার্টির ভেতরে বিপ্লব- এটাই সবার আগে প্রয়োজন।
দেশের সব জায়গা থেকে পেশাদারিত্ব চলে গেছে। প্রশাসনে এবং দেশের ভেতরে এখনো বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন যাদের মধ্যে পেশাদারিত্ব রয়েছে। তাদের পলিটিক্যালি মোটিভেট করে মবিলাইজ করা প্রয়োজন। তাদের কাছে দেশ এবং দেশের স্বার্থকে ডিফাইন করতে হবে। তাদের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হবে।
যে অতীতকে সামনে রেখে আমাদের সমাজ পরিবর্তনের জন্য বা বিনিয়োগ আনার জন্য একটি গতি আনা হয়েছিল সেখান থেকে বেরিয়ে এসে রাজনৈতিক মহল যদি পরবর্তী ধাপে নিজেদের উত্তরণ ঘটাতে না পারে তাহলে সবকিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে।
কালবেলা : রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে একটি গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট রেখেই রাষ্ট্র এবং দল পরিচালনা করতে চায় কেন?
ড. সাজ্জাদ জহির : বাজারব্যবস্থা এমন একটি জায়গা যেখানে ব্যবসায়ীরা সব সময়ই ‘দুই নম্বরী’ করতে চেষ্টা করবে। যে কোনোভাবেই হোক মানুষকে ঠকিয়ে হলেও তারা অর্থ পেতে চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে আমি আংশিক বা পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত বাজারে তাদেরকেই অংশগ্রহণ করতে দিব যারা মৌলিকভাবে সৎ। এই জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে সৎ ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি জেনে শুনে খারাপ লোকগুলোকে বেছে বাজারে এনে বসিয়ে থাকে তাহলে সেই নেতৃত্ব থাকা উচিত নয়। আর তারা যদি ভুল করে এটা করে থাকে, তাহলে তা শোধরানো দরকার। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা ঘটেছে পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে। কিন্তু আমাদের অনেক শিক্ষা হয়েছে। এখন আমাদের রাজনীতিতে বড় আকারের গুণগত পরিবর্তন দরকার।
কালবেলা : রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভেতরে কীভাবে সংশোধন হবে?
ড. সাজ্জাদ জহির : দল বা প্রশাসনের ভেতরে এক ধরনের ফিল্টারিংয়ের প্রসেস চালু করা যেতে পারে। যারা আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে তাদের সৎ হতে হবে এবং সৎ ব্যক্তিদেরই রাজনৈতিক দলগুলোতে স্থান দিতে হবে। কিন্তু যিনি এই ফিল্টারিং করবেন তিনি নিজেই যদি দুর্নীতিপরায়ন হয়ে থাকেন তাহলে সমাধান থাকে একমাত্র বিপ্লব। তবে বাইরের শক্তিকে নিয়ে আসা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ তাদের অন্যান্য অনেক ইন্টারেস্ট থাকে। বাইরের শক্তিকে আসার সুযোগ দেওয়া মানে রং প্লেয়ারদের ‘খেলার’ সুযোগ করে দেওয়া।
আমরা অভ্যন্তরীণভাবে চাহিদা ও দেশজ উৎপাদনের যোগসূত্রতার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি। বাইরে কর্মসংস্থান, বাইরের লোকজনের ওপর নির্ভরতা এমনকি এদেশের লোক বাইরের নাগরিকত্ব নিয়ে আবার এদেশে এসে শাসন করা বা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব করা—এই নির্ভরশীলতা আমাদের সংকটে ফেলতে পারে।
আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি বিদেশে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাসের জন্য অনেক হুমকি আসছে। আমাদের রেডিমেড গার্মেন্টসের রপ্তানির ওপরে হুমকি আসতে যাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনীর আয়ের জায়গায় হুমকি আসতে পারে। অর্থাৎ বাইরের উপরে নির্ভর করার কারণে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে হাত-পা বাঁধা। এই হাত-পা বাঁধা থেকে উত্তরণের একটি মেকানিজম আমাদের থাকা দরকার। সেই অল্টারনেটিভ মেকানিজম দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদারিত্ব এখনো আমরা দেখাতে পারিনি।
কালবেলা : সংকট উত্তোরণের জন্য কীভাবে এগোনো উচিত বলে মনে করেন?
ড. সাজ্জাদ জহির : আমরা চাইলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারি। কিন্তু সেটার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যে ধরনের সুস্পষ্ট অবস্থান প্রয়োজন সেই জায়গাটায় আমরা মাঝেমধ্যে খেই হারিয়ে ফেলছি। এই অবস্থার উত্তরণের জন্য দেশের এবং সমাজের সুবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন। সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই বাইরের শক্তির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
সুতরাং দেশের স্বার্থ কারা দেখবে সেটাকে ডিফাইন করা এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব ঘিরে আমাদের পলিটিক্যাল এডুকেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আমি দুএক জায়গায় বলেছি, আমাদের যুবসমাজকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার দরকার যাতে প্রয়োজন হলে তারা দেশকে রক্ষা করতে পারে। শুধু বহিঃশত্রু নয়, ভেতরেও অনেক ধরনের শক্তি দানা বাঁধে। সেগুলো থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সৎ ও শিক্ষিত দেশপ্রেমিক যুবসমাজ দরকার। একটি জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা ও পেশাদারিত্বের দিক থেকে তৈরি করার পাশাপাশি নিজেকে ডিফেন্ড করার জন্য তৈরি করাটা নেতৃত্বেরই দায়িত্ব। (প্রথম পর্ব)
মন্তব্য করুন