সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় উদ্ধার অভিযান এখনো চলছেই। এবার অভিযুক্ত সিয়াম হোসেনের কাছে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাড়গোড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি।
রোববার (৯ জুন) সকালে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে একাধিক হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। খবর আনন্দবাজারের।
তবে উদ্ধার করা এসব হাড় এমপি আনারের কিনা তা স্পষ্ট নয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় বিষয়টি জানা যাবে। এর আগে নিউ টাউনে অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরা উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেই মাংসও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে আনার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেনকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।
সরকারি আইনজীবী মন্দাক্রান্তা মুখোপাধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে, কী অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিয়ামকে নিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গত ২৩ মে এই জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই সিয়ামের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
গত ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে সংসদ সদস্য খুন ও মরদেহ সরানোর কাজে যুক্ত ছিল এ সিয়াম। নিউটাউনের অভিজাত ওই সঞ্জীবা গার্ডেনের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে তাতেও সিয়ামকে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরের দিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।
এরপর ২২ মে সকালের দিকে তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।
খুনের আলামত মুছে ফেলতে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। এরপর সুটকেস ও পলিথিনে ভরে ফেলে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।
মন্তব্য করুন