রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। অভিযানের একপর্যায়ে খামারের আবাসিক কয়েকজন কর্মচারী বাধা দেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার পর সাদেক এগ্রোর খামারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে ডিএনসিসি।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিসহ অন্যান্য গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ‘উচ্চবংশীয়’ ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত।
বৃহস্পতিবার ‘গরু মাফিয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বেরিয়ে আসে সাদেক এগ্রোর মাফিয়াকাণ্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠাবসা তার। চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপন আর নানা চমকের কারণে বারবার আলোচনায় আসে তার খামার। সেখানে নিজেই ক্রেতাদের হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দেখেশুনে মনে হয় এই ‘সাদেক এগ্রো’ ঘিরেই যেন পরিচালিত হয় তার সার্বিক কার্যক্রম। কিন্তু এই খামারের আড়ালে দিনে দিনে উত্থান ঘটেছে এক গরু মাফিয়ার, যার নাম শাহ ইমরান হোসেন।
দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তার করেছেন গরু চোরাচালানের সিন্ডিকেট। ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু আনা হয়। সে জন্য স্তরে স্তরে রাখা হয় দালাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে গরু রাখার গোপন ডেরা। ঢাকার বছিলায় খাল দখল করে গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের।
এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য খামারিদের বিরুদ্ধে যখন তখন মামলা ঠুকে দেন। দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদও দখলে নিয়েছেন মোহাম্মাদ ইমরান হোসাইন। কালবেলার দীর্ঘ অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন