নদী দখলের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ায় বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন সময় নদীবন্দরের সীমানায় ও নদীর তীরভূমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ২০১৪-২০২৪ সাল পর্যন্ত সমগ্র দেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এক হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র এমপি খসরু চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, ধলেশ্বরী এবং শীতলক্ষ্যা নদী দ্বারা বেষ্টিত বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিমি। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য ওই নদীগুলোর তীরে সরকার ঘোষিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গি ও মিরকাদিমে ৪টি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক পরিচালিত এ সব অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলো নির্বিঘ্নে মালামাল ও যাত্রীবাহী নৌ চলাচলের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করছে।
নদীগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক নদীগুলো পুনরুদ্ধারে সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সম্মিলিত একটি আমব্রেলা ইনভেশনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউআইপি) প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো সম্পূর্ণরূপে দূষণমুক্ত হবে এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
সরকার দলীয় এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কন্টেইনার পরিবাহী পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং হয়।
মন্তব্য করুন