২০২৪-২৫ বাজেটের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার মূল বাজেটের মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ০.৪৮ শতাংশ। যা ১ শতাংশ তো দূরের কথা অর্ধশতাংশও নয়। অন্যদিকে সামাজিক সুরক্ষায় প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের পরিমাণ কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অ্যাকসেস বাংলাদেশসহ ১১টি সংগঠনের আয়োজনে ‘বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া/ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থা ‘ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বক্তারা।
এ ছাড়া অ্যাকসেস বাংলাদেশের সভাপতি মহুয়া পাল, অ্যাকসেস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা, ডব্লিউ ডিডিএফের কর্মসূচি সহসমন্বয়কারী শারমিন আক্তার দোলন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগাম কোঅর্ডিনেটর নাজরানা ইয়াসমিন হীরা, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব ডিজিবল পিপলস অরগানাইজেশনের সভাপতি বদিউল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আলবার্ট মোল্লা বলেছেন, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ প্রস্তাবনা করেছে ৩ হাজার ৩২১.৭৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে ছিল ২ হাজার ৯৭৮.৭১ কোটি টাকা। চলতি বছর থেকে বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২ লাখ ৩৪ হাজার সুবিধাভোগী এই ভাতা পাবে। যা চলতি বছরে ছিল ২৯ লাখ সুবিধাভোগী। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছরের থেকে এবার প্রায় ১ কোটি টাকা বেশি শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমে বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ৪৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ সরাসরি উপকারভোগী পান না। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের যে বরাদ্দ ধরা হয়েছে তা বাড়েনি। চলতি বাজেটে যা ছিল এবারও তাই ধরা হয়েছে। ৪০ লাখ টাকাই রয়েছে। এটি সরাসরি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পেয়ে থাকেন। ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটিজ খাতে চলতি বছরে ছিল ৯৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এবার ১৫০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে।
মহুয়া পাল বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ধরন রয়েছে। গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ৮৫০ টাকা ভাতা খুবই কম। এ ছাড়া দুষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কথা আমরা ভুলে যাই। ডিজিটাল বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত একটি যোগাযোগ রয়েছে। সরকার যদি এদিকটায় দৃষ্টি দেয় তাহলে প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তার অধিকার অর্জন করতে পারবেন। বদিউল আলম বলেছেন, সরকারের ভাতায় পরিবারে মূল্যায়ন পাচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।
শারমিন আক্তার দোলন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাসিক ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানান। সেসঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ পুনঃবিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
নাজরানা ইয়াসমিন হীরা বলেছেন, বাজেট করার আগে অর্থমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কী কী করা উচিত তা অবগত হওয়ার জন্য আলোচনা করতেন। এখন আর আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয় না।
মন্তব্য করুন