দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আইনের চোখে উনি অন্য ১০ জনের মতোই। তাই এভাবে তিনি কথা বলতে পারেন না।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক আইনজীবী বলেন, ড. ইউনূসকে কেউ হয়রানি করছে না। তিনি তার কাজের জন্য বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
এর আগে, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর লোহার খাঁচার (কাঠগড়া) ভেতর দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ইউনূস।
তিনি বলেন, অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। আমরা সবাই মিলে আজ সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম। আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিক একটি লোহার খাঁচার (কাঠগড়া) ভেতর গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক।
ড. ইউনূসের মামলার প্রসঙ্গে দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হবে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।
এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হয়রানি করার উদ্দেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান ছিল না মামলায়। আমরা এ অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
মন্তব্য করুন