আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস এ যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জেনেভায় কোয়ালিশনের প্রথম ফোরামে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে যোগদানের সরকারি সিদ্ধান্ত কোয়ালিশন সচিবালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার ঘাটতি পূরণ করে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ অর্জনে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এ কোয়ালিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের জুনে আইএলও’র মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা জেনেভায় ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে কোয়ালিশনের রূপরেখা নিয়ে বিশ্ব নেতারা নিজের মতো তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোয়ালিশন গঠনের ক্ষেত্রে তার ৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা সুপারিশ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ালিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬টি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে অসমতা ও বৈষম্য মোকাবিলা, শ্রমিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, টেকসই ব্যবসা ও শোভন কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়গুলোতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ও বেসরকারি অংশীদারদের কার্যকর সমন্বয় ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নীতিগত সামঞ্জস্য আনার জন্য কাজ করবে কোয়ালিশন।
গ্লোবাল কোয়ালিশনে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন,যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, কানাডা, মেক্সিকোসহ ৭২টি দেশের সরকার যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ৭৩তম দেশ হিসেবে গতকাল এ গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিশনের অংশীদার হলো।
সরকার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠন, মালিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এর অংশীদার। ন্যায্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে সরকার এ কোয়ালিশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন