প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার ঘর নির্মাণ ও সংস্কার করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাট, কক্সবাজার এবং ভোলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার। দেশের মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখায় তাদের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যেও যেন সবার মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত হয়, সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কোনোভাবেই দেশ ও দেশের মানুষ পিছিয়ে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। প্রতিটি জিনিস নিজের মনে করে যত্ন নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি রাখা যাবে না, যে যেভাবে পারেন উৎপাদন বাড়ান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভিক্ষুক জাতির মর্যাদা থাকে না। কারও কাছে ভিক্ষা কিংবা হাত পেতে চলতে চাই না। মাথা উঁচু করে যাতে চলতে পারে বাংলাদেশ, সেভাবেই দেশকে গড়ে তুলছি আমরা।
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে আজ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করেন তিনি।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মানুষমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। নতুন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারাদেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮টি এবং উপজেলা হচ্ছে ৪৬৪টি। প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধাপাকা বাড়ি দেয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শোওয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন