চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট সেতু। প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে সংস্কার করা হচ্ছে সেতুটি। যেখানে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে বুয়েট। সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যানবাহন চলাচলে লাগবে আরও কিছু সময়।
বুয়েট প্রকৌশলীদের এমন সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরে শুক্রবার (১৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিতাস গ্যাস কোম্পানির পরিচালক ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বুয়েট দেখিয়ে দিল তার সক্ষমতার প্রমাণ। প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে সংস্কার করা হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করতে সময় লাগে দীর্ঘদিন। অবশেষে ব্রিজের ওপরে কার্পেটিং করা সম্পূর্ণ হয়েছে।
শীঘ্রই যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ থাকায় রেল ট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমে পাত ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় রেল ট্র্যাক মেরামতের প্রয়োজনে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হতো।
তবে এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়েছে।এরপর ওই কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণ করা হয়। এতে সড়ক ও রেলপথ উভয়ই আগের চেয়ে শক্ত থাকবে।
বর্ষা মৌসুম কিংবা কুয়াশাজনিত পানি না জমে কংক্রিট ঢালাইয়ের অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ সিস্টেম দিয়ে নদীতে পড়লে রেল ট্র্যাক, ক্লিপ ও সেতুর ইস্পাতের পাটাতন ক্ষয় হবে না। বিশেষ প্রযুক্তি ও বুয়েটের পরামর্শে নতুন করে নির্মাণ করায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারযোগ্য থাকবে বলে মনে করছেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্টে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। এর আগে ১৮ জুন বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটি মেরামতের জন্য রেলওয়ের সঙ্গে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রথম দফায় গত বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় সেতুটির সংস্কার কাজ শেষে মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে যানবাহন চলাচল উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে সংস্কারের চুক্তি হয় রেলওয়ের। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের তত্ত্বাবধানেই সেতুটির সংস্কার কাজ করছে ম্যাক্স।
মন্তব্য করুন