গৃহকর্মী নিয়োগে সর্বোচ্চ গড় খরচ নির্ধারণ করেছে সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নারী গৃহকর্মী নিয়োগের গড় খরচের শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন। খবর গালফ নিউজের।
সৌদির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানায়, ফিলিপাইন থেকে একজন নারী গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য ভ্যাটসহ গড়ে ১৪ হাজার ৩০৯ সৌদি রিয়াল খরচ হয়। আর এই প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৫৭ দিন। ইথিওপিয়া থেকে সৌদি রিয়াল ৪ হাজার ৯৯৩ এবং সময়কাল ৩৯ দিন, উগান্ডা থেকে সৌদি রিয়াল ৬ হাজার ২৫৫ এবং সময়কাল ৫১ দিন এবং শ্রীলঙ্কা থেকে জনপ্রতি খরচ হবে সৌদি রিয়াল ১৩ হাজার ৫৮১। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগে সর্বোচ্চ খরচ নির্ধারণ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী এই দেশটি। বাংলাদেশি গৃহকর্মী পেতে সৌদি নিয়োগকর্তার খরচ হবে ৯ হাজার ৩ সৌদি রিয়াল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজিত সিয়েরালিওন, বুরুন্ডি এবং তানজানিয়াসহ মোট ৩৩টি দেশ থেকে সৌদিতে কর্মী নিয়োগের অনুমতি রয়েছে। গৃহকর্মীর শ্রমবাজার আরও বেশি নিয়মতান্ত্রিক করার লক্ষ্যে এ নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে।
গালফ নিউজ আরও জানায়, দেশটির মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল নিয়োগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মুসানেড চালু করা হয়েছে বিদেশিকর্মীর অধিকার, কর্তব্য, ভিসা, নিয়োগের আবেদন এবং নিয়োগকর্তা এবং কর্মীদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক এসব প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কিত তথ্য সহজতর করতে।
সৌদির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গৃহকর্মী কমপক্ষে ২১ বছর বয়সী হতে হবে এবং চুক্তিতে উল্লিখিত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বকেয়া প্রথম পর্যায়ের ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তির একটি নির্দিষ্ট সময়কাল থাকতে হবে। নির্দিষ্ট করা না থাকলে প্রতিবছর তা নবায়ন হবে। নতুন নিয়মের অধীনে, গৃহকর্মীদের দৈনিক কাজের সময় ১০ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। সপ্তাহে বাধ্যতামূলক ২৪-ঘণ্টা বিশ্রামের বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মীদের পাসপোর্ট, ব্যক্তিগত নথি বা জিনিসপত্র নিয়োগকর্তারা রাখতে পারবেন না। সৌদি আরবে গৃহকর্মী শ্রম সেক্টরে গৃহকর্মী, ড্রাইভার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বাবুর্চি, গার্ড, কৃষক, লিভ-ইন নার্স, গৃহশিক্ষক এবং আয়াদের পদ রয়েছে।
সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, কেনিয়া, ইথিওপিয়া ইত্যাদি দেশের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে। পদক্ষেপটি গ্রহণের ক্ষেত্রে সৌদি সরকার প্রবাসী শ্রমিকের খরচের ক্ষেত্রে যাতে ন্যায্যতা থাকে সেটি নিশ্চিতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছে। একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব খরচ পর্যালোচনা করাও মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ।
মন্তব্য করুন