পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বকে পানি ব্যবস্থাপনা কৌশল ও জলবায়ু সহিষ্ণুতা একীভূত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক কৌশল, উদ্ভাবনী সমাধানে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।
তাজিকিস্তানের দুশানবেতে রোববার সন্ধ্যায় ‘স্থায়ী উন্নয়নের জন্য পানি’ বিষয়ে ৩য় উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সম্মেলনে পানি সম্পর্কিত জরুরি সমস্যা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ব নেতারা ও বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়েছেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী চলমান জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট জটিল চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করে বলেন, হিমবাহ হ্রাস ও গলনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান নির্গমন ও তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। বরফ, তুষার এবং স্থায়ী মেরুদেশীয় মাটিসহ হিমবাহ গলনের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো এখন অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দ্রুত ও স্থায়ী পদক্ষেপের দাবি রাখে।
মন্ত্রী বলেন, হিমবাহ গলে যাওয়া শুধু পানি সরবরাহকে হুমকির মুখে ফেলে না বরং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করে, যা বিশ্বব্যাপী অগণিত মানুষকে প্রভাবিত করছে। এ জরুরি সমস্যাগুলো মোকাবিলায় জলবায়ু কর্মের জন্য একটি দৃঢ় প্রতিশ্রুতির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্ত্রী এ সময় পানি ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। তিনি সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণ, টেকসই কৃষির প্রচার এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন